গত অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চতুর্থ কোয়ার্টারে অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত কমেছে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি। এ হার দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯১ শতাংশে। যেটি তৃতীয় কোয়ার্টারে ছিল ৫ দশমিক ৪২, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৪ দশমিক ৭৮ এবং প্রথম কোয়ার্টারে ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে পুরো অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে আগামী ডিসেম্বর মাসের দিকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সোমবার এটি প্রকাশ করে সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিবিএস’র ন্যাশনাল একাউন্টিং উইং এর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, আমরা মাঠ পর্যায়ে যে তথ্য পেয়েছি তাই প্রকাশ করেছি। কেন প্রবৃদ্ধি কমেছে তার ব্যাখ্যা অর্থনীতিবিদেরা দিতে পারবেন। আমরা শুধু তথ্য প্রকাশ করি, কোন ব্যাখা দেই না।
বিবিএস’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ওই সময় জিডিপির আকার ছিল ১২ হাজার ১৬১ বিলিয়ন টাকা। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি টাকার অঙ্কে ১৩ হাজার ৭৮৪ বিলিয়ন টাকা হয়েছে। তুলনামূলকভাবে টাকার অঙ্কে বাড়ল শতাংশে অনেক কমে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি খাতে সামান্য বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা তৃতীয় কোয়ার্টারে ছিল ৫ দশমিক ১৬, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ৪ দশমিক ০৮ এবং প্রথম কোয়ার্টারে শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশে। যা তৃতীয় কোয়ার্টারে ছিল ৬ দশমিক ২৫, দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ২ দশমিক ৯১ এবং প্রথম কোয়ার্টারে ৮ দশমিক ২২ শতাংশ। এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ১৬ শতাংশ।
সেবা খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশে। যেটি তৃতীয়, দ্বিতীয় এবং প্রথম কোয়ার্টারে ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৮১, ৫ দশমিক ৭৮ এবং ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের চতুর্থ কোয়ার্টারে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৪ দশমিক ৮২ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, আইএমএফ’র কোয়ার্টার্লি ন্যাশনাল অ্যাকাাউন্টস ম্যানুয়্যাল অনুযায়ী, কোনো কোয়ার্টারের জিডিপির প্রথম প্রাক্কলনের সময় হালনাগাদ সকল তথ্য-উপাত্ত বিদ্যমান থাকে না। তাই পরবর্তীতে হালনাগাদ তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে তা সংশোধন করতে হয়। ফলে পূর্ববর্তী কোয়ার্টারের প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।