ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সচিবের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুলের দাপট, ভুয়া মামলার ভয়ে প্রকৌশলীরা গার্ড থেকে উচ্চমান সহকারীর কোটি টাকার জালিয়াতি, ধরাছোঁয়ার বাইরে অভিযুক্ত এনামুল রাজউকের চিঠির জবাবে ইউনাইটেড গড়িমসি, মোটা অঙ্কের জরিমানার সিদ্ধান্ত রাজউকের (তৃতীয় পর্ব) অবৈধ ভবন ভাঙার নোটিশের জবাব দেয়নি ইউনাইটেড, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য (দ্বিতীয় পর্ব) ওমর আলীর জায়গায় ইউনাইটেডের ময়লা পানি, চলার রাস্তায় দীর্ঘ সাঁকো (প্রথম পর্ব) আগামী মাসে প্রতিষ্ঠিত হবে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর: উপদেষ্টা নাহিদ ঐতিহাসিক সিরিজের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি ফারুক হাসানের ওপর হামলাকারীদের জামিনের নিন্দা গণঅধিকার পরিষদের রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য হবে অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র: আ স ম রব খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যা আছে

জাফলং সীমান্ত জিরো পয়েন্টে থানা পুলিশের লাইনম্যান সামছুলের নিয়ন্ত্রনে চোরাচালান।

সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। সেই রাজ্যর নিয়ন্ত্রক এখন রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ কয়েকজন নেতা। এদের সকলের পরিচয় পুলিশ কিংবা বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে। প্রতিমাসে চোরাচালানের এই লাইনম্যান আবার রদবদল করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, জেলা উত্তর ডিবির নিয়োগ প্রাপ্ত ওসি ও বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প কামান্ডাররা । যার ফলে রেঞ্জ ডিআইজি, বা জেলার এসপি কোন নির্দেশ বা আদেশ কার্যকর হচ্ছেনা গোয়াইনঘাট থানা এলাকায়। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাসিক অপরাধ পর্যালোচনায় সভায় এসব সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ করতে জেলার এসপিদের কঠিন নির্দেশনা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোন নির্দেশনাই আমলে নেয়নি গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও সার্কেল সাহিদুল ইসলাম। তবে চোরাচালান বন্ধের বদলে পাল্টেছে চোরাচালান সচল রাখবার নিত্য নতুন কৌশল। আগে প্রতি মাসে সীমান্তেরঘাট অলিখিত ইজারা দেওয়া হতো মাসিক ৮/১০ লাখ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু এখন চলছে কমিশনের খেলা। গতকাল সরেজমিনে গোয়াইনঘাট এলাকায় গেলে নতুন করে উঠে আসে চোরাচালান নতুন নিয়ন্ত্রকদের নাম। এরা বেশীর ভাগই রাজনৈতিক লেবাসদারী। আগে যেসব চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণ করত স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতারা। গত ৫ আগষ্টের পরে এসব লাইন নিয়ন্ত্রন করছেন যুবলীগের, শ্রমিদলের কতিপয় কিছু পাতি নেতা। যদিও চোরাচালানের অভিযোগে উপজেলার পূর্বজাফলং সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন সামছুল । তার বাহিনীতে আছেন বেশ কয়েকজন। সামছুল গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও এসআই জহুর লালের এর নামে চোরাচালানের টাকা উত্তোলন করেন। এরা প্রতিবস্তা চিনি থেকে ৩ শত টাকা চাঁদা নেয়। এর মধ্যে ২শত টাকা প্রশাসনের জন্য বরাদ্ধ আর ১শত টাকা সামছুলের। এরকম প্রতিদিন কয়েক হাজার বস্তা চিনি সীমান্ত দিয়ে বাংলদেশে প্রবেশ করছে। প্রতিকার্টুন কিট ৫শত টাকা, কসমেটিক্স প্রতি কার্টুন ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে সামছুল ও তার গ্রুপের সদস্যরা। পূর্ব জাফলং সীমান্তে জিরো পয়েন্ট, সিড়িঘাট পর্যন্ত সামছুল একক নিয়ন্ত্রনে চলে চোরাচালান। এসব স্পটে বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে টাকা আাদায় করেন অন্য গ্ৰুপ।

সামছুল স্পষ্ট বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে কমিশনে লাইন এনে ব্যবসা করছি এসপি, ডিআইজির কিছু করার নাই। অপর দিকে সামছুল বলে এসব নিউজ এ কিছু আসে যায় না। এলাকার বিট অফিসার এসআই জহুর লাল সহ থানা পুলিশ সদস্যরা আমার পক্ষে ম্যানেজ করা।

এবিষয়ে জানতে এসআই জহুর লাল এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন ,বিষয়টি নিশ্চিত নয়। চোরাকারবারীরা মিথ্যা কথা বলেছে , আমার পুলিশের লোক জন কঠোর অবস্থানে হয়েছে। এলাকা বাসীর প্রশ্ন হলো এসআই জহুর লাল এত কঠোর অবস্থানে থাকলে ওপেণ ভারতীয় চিনি কিট কসমেটিক সহ বিভিন্ন ধরনের পন্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করতেছে কি ভাবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সচিবের ভাগিনা পরিচয়ে নাজমুলের দাপট, ভুয়া মামলার ভয়ে প্রকৌশলীরা

জাফলং সীমান্ত জিরো পয়েন্টে থানা পুলিশের লাইনম্যান সামছুলের নিয়ন্ত্রনে চোরাচালান।

আপডেট সময় ০৬:৩৯:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেটের গোয়ানঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের সীমান্ত এখন চোরচালানের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। সেই রাজ্যর নিয়ন্ত্রক এখন রাজনৈতিক লেবাসধারী বেশ কয়েকজন নেতা। এদের সকলের পরিচয় পুলিশ কিংবা বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে। প্রতিমাসে চোরাচালানের এই লাইনম্যান আবার রদবদল করে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি, সার্কেল এসপি, জেলা উত্তর ডিবির নিয়োগ প্রাপ্ত ওসি ও বিজিবির বিভিন্ন ক্যাম্প কামান্ডাররা । যার ফলে রেঞ্জ ডিআইজি, বা জেলার এসপি কোন নির্দেশ বা আদেশ কার্যকর হচ্ছেনা গোয়াইনঘাট থানা এলাকায়। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মাসিক অপরাধ পর্যালোচনায় সভায় এসব সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ করতে জেলার এসপিদের কঠিন নির্দেশনা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কোন নির্দেশনাই আমলে নেয়নি গোয়াইনঘাট থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও সার্কেল সাহিদুল ইসলাম। তবে চোরাচালান বন্ধের বদলে পাল্টেছে চোরাচালান সচল রাখবার নিত্য নতুন কৌশল। আগে প্রতি মাসে সীমান্তেরঘাট অলিখিত ইজারা দেওয়া হতো মাসিক ৮/১০ লাখ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু এখন চলছে কমিশনের খেলা। গতকাল সরেজমিনে গোয়াইনঘাট এলাকায় গেলে নতুন করে উঠে আসে চোরাচালান নতুন নিয়ন্ত্রকদের নাম। এরা বেশীর ভাগই রাজনৈতিক লেবাসদারী। আগে যেসব চোরাচালানের লাইন নিয়ন্ত্রণ করত স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের নেতারা। গত ৫ আগষ্টের পরে এসব লাইন নিয়ন্ত্রন করছেন যুবলীগের, শ্রমিদলের কতিপয় কিছু পাতি নেতা। যদিও চোরাচালানের অভিযোগে উপজেলার পূর্বজাফলং সীমান্তের চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করেন সামছুল । তার বাহিনীতে আছেন বেশ কয়েকজন। সামছুল গ্রুপের সদস্যরা স্থানীয় থানার ওসি সরকার তোফায়েল ও এসআই জহুর লালের এর নামে চোরাচালানের টাকা উত্তোলন করেন। এরা প্রতিবস্তা চিনি থেকে ৩ শত টাকা চাঁদা নেয়। এর মধ্যে ২শত টাকা প্রশাসনের জন্য বরাদ্ধ আর ১শত টাকা সামছুলের। এরকম প্রতিদিন কয়েক হাজার বস্তা চিনি সীমান্ত দিয়ে বাংলদেশে প্রবেশ করছে। প্রতিকার্টুন কিট ৫শত টাকা, কসমেটিক্স প্রতি কার্টুন ১ হাজার টাকা করে নিচ্ছে সামছুল ও তার গ্রুপের সদস্যরা। পূর্ব জাফলং সীমান্তে জিরো পয়েন্ট, সিড়িঘাট পর্যন্ত সামছুল একক নিয়ন্ত্রনে চলে চোরাচালান। এসব স্পটে বিজিবির লাইনম্যান হিসাবে টাকা আাদায় করেন অন্য গ্ৰুপ।

সামছুল স্পষ্ট বক্তব্য পুলিশের কাছ থেকে কমিশনে লাইন এনে ব্যবসা করছি এসপি, ডিআইজির কিছু করার নাই। অপর দিকে সামছুল বলে এসব নিউজ এ কিছু আসে যায় না। এলাকার বিট অফিসার এসআই জহুর লাল সহ থানা পুলিশ সদস্যরা আমার পক্ষে ম্যানেজ করা।

এবিষয়ে জানতে এসআই জহুর লাল এর হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করা হলে তিনি অস্বীকার করে বলেন ,বিষয়টি নিশ্চিত নয়। চোরাকারবারীরা মিথ্যা কথা বলেছে , আমার পুলিশের লোক জন কঠোর অবস্থানে হয়েছে। এলাকা বাসীর প্রশ্ন হলো এসআই জহুর লাল এত কঠোর অবস্থানে থাকলে ওপেণ ভারতীয় চিনি কিট কসমেটিক সহ বিভিন্ন ধরনের পন্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করতেছে কি ভাবে।