২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে যুবদল নেতা শামীম মিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননসহ সাত জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তন্ময় কুমার বিশ্বাস আসামিদের আদালতে হাজির করে এ বিষয়ে আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট মো. মেহেদী হাসান আজ এ আদেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, নাচোল উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও আওয়ামী লীগ কর্মী কবির হোসেন মিঠু।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করে এবং একই এলাকায় পাল্টা সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।
অভিযোগে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় আওয়ামী লীগের নেতারা নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই শামীমের মৃত্যু হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আব্বাস আলী বাদী হয়ে শামীম হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতা ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৭০৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং প্রায় ১২ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খানকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া গত ২২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে রাশেদ খান মেননকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। গত ২০ আগস্ট রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে আহমদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৫ আগস্ট রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে গোলাপকে গ্রেফতার করা হয়েছে।