ঢাকা ১০:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেশ গড়ার মিছিলে শামিল না হলে ২৪ এর রাজাকার বলে চিহ্নিত হবে ছাত্রদল-বিএনপি: তৌহিদ সিয়াম কুয়েটে হামলার প্রতিবাদে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল  ধামইরহাটে অনুষ্ঠিত হলো দুর্নীতিবিরোধী বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০২৫ বেরোবিতে পাঁচ দিনব্যাপী শহিদ আবু সাঈদ বইমেলার উদ্বোধন ঢাকা সাভার পৌরসভার ১৪৩২ সনের হাটবাজার ইজারা টেন্ডার সম্পন্ন নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা যাবে না :মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের বিচার কই? প্রশ্ন ববি শিক্ষার্থীদের কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুম গ্রেফতার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ২০২৫ উপলক্ষে নোয়াখালী জেলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্য গড়ে বাংলাদেশকে দুঃশাসন থেকে রক্ষা করেছে বিএনপি-শিমুল বিশ্বাস

ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে চলছে মিথ্যা ষড়যন্ত্র

  • মোঃ মিলন সরকার
  • আপডেট সময় ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার জনসাধারণের আস্থা এবং ভরসার অপর নাম ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পরে মৌচাক এলাকার জনসাধারণের জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল। লুটপাট করা হয়েছিল ফাঁড়ির সকল আসবাবপত্র। ধ্বংসপ্রায় মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ আসতে সাহস পাচ্ছিল না। ঠিক এইরকম একটি ক্লান্তিলগ্নে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পদায়ন হয় ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলামের। স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। চুরি, ছিনতাই, মাদকদ্রব্যের বিস্তৃতি রোধে সর্বদা জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার প্রায় সকল শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বাসা ও ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের বাসা উত্তরবঙ্গে হওয়ায় সহজেই শ্রমিকদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।

ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলামের সদা হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারে স্থানীয় সকল জনসাধারণের মনের গভীরে অল্প সময়ের মধ্যে ঠাই করে নিয়েছেন । ভুক্তভোগী জনসাধারণের বক্তব্য শ্রবণ করতে কখনোই বিরক্তি প্রকাশ করেন না। মনোযোগ দিয়ে সকলের অভাব অভিযোগ শুনেন এবং আইনগত সেবা প্রদানের জন্য ভূমিকা রাখেন। আর এভাবেই মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সাধারণের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেন ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম।

কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও ৫ ই আগস্ট এর পূর্বের কিছু প্রেতাত্মা ওসি মহিদুলকে বিতর্কিত করার জন্য একের পর এক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিছু হলুদ সাংবাদিক মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ইনচার্জ কে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চাই। কিন্তু সর্বসাধারণের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পৃক্ততার কারণে তাদের এই প্রচেষ্টা বারবারই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে থাকে।

গত কয়েকদিন পূর্বে পুনরায় ধর্ষণ মামলার আসামির স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কাল্পনিক অভিযোগ করে আবারও তাকে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে ফাঁড়ি এলাকাকে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত করার অপপ্রচার প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ওসি মহিদুল ইসলামকে সরানোর জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারীর পাশাপাশি হলুদ সাংবাদিক ও পুলিশ জড়িত থাকতে পারেন ধারণা করেন।

এতকিছুর পরেও ওসি মহিদুল একজন শান্তশিষ্ট বিনয়ী ও পেশাদার একজন মানুষ। কোন অপরাধ সংগঠন হলে তিনি শুধু ভুক্তভোগীকে আশ্বস্তই করেন না, দ্রুত আইনগত সেবা প্রদান করে থাকেন। যার প্রমান মিলেছে গত ১২ই ডিসেম্বর ২৪ তারিখে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র শিহান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার টিম সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত আলামত জব্দ করে স্থানীয় জনগণের আস্থা দৃঢ়ভাবে অর্জন করেন।

তবে ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বার বার কেন অভিযোগ হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইনচার্জ মহিদুল দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি জানতে পারেন, ৫ই আগষ্টের পূর্বে একটি বিশেষ মহল মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি হতে মাসিক চাঁদা নিতো। তিনি সেই চাঁদা প্রদান থেকে বিরত থাকা সহ ৫ই আগস্ট এর অভ্যুত্থানবিরোধী অনৈতিক শক্তিকে সুবিধা গ্রহণ করতে না দেয়ায় তারা তাকে সরানোর জন্য সর্বদা সচেষ্ট। তবে এ ব্যাপারে ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে সর্বদা কাজের মাধ্যমে সকলের আস্থা অর্জন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সেজন্য মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সর্বসাধারণের পাশাপাশি সকল শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবী ও পেশাদার সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা কামনা করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশ গড়ার মিছিলে শামিল না হলে ২৪ এর রাজাকার বলে চিহ্নিত হবে ছাত্রদল-বিএনপি: তৌহিদ সিয়াম

ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বিরুদ্ধে চলছে মিথ্যা ষড়যন্ত্র

আপডেট সময় ১১:০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার জনসাধারণের আস্থা এবং ভরসার অপর নাম ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ৫ ই আগস্টের অভ্যুত্থানের পরে মৌচাক এলাকার জনসাধারণের জমে থাকা দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালিয়েছিল। লুটপাট করা হয়েছিল ফাঁড়ির সকল আসবাবপত্র। ধ্বংসপ্রায় মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ আসতে সাহস পাচ্ছিল না। ঠিক এইরকম একটি ক্লান্তিলগ্নে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়িতে পদায়ন হয় ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলামের। স্থানীয় সর্বস্তরের জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে শুরু করেন। চুরি, ছিনতাই, মাদকদ্রব্যের বিস্তৃতি রোধে সর্বদা জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকার প্রায় সকল শিল্পকারখানার শ্রমিকদের বাসা ও ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের বাসা উত্তরবঙ্গে হওয়ায় সহজেই শ্রমিকদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন।

ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলামের সদা হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারে স্থানীয় সকল জনসাধারণের মনের গভীরে অল্প সময়ের মধ্যে ঠাই করে নিয়েছেন । ভুক্তভোগী জনসাধারণের বক্তব্য শ্রবণ করতে কখনোই বিরক্তি প্রকাশ করেন না। মনোযোগ দিয়ে সকলের অভাব অভিযোগ শুনেন এবং আইনগত সেবা প্রদানের জন্য ভূমিকা রাখেন। আর এভাবেই মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সাধারণের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেন ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম।

কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ও ৫ ই আগস্ট এর পূর্বের কিছু প্রেতাত্মা ওসি মহিদুলকে বিতর্কিত করার জন্য একের পর এক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। কিছু হলুদ সাংবাদিক মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ইনচার্জ কে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চাই। কিন্তু সর্বসাধারণের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পৃক্ততার কারণে তাদের এই প্রচেষ্টা বারবারই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে থাকে।

গত কয়েকদিন পূর্বে পুনরায় ধর্ষণ মামলার আসামির স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কাল্পনিক অভিযোগ করে আবারও তাকে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি থেকে সরিয়ে ফাঁড়ি এলাকাকে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত করার অপপ্রচার প্রচেষ্টা। এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, ওসি মহিদুল ইসলামকে সরানোর জন্য কিছু দুষ্কৃতিকারীর পাশাপাশি হলুদ সাংবাদিক ও পুলিশ জড়িত থাকতে পারেন ধারণা করেন।

এতকিছুর পরেও ওসি মহিদুল একজন শান্তশিষ্ট বিনয়ী ও পেশাদার একজন মানুষ। কোন অপরাধ সংগঠন হলে তিনি শুধু ভুক্তভোগীকে আশ্বস্তই করেন না, দ্রুত আইনগত সেবা প্রদান করে থাকেন। যার প্রমান মিলেছে গত ১২ই ডিসেম্বর ২৪ তারিখে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মেধাবী ছাত্র শিহান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার টিম সকল হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ছিনতাইকৃত আলামত জব্দ করে স্থানীয় জনগণের আস্থা দৃঢ়ভাবে অর্জন করেন।

তবে ইনচার্জ মহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে বার বার কেন অভিযোগ হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, ইনচার্জ মহিদুল দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি জানতে পারেন, ৫ই আগষ্টের পূর্বে একটি বিশেষ মহল মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি হতে মাসিক চাঁদা নিতো। তিনি সেই চাঁদা প্রদান থেকে বিরত থাকা সহ ৫ই আগস্ট এর অভ্যুত্থানবিরোধী অনৈতিক শক্তিকে সুবিধা গ্রহণ করতে না দেয়ায় তারা তাকে সরানোর জন্য সর্বদা সচেষ্ট। তবে এ ব্যাপারে ইনচার্জ মহিদুল ইসলাম বলেন, তিনি অন্যায়ের কাছে মাথানত না করে সর্বদা কাজের মাধ্যমে সকলের আস্থা অর্জন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। সেজন্য মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার সর্বসাধারণের পাশাপাশি সকল শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সমাজসেবী ও পেশাদার সাংবাদিক ভাই-বোনদের সহযোগিতা কামনা করেন।