ঢাকা ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালুর দাবিতে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ কমলনগরে বাড়ীর চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধ-সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮ সোনারগাঁয়ে প্রতিবন্ধী তরুণীর ধর্ষক গ্রেপ্তার কুমিল্লা সদর দক্ষিণে অস্ত্রসহ যুবক গ্রেফতার নদীর পাড় থেকে অজ্ঞাত নারী-শিশুর মরদেহ উদ্ধার বোরহানউদ্দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ইটভাটায় অভিযান আইএফআইসি ব্যাংক পি এস সি মানিকগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মাসুূদ পারভেজ খান এর বিদায় উপলক্ষে সন্মননা ক্রেস্ট প্রদান জাফলংয়ে ইউপি সদস্যের উপর হামলায় শ্রমিকদের প্রতিবাদ শ্রীপুর বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পাটগ্রামে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মোস্তফা ও সিত্তুল মুনার দেহব্যবসা নিজের বাইকে মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ আনোয়ার সেলিম কে ডিভোর্স দিলেও মাসে আটদিন থাকে মুনার বিছানায়

মোস্তফা ও মুনার দেহব্যবসার আড়ালে নিজের বাইকে মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ মাদক সাপ্লাইয়ের সরবরাহকারী সাইদুল ও অনুজদাশ এর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাদক ও দেহ ব্যবসা নিজ ফ্ল্যাটে চলছে। মুনার সাবেক স্বামী আনোয়ার সেলিমকে ডিভোর্স দিলেও সাম্প্রতিক ওই বাসায় অবস্থান করছেন। মাদক সাপ্লাইয়ের কাজে মুনা মোস্তফা মিলে নিজের বাইক ব্যবহার করছে। নিজ অপরাধের জন্য ডিএমপির কাফরুল , মোহাম্মদ পুর ও রমনাসহ একাধিক থানায় মামলায় আটক ও হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তার বড় বোনের জামাই ইউনুস আলী থানা থেকে মুসলেকায় ছাড়িয়ে আনার প্রমাণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় মাদক বিক্রির অপরাধে কাফরুল থানায় একটি মামলা রুজু হওয়ায় গ্রেফতার এড়াতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে। দেহ ব্যবসার জন্য চিটাগাং এর পদুয়া থেকে ইসহাক আলী কাজের বুয়ার নাম করে মেয়ে যোগাড় করে দেন। ওই কাজের জন্য ইসহাক আলীকে ১৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। দালাল ইসহাক মেয়ে ঠিক করলে মোস্তফা সরদার পদুয়া থেকে রিসিভ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকায় খদ্দের সাপ্লাইয়ের জন্য সাইদুর ও অনুজ দাশ নামে দু’জন দালাল রয়েছে। দালাল ইসহাক এর আগেও রুবি ও রুমানিয়া নামে দুই নারীকে মুনার বাসায় সরবরাহ করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে আনোয়ার সেলিমকে ডিভোর্স দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক মাসে আট দিন মুনার ফ্ল্যাটে রাতযাপন করছেন। ওই ফ্লাটে থাকা বসবাসকারীরা বাধা প্রদান করলেও তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করা হয়। ওই ভবনে থাকা ম্যানেজার জুবায়ের এর কাছে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ভাই আপনারা এসে তদন্ত করে দেখেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা আমার উপরে অনেক চাপ আছে। এ ফ্ল্যাটটি আনোয়ার সেলিমের সে আসলে আমরা বাধা দিতে পারি না।
এদিকে মোস্তফা সরদার তপনের পরিবারের একাধিক আত্মীয়-স্বজন দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, মোস্তফা প্রতারণা করে চাকরির নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুলনায় পালিয়ে গিয়ে হিন্দু নাম দিয়ে প্রতারণা করে অন্য এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। ওখান থেকে কুষ্টিয়া গিয়েও এক নারীর সাথে প্রতারণা করে বিয়ে করে ঢাকায় পালিয়ে যান। ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে থেরাপিতে পিএইচডি করা পরিচয় দিয়ে একাধিক নারীর সাথে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেন এবং দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মোস্তফার অপকর্মের দায়ে ডিএমপির একাধিক থানায় গ্রেফতার হলেও তার আপন বোন জামাই ইউনুস আলী মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। তবে ছাড়া পেয়ে আবার সে মাদক ও দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। আমরা পরিবারের লোক লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না সে কারণে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
মোস্তফার আপন বোন হাছিনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে আরও বলেন , আমার আপন ভাই মোস্তফা কিন্তু তার অপকর্মের জন্য আমরা কোন যোগাযোগ করছি না। সে ঢাকায় একাধিকবার আটক হয়েছে আমার স্বামী ইউনুস আলী মুসলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনছেন। ছাড়া পেয়ে আবার সে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন সে কারণে আমরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে দালাল ইসহাক আলীর কাছে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন , আমি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে রুবিনা ও রুমানিয়া নামক একাধিক কাজের মেয়ে ঠিক করে দিয়েছি। মোস্তফা পদুয়া এসে রিসিভ করে ওই মেয়েদেরকে ঢাকার বাসায় নিয়ে যান। এক একটি মেয়ের প্রতি আমাকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে দিয়েছে ৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য যে মোস্তফা সরকার তপন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক এক থানায় ভিন্ন ভিন্ন জেলা উপজেলা নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ছয়টি ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করছেন। ওই আইডি কার্ডে নাম পিতার নাম বয়সের ব্যবধান দেখিয়েছেন। মোস্তফার বয়স ৩৬ ২৭ ,৩৩ ,৩৪ ,৩৮ ২২ ,দেখিয়েছেন আবার মোস্তফা মুস্তাকি , মোস্তফা মৃধাসহ আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার পিতার নামেও ভিন্নতা রেখেছেন যেমন বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ বিল্লাল, বিল্লাল মৃধা ,বিল্লাল মাঝি ,ও ব্যবহার করছেন এ প্রতারক। বাংলাদেশ প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা চালুর দাবিতে ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মোস্তফা ও সিত্তুল মুনার দেহব্যবসা নিজের বাইকে মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ আনোয়ার সেলিম কে ডিভোর্স দিলেও মাসে আটদিন থাকে মুনার বিছানায়

আপডেট সময় ০৬:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মোস্তফা ও মুনার দেহব্যবসার আড়ালে নিজের বাইকে মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ মাদক সাপ্লাইয়ের সরবরাহকারী সাইদুল ও অনুজদাশ এর জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। মাদক ও দেহ ব্যবসা নিজ ফ্ল্যাটে চলছে। মুনার সাবেক স্বামী আনোয়ার সেলিমকে ডিভোর্স দিলেও সাম্প্রতিক ওই বাসায় অবস্থান করছেন। মাদক সাপ্লাইয়ের কাজে মুনা মোস্তফা মিলে নিজের বাইক ব্যবহার করছে। নিজ অপরাধের জন্য ডিএমপির কাফরুল , মোহাম্মদ পুর ও রমনাসহ একাধিক থানায় মামলায় আটক ও হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তার বড় বোনের জামাই ইউনুস আলী থানা থেকে মুসলেকায় ছাড়িয়ে আনার প্রমাণ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় মাদক বিক্রির অপরাধে কাফরুল থানায় একটি মামলা রুজু হওয়ায় গ্রেফতার এড়াতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে। দেহ ব্যবসার জন্য চিটাগাং এর পদুয়া থেকে ইসহাক আলী কাজের বুয়ার নাম করে মেয়ে যোগাড় করে দেন। ওই কাজের জন্য ইসহাক আলীকে ১৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। দালাল ইসহাক মেয়ে ঠিক করলে মোস্তফা সরদার পদুয়া থেকে রিসিভ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকায় খদ্দের সাপ্লাইয়ের জন্য সাইদুর ও অনুজ দাশ নামে দু’জন দালাল রয়েছে। দালাল ইসহাক এর আগেও রুবি ও রুমানিয়া নামে দুই নারীকে মুনার বাসায় সরবরাহ করেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে আনোয়ার সেলিমকে ডিভোর্স দেওয়া হলেও সাম্প্রতিক মাসে আট দিন মুনার ফ্ল্যাটে রাতযাপন করছেন। ওই ফ্লাটে থাকা বসবাসকারীরা বাধা প্রদান করলেও তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ নানাভাবে হুমকি প্রদান করা হয়। ওই ভবনে থাকা ম্যানেজার জুবায়ের এর কাছে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, ভাই আপনারা এসে তদন্ত করে দেখেন আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবোনা আমার উপরে অনেক চাপ আছে। এ ফ্ল্যাটটি আনোয়ার সেলিমের সে আসলে আমরা বাধা দিতে পারি না।
এদিকে মোস্তফা সরদার তপনের পরিবারের একাধিক আত্মীয়-স্বজন দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন, মোস্তফা প্রতারণা করে চাকরির নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে খুলনায় পালিয়ে গিয়ে হিন্দু নাম দিয়ে প্রতারণা করে অন্য এক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেন। ওখান থেকে কুষ্টিয়া গিয়েও এক নারীর সাথে প্রতারণা করে বিয়ে করে ঢাকায় পালিয়ে যান। ঢাকায় পালিয়ে গিয়ে থেরাপিতে পিএইচডি করা পরিচয় দিয়ে একাধিক নারীর সাথে ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করেন এবং দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মোস্তফার অপকর্মের দায়ে ডিএমপির একাধিক থানায় গ্রেফতার হলেও তার আপন বোন জামাই ইউনুস আলী মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেন। তবে ছাড়া পেয়ে আবার সে মাদক ও দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। আমরা পরিবারের লোক লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না সে কারণে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
মোস্তফার আপন বোন হাছিনা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে আরও বলেন , আমার আপন ভাই মোস্তফা কিন্তু তার অপকর্মের জন্য আমরা কোন যোগাযোগ করছি না। সে ঢাকায় একাধিকবার আটক হয়েছে আমার স্বামী ইউনুস আলী মুসলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনছেন। ছাড়া পেয়ে আবার সে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন সে কারণে আমরা যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।
এদিকে দালাল ইসহাক আলীর কাছে জানতে চাইলে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন , আমি আশ্রয় কেন্দ্র থেকে রুবিনা ও রুমানিয়া নামক একাধিক কাজের মেয়ে ঠিক করে দিয়েছি। মোস্তফা পদুয়া এসে রিসিভ করে ওই মেয়েদেরকে ঢাকার বাসায় নিয়ে যান। এক একটি মেয়ের প্রতি আমাকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও আমাকে দিয়েছে ৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য যে মোস্তফা সরকার তপন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এক এক থানায় ভিন্ন ভিন্ন জেলা উপজেলা নাম ঠিকানা ব্যবহার করে ছয়টি ন্যাশনাল আইডি কার্ড ব্যবহার করছেন। ওই আইডি কার্ডে নাম পিতার নাম বয়সের ব্যবধান দেখিয়েছেন। মোস্তফার বয়স ৩৬ ২৭ ,৩৩ ,৩৪ ,৩৮ ২২ ,দেখিয়েছেন আবার মোস্তফা মুস্তাকি , মোস্তফা মৃধাসহ আলাদা আলাদা মোবাইল নম্বর ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার পিতার নামেও ভিন্নতা রেখেছেন যেমন বিল্লাল হোসেন, মোহাম্মদ বিল্লাল, বিল্লাল মৃধা ,বিল্লাল মাঝি ,ও ব্যবহার করছেন এ প্রতারক। বাংলাদেশ প্রচলিত আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।