ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রং ফর্সাকারী ১৮ টি ক্রীম বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করছে বিএসটিআই

বাজারে রং ফর্সাকারী বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও লোশনে মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এ কারণে ১৮টি ক্রিম ও লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিএসটিআই জানিয়েছে, এসব ক্রিমে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ২২২ গুণ পর্যন্ত বেশি মার্কারির উপস্থিতি পাওয়া গেছে ল্যাব পরীক্ষায়। এসব ক্রিমের অধিকাংশ পাকিস্তানি। ভারত ও চীনে তৈরি ক্রিমও রয়েছে।

এ কারণে নিষিদ্ধ ক্রিম এবং নিম্নমানের লোশনের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও সার্ডিনাল টিমের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে এ ধরনের পণ্য কেনা ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

নিষিদ্ধ হলো যেসব ক্রিম:

পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, এসজে ইন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম ও আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড।

এছাড়া চীনের শুয়াংজ বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম ও ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের ডা. ডেভি স্কিন লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের ফোর কে প্লাস এবং জাওলি নামের দুটো ক্রিম রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রং ফর্সাকারী ১৮ টি ক্রীম বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করছে বিএসটিআই

আপডেট সময় ১১:৪৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

বাজারে রং ফর্সাকারী বিভিন্ন ধরনের ক্রিম ও লোশনে মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোন পেয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এ কারণে ১৮টি ক্রিম ও লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিএসটিআই জানিয়েছে, এসব ক্রিমে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে ২২২ গুণ পর্যন্ত বেশি মার্কারির উপস্থিতি পাওয়া গেছে ল্যাব পরীক্ষায়। এসব ক্রিমের অধিকাংশ পাকিস্তানি। ভারত ও চীনে তৈরি ক্রিমও রয়েছে।

এ কারণে নিষিদ্ধ ক্রিম এবং নিম্নমানের লোশনের বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও সার্ডিনাল টিমের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণকে এ ধরনের পণ্য কেনা ও ব্যবহার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।

নিষিদ্ধ হলো যেসব ক্রিম:

পাকিস্তানের গৌরী কসমেটিকসের (প্রা.) গৌরী ক্রিম, এসজে ইন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ক্রিম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর হারবাল বিউটি ক্রিম, নুর গোল্ড কসমেটিকসের নুর গোল্ড বিউটি ক্রিম, গোল্ডেন পার্ল কোম্পানির গোল্ডেন পার্ল ক্রিম, হোয়াইট পার্ল কসমেটিকস ইন্টারন্যাশনালের হোয়াইট পার্ল ক্রিম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিম, লোয়া ইন্টারন্যাশনালের পাক্স ও নাভিয়া ক্রিম, লাইফ কসমেটিকসের ফ্রেশ অ্যান্ড হোয়াইট ক্রিম, ফেস লিফট কসমেটিকসের ফেস লিফট ক্রিম, শাহিন কসমেটিকসের ফেস ফ্রেশ ক্রিম ও আনিজা কসমেটিকসের আনিজা গোল্ড।

এছাড়া চীনের শুয়াংজ বায়ো টেকনোলজির ডা. রাসেল নাইট ক্রিম ও ভারতের অ্যারোমা কেয়ার কসমেটিকসের ডা. ডেভি স্কিন লোশন বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নামবিহীন প্রতিষ্ঠানের ফোর কে প্লাস এবং জাওলি নামের দুটো ক্রিম রয়েছে নিষিদ্ধের তালিকায়।