জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত নাম ও তথ্যাদির মধ্যে এখনো যেগুলো যুক্ত হয়নি সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে গণঅভ্যুত্থানের ভিডিও ফুটেজ, ছবি বা অন্যান্য তথ্যাদির গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৭ অক্টোবর অফিস আদেশ মোতাবেক জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, শহিদ ও আহত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চূড়ান্তকরণ, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা এবং তাদের পরিবারবর্গকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আওতায় ‘গণ-অভ্যূত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল’ গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যপরিধির (টিওআর) আওতায় বিশেষ সেল জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানের ছবি, ভিডিও ফুটেজ, বক্তব্য, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত নিবন্ধ, রিপোর্ট সংগ্রহ করছে।
এ লক্ষ্যে, সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছ থেকে গণঅভ্যুত্থানকালীন ১৬ জুলাই হতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাবলীর ধারণকৃত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ আহ্বান করা হচ্ছে। এমতাবস্থায়, জনসাধারণের কাছে সংগৃহীত/সংরক্ষিত গণঅভ্যুত্থানকালীন ধারণকৃত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের গুগল ড্রাইভে ([email protected]) আপলোড করার জন্য অনুরোধ করা হলো। এছাড়াও এসকল তথ্য (স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ ও ডকুমেন্টারি) বর্ণিত সময়ের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) পেনড্রাইভ যোগে প্রেরণ অথবা সরাসরি হস্তান্তর করা যাবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাইয়ের শেষ দিকে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার তুমুল এ গণআন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। এর আগে এ আন্দোলন দমাতে গিয়ে ব্যাপক সহিংসতা ঘটনা ঘটে। এত বিপুল হতাহত হয়।
সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে হতাহতের এ তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম-এমআইএস হতাহতদের তথ্য সংরক্ষণ করছে।