ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল

নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমরা যেন বিভক্তির রাজনীতি না করি। এখন যেটা প্রয়োজন দেশকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্য আমাদের প্রয়োজন ঐক্য… স্ট্রাকচার তৈরি করেন… সংস্কার অবশ্যই লাগবে। কিন্তু সেই সংস্কারটা হচ্ছে যে, এর পেছনে যে শক্তিটা লাগবে সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচিত পার্লামেন্ট, নির্বাচিত সরকার… এটা ছাড়া সংস্কারকে কখনো লেজিটেমেসি দিতে পারব না আমরা। এটা ফ্যাসিস্টরা পারবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আহ্বান জানাব, দেশের সমস্ত গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদেরকে, স্বাধীনতাকামী মানুষদেরকে যে, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন… বিভাজিত হবেন না। আমি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা যে যেখানে কাজ করছেন সবাইকে অনুরোধ করব বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানিনা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছিনা। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কি দুর্ভাগ্য যে এখন যেটা শুরু হয়েছে এটা এতটুকু সুস্থ ব্যাপার না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ক্ষমতায় তো টিকে থাকতে পারবে তখনই যখন তুমি একটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমরাই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে মাত্র ৪ টা পত্রিকা চালু ছিল, সবগুলো পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। বন্ধ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে মুক্ত করেছিলেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কার। আমরা এই জিনিসগুলো কেউ প্রচার করি না। আমাদের যারা বড় বড় বুদ্ধিমান আছেন, বড় বড় কথা বলছেন তারা কখনোই এই কথাগুলো আনেন না। কারণ তারা অনেকেই মা ও মানুষের সাথে এখনো সম্পৃক্ত হতে পারেন নাই। আমি অনুরোধ করবো সকলকে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ অন্যান্যরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল

আপডেট সময় ০৭:২০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

নির্বাচিত সংসদ ও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমরা যেন বিভক্তির রাজনীতি না করি। এখন যেটা প্রয়োজন দেশকে বাঁচানোর জন্য, গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্য আমাদের প্রয়োজন ঐক্য… স্ট্রাকচার তৈরি করেন… সংস্কার অবশ্যই লাগবে। কিন্তু সেই সংস্কারটা হচ্ছে যে, এর পেছনে যে শক্তিটা লাগবে সেটা হচ্ছে যে, নির্বাচিত পার্লামেন্ট, নির্বাচিত সরকার… এটা ছাড়া সংস্কারকে কখনো লেজিটেমেসি দিতে পারব না আমরা। এটা ফ্যাসিস্টরা পারবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দীর জবানবন্দি’ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আহ্বান জানাব, দেশের সমস্ত গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষদেরকে, স্বাধীনতাকামী মানুষদেরকে যে, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন… বিভাজিত হবেন না। আমি রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা যে যেখানে কাজ করছেন সবাইকে অনুরোধ করব বিভাজন সৃষ্টি করবেন না।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে আমরা কেন জানিনা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছিনা। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কি দুর্ভাগ্য যে এখন যেটা শুরু হয়েছে এটা এতটুকু সুস্থ ব্যাপার না। অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ক্ষমতায় তো টিকে থাকতে পারবে তখনই যখন তুমি একটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।

সংস্কারের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার তো আমরাই প্রথম শুরু করেছি। আমরাই প্রথম সংস্কারের কথা বলেছি। শহিদ জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের দিকে। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাংলাদেশে মাত্র ৪ টা পত্রিকা চালু ছিল, সবগুলো পত্রিকা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। বন্ধ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে মুক্ত করেছিলেন। ভ্রান্ত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি বাদ দিয়ে মুক্ত অর্থনীতি নিয়ে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ১৯ দফা কর্মসূচি ছিল সবচেয়ে বড় সংস্কার। আমরা এই জিনিসগুলো কেউ প্রচার করি না। আমাদের যারা বড় বড় বুদ্ধিমান আছেন, বড় বড় কথা বলছেন তারা কখনোই এই কথাগুলো আনেন না। কারণ তারা অনেকেই মা ও মানুষের সাথে এখনো সম্পৃক্ত হতে পারেন নাই। আমি অনুরোধ করবো সকলকে এই বিষয়গুলো দেখার জন্য।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ অন্যান্যরা।