ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মান্নান মেম্বার, জাহিদ, নাজিম, নুরুল শিকদার, এস আই জহির লালের নিয়ন্ত্রণে গোয়াইনঘাট জাফলংয়ের চোরাচালানের সাম্রাজ্য গ্রেফতার হয়নি আশুলিয়ায় ৪৬ লাশ পোড়ানোর মাস্টারমাইন্ড আমানুল্লাহসহ অন্যান্যরা মনোহরগঞ্জের লক্ষণপুর ইউনিয়ন ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সমাবেশ চট্টগ্রামে জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকার সম্পাদক খান সেলিমের জন্মদিন উদযাপন ৩৭ কোটি টাকার দরপত্রে আগাম দুর্নীতির আয়োজন মতিন আব্দুল্লাহ মতিন আব্দুল্লাহ ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ ২১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিটিভির জিএমকে দুদকে তলব অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় রাজশাহী নগর আ.লীগ নেতা কালুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রদান মানুষের আস্থা ফিরিয়ে দিতে কাজ করছে বিএনপি -হাফিজ ইব্রাহিম আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুনাম নষ্ট করে,এএসআই সোহেলের বিআরটিএ তে দালালি

গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স লোকবল সঙ্কটে ব্যহত স্বাস্থ্য সেবাঃ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে সেবা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ৫০ শয্যার কমপ্লেক্সে আউটডোর থাকছে ডাঃশূন্য। নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে। ইউএইচও বলেন লোকবল সঙ্কটেও আন্তরিকতার সাথে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
৩ লক্ষ ৫৫ হাজার জন অধ্যুষিত উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও উন্নত সেবা পায়নি এলাকাবাসি। এখানে চিকিৎসক পোস্টিং হলেও মন্ত্রনালয়সহ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সহজেই বদলীহন চিকিৎসকরা, ফলে শূন্যপদ আর সহজে পূরন হয়না। চিকিৎসা সেবায় বঞ্চনার অবসান হয়না জনসাধারণের।
কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্টের দশটি পদসহ মোট ৩০টি পদ থাকেলও বর্তমানে ইউএইচওসহ ৬জন চিকিৎসক রয়েছেন।১০জন জুনিয়র কনসালাটেন্টের মধ্যে শুধু মেডিসিন, এনেস্তেশিয়া,এখানে দায়িত্বে রয়েছেন।সপ্তাহে ২/৩ দিন আসেন এছাড়া কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডাঃগুলশান আরা কামাল সংযুক্তিতে ফেঞ্চুগঞ্জে রয়েছেন।সহঃ সার্জন ইউনানি ডাঃ মোঃ আনিসুল হোসেন২০১৪ সালে যোগদান করেই সংযুক্তিতে সিলেট সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। গোয়াইনঘাটবাসির জন্য অর্থপের্ডিক্স,ইএনটি,গাইনি, যৌনওচর্মসহ জরুরী ১০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্হলে দুজন রয়েছেন। মোট ৩০ পদে ৬ জন থাকলেও সকল বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।গত বুধবার, বৃহস্পতিবার আউটডোরে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কিশোলয় সাহ বলেন লোকবলের সঙ্কট রয়েছে। যারা আছেন তাদের মধ্যে ঢাকা সিলেটে ট্রেনিংয়ে দুজন,আরেকজনের বাবা মারাত্মক অসুস্হ তাকায় বাড়িতে গেছেন।শনিবার থেকে আউটডোরে চিকিৎসক থাকবেন। এ ছাড়া এলকাবাসির অভিযোগ রয়েছে জরুরী বিভাগে ইএমও না থাকায় রোগিরা চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এখানে বেশীরভাগ সময় নার্স সাকমোরা রোগিদেখে ভর্তিদেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বিরাজ করছে নোংরা পরিবেশ।
সম্প্রতি সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স এলে তার সাথে কথা হয় লোকবল সঙ্কট বিষয়ে। তিনি বলেন ডাক্তার পোস্টিং, বদলী হয় মন্ত্রনালয় থেকে স্হানীয় প্রশাসনের হাত নেই। জানা যায় সিলেটের ৪/৫টি উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলার স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক থাকতে চান না। এ ছাড়া এখানে প্রথম এক্সরে, ইসিজি, আলট্রা চালু করেছিলেন বর্তমান স্বাস্হ্য প্রশাসক কিন্তু লোকবলের অভাবে ইতিমধ্যে এক্সরে সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। দন্ত বিভাগে সরকার এক্সরে, চেয়ারসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি দিলেও ২০২২ সালের বন্যার কারণে বিনষ্ট রয়েছে। নেই দন্ত সার্জনও।
গোয়াইনঘাটউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা উন্নীত হলেও আধুনিক সেবা বঞ্চিত রয়েছেন সাধারন মানুষ। সরকার পল্লীবাসি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসা নিশ্চিতের কথা শুধু শুনে আসছেন। যেখানে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক তুলে নেয়া হয় সেখানে পল্লীবাসির সেবাপাওয়া স্বপ্নের মত। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা সরকার গোয়াইনঘাট বাসি মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরনে কমপ্লেক্সে জররী ভিত্ততে শুন্যপদ পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আন্তরিক হবেন।
ছবিঃ গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মান্নান মেম্বার, জাহিদ, নাজিম, নুরুল শিকদার, এস আই জহির লালের নিয়ন্ত্রণে গোয়াইনঘাট জাফলংয়ের চোরাচালানের সাম্রাজ্য

গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স লোকবল সঙ্কটে ব্যহত স্বাস্থ্য সেবাঃ

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সঙ্কটে সেবা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ৫০ শয্যার কমপ্লেক্সে আউটডোর থাকছে ডাঃশূন্য। নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে। ইউএইচও বলেন লোকবল সঙ্কটেও আন্তরিকতার সাথে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
৩ লক্ষ ৫৫ হাজার জন অধ্যুষিত উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও উন্নত সেবা পায়নি এলাকাবাসি। এখানে চিকিৎসক পোস্টিং হলেও মন্ত্রনালয়সহ ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সহজেই বদলীহন চিকিৎসকরা, ফলে শূন্যপদ আর সহজে পূরন হয়না। চিকিৎসা সেবায় বঞ্চনার অবসান হয়না জনসাধারণের।
কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্টের দশটি পদসহ মোট ৩০টি পদ থাকেলও বর্তমানে ইউএইচওসহ ৬জন চিকিৎসক রয়েছেন।১০জন জুনিয়র কনসালাটেন্টের মধ্যে শুধু মেডিসিন, এনেস্তেশিয়া,এখানে দায়িত্বে রয়েছেন।সপ্তাহে ২/৩ দিন আসেন এছাড়া কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট ডাঃগুলশান আরা কামাল সংযুক্তিতে ফেঞ্চুগঞ্জে রয়েছেন।সহঃ সার্জন ইউনানি ডাঃ মোঃ আনিসুল হোসেন২০১৪ সালে যোগদান করেই সংযুক্তিতে সিলেট সদর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। গোয়াইনঘাটবাসির জন্য অর্থপের্ডিক্স,ইএনটি,গাইনি, যৌনওচর্মসহ জরুরী ১০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্হলে দুজন রয়েছেন। মোট ৩০ পদে ৬ জন থাকলেও সকল বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।গত বুধবার, বৃহস্পতিবার আউটডোরে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায়নি।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কিশোলয় সাহ বলেন লোকবলের সঙ্কট রয়েছে। যারা আছেন তাদের মধ্যে ঢাকা সিলেটে ট্রেনিংয়ে দুজন,আরেকজনের বাবা মারাত্মক অসুস্হ তাকায় বাড়িতে গেছেন।শনিবার থেকে আউটডোরে চিকিৎসক থাকবেন। এ ছাড়া এলকাবাসির অভিযোগ রয়েছে জরুরী বিভাগে ইএমও না থাকায় রোগিরা চিকিৎসকের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এখানে বেশীরভাগ সময় নার্স সাকমোরা রোগিদেখে ভর্তিদেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীর অভাবে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বিরাজ করছে নোংরা পরিবেশ।
সম্প্রতি সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ জন্মেজয় দত্ত স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স এলে তার সাথে কথা হয় লোকবল সঙ্কট বিষয়ে। তিনি বলেন ডাক্তার পোস্টিং, বদলী হয় মন্ত্রনালয় থেকে স্হানীয় প্রশাসনের হাত নেই। জানা যায় সিলেটের ৪/৫টি উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলার স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক থাকতে চান না। এ ছাড়া এখানে প্রথম এক্সরে, ইসিজি, আলট্রা চালু করেছিলেন বর্তমান স্বাস্হ্য প্রশাসক কিন্তু লোকবলের অভাবে ইতিমধ্যে এক্সরে সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। দন্ত বিভাগে সরকার এক্সরে, চেয়ারসহ মূল্যবান যন্ত্রপাতি দিলেও ২০২২ সালের বন্যার কারণে বিনষ্ট রয়েছে। নেই দন্ত সার্জনও।
গোয়াইনঘাটউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যা উন্নীত হলেও আধুনিক সেবা বঞ্চিত রয়েছেন সাধারন মানুষ। সরকার পল্লীবাসি মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসা নিশ্চিতের কথা শুধু শুনে আসছেন। যেখানে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক তুলে নেয়া হয় সেখানে পল্লীবাসির সেবাপাওয়া স্বপ্নের মত। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা সরকার গোয়াইনঘাট বাসি মানুষের মৌলিক চাহিদা পুরনে কমপ্লেক্সে জররী ভিত্ততে শুন্যপদ পূরণ করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আন্তরিক হবেন।
ছবিঃ গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স