ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে তাঁর দুর্নীতির বিষয়ে একটি অভিযোগ জমা পড়ে।
অভিযোগে বলা হয়, এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর সঙ্গে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, এস আলম গ্রুপ ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যবসা রয়েছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে তিনি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টাকা লুটপাট ও পাচার করেছেন। তিনি মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
দুদকে জমা দেওয়া অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, মোকাম্মেল হক নিজে রংধনু বিল্ডার্স, ক্যাপিটালল্যান্ড ও মিথিলা টেক্সটাইলের নামে ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেছেন। পরে ইউনিয়ন ব্যাংক এই ঋণগুলো খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করলেও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া গুলশান-১–এর জব্বার টাওয়ারের পাশের প্লটটি ইউনিয়ন ব্যাংকের জন্য কিনতে ব্যাংকটি থেকে আজাদ অটোমোবাইলসের নামে ১৪০ কোটি টাকার ঋণ তোলা হয়। সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন মোকাম্মেল হক।