বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সার্কেল-১, মিরপুর কার্যালয়ে দালাল ও বহিরাগত দ্বারা গ্রাহক হয়রানি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রতারক চক্রের অনেককেই বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও বিভিন্ন ধরনের সাজা দিয়েছেন।
বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত। এখন অনেকটাই দালাল শূণ্য দেখা যায় মিরপুর বিআরটিএ দপ্তর ।
যার সার্থকতার মূল নায়ক বিআরটিএ নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন । জানা যায়, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতা থেকে চলে যাবার পর বিভিন্ন সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যৌথ অভিযান, মিরপুর বিআরটিএ পরিচালক ও ডিডি এদের সহযোগিতায় দালালদের ধরার অভিযান করে আসছিলো তাঁরা। যার ফলে বর্তমানে মিরপুর বিআরটিএ দালাল নেই বললেই চলে। এই সুযোগ নিয়ে মিরপুর বিআরটিএ সুনাম নষ্ট করার এক পায়তারা করে যাচ্ছে কাফরুল থানার এএসআই সোহেল। জানা যায় আওয়ামী সরকার ক্ষমতার থাকা কালীন এএসআই সোহেল অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন মিরপুর বিআরটিএ তে। তাছাড়া কাফরুল থানার এএসআই সোহেল ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষ নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের উপর হামলার তথ্যও পাওয়া যায়। কাফরুল থানার এই এ এস আই সোহেল বিআরটিএ তথা (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সফার অথরিটির) মিরপুরের নির্বাহী পরিচালকের অভিযানে আটককৃত দালালদের থানায় নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার ফলে মিরপুর বিআরটিএ সকলের পরিচিত মুখ হিসেবে চিহ্নিত এএসআই সোহেল। নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মিরপুরের দালালী কাজ করতেন বলে জানা যায়। স্বৈরাচারী সরকারের ক্ষমতা চলে যাবার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে কাফরুল থানার এ এস আই সোহেলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন সাধারণ জনগণ। সেবা নিতে আসা অনেক গ্রহীতা আমাদের কাছে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন।
যেখানে এ এস আই সোহেল মিরপুর বিআরটিএ কে অর্থ উপার্জনের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেন বলে জানা যায়। উপরের মহলের আশীর্বাদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ায় অনেক সময় বিআরটিএর অফিস সহকারী কিংবা কর্মকর্তারা এএসআই সোহেলের কর্মকাণ্ডে মুখ খুলতেন না। আরো জানা যায়, ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর সোহেলের বদলি অর্ডার হয়েছে। কিন্তু উপরের মহলের আশীর্বাদে এখনো কাফরুল থানায় বহাল রয়েছেন এএসআই সোহেল। জানা যায় এ এস আই সোহেল তার এই ক্ষমতা টিকে রাখতে এখনো তার থানার কিছু পুলিশ কর্মকর্তাকে মাসিক মাসোহারা দিয়ে চলেন। যার ফলে বদলি হবার পরেও এখনো পূর্ণদায়িত্বে রয়েছে এএসআই সোহেল। নিজের অস্তিত্ব ধরে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি ছাড়াই আশেপাশের লোকজন ধরে বিআরটিএ হাজত খানায় ঢুকিয়ে রাখেন। পরবর্তীতে লোক বুঝে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দিতেন। যার প্রমান রয়েছে সাংবাদিকদের হাতে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় এএসআই সোহেল পুলিশের পোষাক খুলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিআরটিএ তে দালালি করে বেড়ায়। তার দালালি করার সুযোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ এস আই আইনি নিয়মে বিআরটিএ তে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের কাছে এর চেয়ে বেশি খবর নেই। তাছাড়া তার বদলির বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপরস্থ কর্মকর্তারা বলতে পারবেন আমি জানি না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ হেড অফিসের প্রশাসনিক শাখার প্রধান জনাব কামরুল ইসলাম
এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সঠিক প্রমাণ থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি নজরে নিবেন।
এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সঠিক প্রমাণ থাকলে নিশ্চয়ই আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি নজরে নিবেন।