ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ভবন ভাঙার নোটিশের জবাব দেয়নি ইউনাইটেড, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

রাজধানীর ভাটারা এলাকার মাদানী এভিনিউয়ে পাঁচতলা সুবিশাল ভবন। যা নির্মাণে নিয়ম-অনুমোদনের ধার ধারেনি ইউনাইটেড গ্রুপ। অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি কেন ভেঙে ফেলা হবে না, জানতে নোটিশ দিয়েছিল রাজউক। তবে জবাব দেওয়ার নির্ধারিত সাত কর্মদিবসের পার হলেও জবাব দেয়নি ইউনাইটেড গ্রুপ।

গত ৩ নভেম্বর রাজউকের মহাখালী জোনের অথরাইজড অফিসার-৪/১ ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশটি পাঠানো হয় ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন হাসান রশীদের কাছে

নোটিশে বলা হয়, ঢাকার মাদানী এভিনিউয়ের বড় কাঠালদিয়া মৌজায় রাজউকের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকায় ইউনাইটেড গ্রুপের একটি পাঁচতলা ইমারত (ভবন) রয়েছে। যা ড্যাপের আওতাধীন এলাকায় পাঁচতলা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ সালের ধারা-৩ এবং ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০০৮ লঙ্ঘন করে রাজউক হতে অনুমোদন না নিয়েই করা হয়েছে। উল্লেখিত ইমারত ব্যবহার আইন ও বিধির প্রতি অশ্রদ্ধার শামিল।

সাত দিনের মধ্যে ইউনাইটেড গ্রুপকে জবাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজউক কর্তৃপক্ষ।

রাজউক বলছে, অনুমোদন ছাড়া মাদানী এভিনিউয়ে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের জন্য গড়ে তোলা পাঁচ তলা ভবনটি অবৈধ। ভবনটি নির্মাণের সময় রাজউক থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেটি ভেঙে ফেলতে চিঠি দেওয়া হলেও ইউনাইটেড গ্রুপ কোনো জবাব দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের নোটিশদাতা কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত ইউনাইটেড গ্রুপ কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। আমরা জবাবের অপেক্ষা করছিলাম। এখন ঊধ্বর্তনদের জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজউকের দেওয়া চিঠির জবাব প্রসঙ্গে জানতে ইউনাইটেড গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার শীষ স্বপ্নিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজউকের নোটিশ প্রাপক ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন হাসান রশিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারও বক্তব্য মেলেনি।

জানা গেছে, ইউনাইটেড রাজউক থেকে ওই ভবনটি ‘বাণিজ্যিক ভবন’ হিসেবে নির্মান করতে আবেদন করেছিল। তবে সেটির অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেয়নি রাজউক। এরপরও তারা ভবন নির্মান করে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে  আমাদের মাতৃভূমি। তারা জানান, ইউনাইটেড গ্রুপের ইউনাইটেড সিটিসহ তাদের গড়ে তোলা ভবনগুলো নির্মাণে আইনের ব্যত্যয় হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা আছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইউনাইটেডের ছয়টি ভবনের মধ্যে পাঁচটির অনুমোদন দেখতে পান। তবে একটির অনুমোদন নেই। অনুমোদন না থাকা বিশাল ওই ভবনটিতে ইউনাইটেডের প্রধান কার্যালয়।
জানা গেছে, শুধু প্রধান কার্যালয়টিই নয়, ইউনাইটেড গ্রুপের আরও কিছু স্থাপনা রাজউকের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা হয়েছে। কোনো নিয়ম-কানুন না মেনেই অবৈধ উপায়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী গ্রুপটি।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদানী এভিনিউ যেটি ১০০ ফিট রাস্তা নামেও পরিচিত, সেটির পাশে ২৫ বিঘা জমির ওপর গড়া ইউনাইটেড সিটি। সেখানে গ্রুপটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও আইটি পার্ক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড মেডিকেল, ইউনাইটেড ফার্মাসহ ইউনাইটেড গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।
সূত্র বলছে, ইউনাইটেড গ্রুপের এই স্থাপনাগুলো নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন আছে কি-না কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আলাদা কর্মকর্তা। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনের কোনো নথি পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন ও বিধি সকল নাগরিকের জন্য সমান হতে হবে। ইতোপূর্বে যারা আইন মানেনি, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে নজির তৈরি করতে হবে। তাহলেই এমন অপকর্ম রোধ করা সম্ভব।

পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘যেটা অনুমতি ছাড়া তৈরি, রাজউকের উচিত সেটা দ্রুত অপসারণে কাজ শুরু করা। এর আগে অনুমোদন না থাকা র‌্যাংগস ভবন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে দেখেছি।’
এই পরিবেশবিদ মনে করেন, মানুষকে নিয়ম মানাতে রাউজউকের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেকোনো ভবন তৈরির আগে রাজউক কর্তৃপক্ষকেই অনুমতি বা অনুমোদন কড়াভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগ আছে, ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা সরকারকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। এছাড়া অবৈধভাবে বিদেশে বিপুল অর্থ-পাচারের অভিযোগে শিল্পগ্রুপটির কর্ণধারদের নামে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সাবেক সেনাপ্রধান আব্দুল মুবিন ও কর্নেল (অব.) মো. আফজাল ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অন্যতম কারিগর হিসেবে পরিচিত আব্দুল মুবিন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আটকের পর নির্যাতনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আফজালের নাম আসে। সাবেক এই দুই সেনা কর্মকর্তাকে ইউনাইটেড গ্রুপে পুর্নবাসন করা হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অবৈধ ভবন ভাঙার নোটিশের জবাব দেয়নি ইউনাইটেড, বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য (দ্বিতীয় পর্ব)

আপডেট সময় ০২:২৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর ভাটারা এলাকার মাদানী এভিনিউয়ে পাঁচতলা সুবিশাল ভবন। যা নির্মাণে নিয়ম-অনুমোদনের ধার ধারেনি ইউনাইটেড গ্রুপ। অবৈধভাবে গড়ে তোলা ভবনটি কেন ভেঙে ফেলা হবে না, জানতে নোটিশ দিয়েছিল রাজউক। তবে জবাব দেওয়ার নির্ধারিত সাত কর্মদিবসের পার হলেও জবাব দেয়নি ইউনাইটেড গ্রুপ।

গত ৩ নভেম্বর রাজউকের মহাখালী জোনের অথরাইজড অফিসার-৪/১ ইমরুল হাসান স্বাক্ষরিত নোটিশটি পাঠানো হয় ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন হাসান রশীদের কাছে

নোটিশে বলা হয়, ঢাকার মাদানী এভিনিউয়ের বড় কাঠালদিয়া মৌজায় রাজউকের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকায় ইউনাইটেড গ্রুপের একটি পাঁচতলা ইমারত (ভবন) রয়েছে। যা ড্যাপের আওতাধীন এলাকায় পাঁচতলা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন, ১৯৫২ সালের ধারা-৩ এবং ঢাকা মহানগর ইমারত বিধিমালা-২০০৮ লঙ্ঘন করে রাজউক হতে অনুমোদন না নিয়েই করা হয়েছে। উল্লেখিত ইমারত ব্যবহার আইন ও বিধির প্রতি অশ্রদ্ধার শামিল।

সাত দিনের মধ্যে ইউনাইটেড গ্রুপকে জবাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজউক কর্তৃপক্ষ।

রাজউক বলছে, অনুমোদন ছাড়া মাদানী এভিনিউয়ে ইউনাইটেড গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ের জন্য গড়ে তোলা পাঁচ তলা ভবনটি অবৈধ। ভবনটি নির্মাণের সময় রাজউক থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। সেটি ভেঙে ফেলতে চিঠি দেওয়া হলেও ইউনাইটেড গ্রুপ কোনো জবাব দেয়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের নোটিশদাতা কর্মকর্তা ইমরুল হাসান বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত ইউনাইটেড গ্রুপ কোনো চিঠির জবাব দেয়নি। আমরা জবাবের অপেক্ষা করছিলাম। এখন ঊধ্বর্তনদের জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজউকের দেওয়া চিঠির জবাব প্রসঙ্গে জানতে ইউনাইটেড গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার শীষ স্বপ্নিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রাজউকের নোটিশ প্রাপক ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন হাসান রশিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারও বক্তব্য মেলেনি।

জানা গেছে, ইউনাইটেড রাজউক থেকে ওই ভবনটি ‘বাণিজ্যিক ভবন’ হিসেবে নির্মান করতে আবেদন করেছিল। তবে সেটির অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেয়নি রাজউক। এরপরও তারা ভবন নির্মান করে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে  আমাদের মাতৃভূমি। তারা জানান, ইউনাইটেড গ্রুপের ইউনাইটেড সিটিসহ তাদের গড়ে তোলা ভবনগুলো নির্মাণে আইনের ব্যত্যয় হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা আছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইউনাইটেডের ছয়টি ভবনের মধ্যে পাঁচটির অনুমোদন দেখতে পান। তবে একটির অনুমোদন নেই। অনুমোদন না থাকা বিশাল ওই ভবনটিতে ইউনাইটেডের প্রধান কার্যালয়।
জানা গেছে, শুধু প্রধান কার্যালয়টিই নয়, ইউনাইটেড গ্রুপের আরও কিছু স্থাপনা রাজউকের অনুমোদন ছাড়া গড়ে তোলা হয়েছে। কোনো নিয়ম-কানুন না মেনেই অবৈধ উপায়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী গ্রুপটি।

সরেজমিন দেখা গেছে, মাদানী এভিনিউ যেটি ১০০ ফিট রাস্তা নামেও পরিচিত, সেটির পাশে ২৫ বিঘা জমির ওপর গড়া ইউনাইটেড সিটি। সেখানে গ্রুপটির প্রধান কার্যালয় ছাড়াও আইটি পার্ক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড মেডিকেল, ইউনাইটেড ফার্মাসহ ইউনাইটেড গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে।
সূত্র বলছে, ইউনাইটেড গ্রুপের এই স্থাপনাগুলো নির্মাণে রাজউকের অনুমোদন আছে কি-না কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আলাদা কর্মকর্তা। প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদনের কোনো নথি পাওয়া যায়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইন ও বিধি সকল নাগরিকের জন্য সমান হতে হবে। ইতোপূর্বে যারা আইন মানেনি, ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে নজির তৈরি করতে হবে। তাহলেই এমন অপকর্ম রোধ করা সম্ভব।

পরিবেশ আন্দোলন বাংলাদেশের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘যেটা অনুমতি ছাড়া তৈরি, রাজউকের উচিত সেটা দ্রুত অপসারণে কাজ শুরু করা। এর আগে অনুমোদন না থাকা র‌্যাংগস ভবন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে দেখেছি।’
এই পরিবেশবিদ মনে করেন, মানুষকে নিয়ম মানাতে রাউজউকের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেকোনো ভবন তৈরির আগে রাজউক কর্তৃপক্ষকেই অনুমতি বা অনুমোদন কড়াভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
অভিযোগ আছে, ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা সরকারকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে ইউনাইটেড গ্রুপ। এছাড়া অবৈধভাবে বিদেশে বিপুল অর্থ-পাচারের অভিযোগে শিল্পগ্রুপটির কর্ণধারদের নামে তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সাবেক সেনাপ্রধান আব্দুল মুবিন ও কর্নেল (অব.) মো. আফজাল ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত। বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের অন্যতম কারিগর হিসেবে পরিচিত আব্দুল মুবিন। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আটকের পর নির্যাতনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আফজালের নাম আসে। সাবেক এই দুই সেনা কর্মকর্তাকে ইউনাইটেড গ্রুপে পুর্নবাসন করা হয়েছে।