ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, লালমনিরহাটে দুই ওসি প্রত্যাহার

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ওসি ফিরোজ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে দাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ও দুই ওসি। ওই দাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলাম। স্থানীয় বিএনপির তিন কর্মী মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ছবি ধারণ করছিলেন। এসময় পুলিশ তাদের আটক করে। এ খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী তাৎক্ষণিক ওই কোল্ড স্টোরেজের সামনে উপস্থিত হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আটক তিন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোস্তফি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে দুই ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা বিনা কারণেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এতে প্রায় ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে বসা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছিলাম। এ কারণেই পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিচার্জ করেছে।

লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বলেন, এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি ছিল কিন্তু দুই ওসিকে প্রত্যাহার করায় তা বাতিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যাহার হওয়া লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, এসপি স্যারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যারা আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ছবি তুলেছিলেন তারা মাদককারবারি। তাদের আটক করেছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিলাম। কোনো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করিনি। আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামকে আমরা চিনতাম না। কোল্ড স্টোরেজের মালিকের দাওয়াতে আমরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বে অবহেলার দায়ে আপাতত দুই ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) ফজলুল হককে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, লালমনিরহাটে দুই ওসি প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১২:২৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ওসি ফিরোজ হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মোস্তফি এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে দাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ও দুই ওসি। ওই দাওয়াতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলাম। স্থানীয় বিএনপির তিন কর্মী মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ছবি ধারণ করছিলেন। এসময় পুলিশ তাদের আটক করে। এ খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী তাৎক্ষণিক ওই কোল্ড স্টোরেজের সামনে উপস্থিত হন। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আটক তিন ব্যক্তিকে ছেড়ে দেন। পরে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মোস্তফি এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বিএনপির অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে দুই ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা বিনা কারণেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করেন। এতে প্রায় ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে বসা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছিলাম। এ কারণেই পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়ে লাঠিচার্জ করেছে।

লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার বলেন, এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রস্তুতি ছিল কিন্তু দুই ওসিকে প্রত্যাহার করায় তা বাতিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রত্যাহার হওয়া লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, এসপি স্যারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যারা আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ছবি তুলেছিলেন তারা মাদককারবারি। তাদের আটক করেছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিলাম। কোনো বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করিনি। আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামকে আমরা চিনতাম না। কোল্ড স্টোরেজের মালিকের দাওয়াতে আমরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বে অবহেলার দায়ে আপাতত দুই ওসিকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) ফজলুল হককে। আগামী সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।