কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনকে অভিযুক্ত করে থানায় এ মামলা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত এক আসামি আনোয়ার মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের প্রতিবেশী শওকত মিয়ার ছেলে মোশারফ মিয়া, জাহির উল্লাহর ছেলে শাহ আলম ও মানিক মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া।
এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে অভিযুক্তদের পূর্ব শত্রুতা ছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী বাসায় না থাকায় এবং গৃহবধূ বাসায় একা আছেন জেনে অভিযুক্তরা রাত ২টায় তার ঘরে ঢোকেন। এ সময় গৃহবধূর মুখ চেপে ধরে প্রথমে মোশারফ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে শাহ আলম ও আনোয়ার তাকে পর পর ধর্ষণ করেন এবং সবাই পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তার জ্ঞান ফিরে এলে রাতেই গৃহবধূ তার স্বামীকে ধর্ষণের ঘটনা জানান।
ঘটনার রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী ঢাকায় ছিলেন। তিনি খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে ভৈরবে ফিরে থানায় এ বিষয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত আনোয়ারকে গ্রেফতার করে। তবে অপর দুই আসামি পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে থানায় কথা হলে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের সঙ্গে আমার পূর্বশত্রুতা ছিল। ঘটনার রাতে আমি একটা কাজে ঢাকায় ছিলাম। বাসায় আমার স্ত্রী একাই ছিল। সুযোগ পেয়ে আসামিরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি বাদী হয়ে তিনজনের নামে থানায় মামলা করেছি। এ ঘটনার কঠোর বিচার চাই।
ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফূয়াদ রুহানি জানান, ঘটনা জানার পর তৎক্ষণাত আসামি আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হলেও অন্য দুজন পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে শনিবার কিশোরগঞ্জে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। গৃহবধূর স্বামী এ ব্যাপারে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।