ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দোয়ারাবাজারে লামাসানিয়া প্রিমিয়ার লীগ (LPL) ১০ম আসর ২০২৫ এর উদ্ভোধন লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ও খুনীদের বিচারের দাবি মনোহরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত হরিপুরে শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত চলতি মাসেই আসছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল দোয়ারাবাজারে ভারতীয় গরুর চালান আটক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ গানে কিশোরীর নাচ প্রধান শিক্ষককে শোকজ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা ৪৪তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা বিজিবির অভিযানে রেলস্টেশন থেকে ৮৭ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

রিক্সা চালক থেকে চাঁদাবাজ! প্রতারণার শীর্ষে সেই সোহেল

পেশায় ছিলেন অটোরিকশা লাইনম্যান। তারই সূত্র ধরে সখ্যতা গড়ে উঠে পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় বিস্তার করেন প্রতারণার জাল। এই জালই সর্বশান্ত করেন পুলিশ ও সাধারন মানুষকে। অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে অর্থ নিয়ে গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা, তার ছায়াও কেউ দেখতে পায়নি। বর্তমানে পলাতক আসামীর মতো লুকিয়ে আছে নগরের মধ্যই।

বলছিলাম নগরের বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ধুপপোলের মো,সোহলের প্রতারণার ফিরিস্থি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মো সোহেল এক সময় রিক্সা চালাতেন। তারই সূত্র ধরে পরিচয় হয় পুলিশের সাথে।এক সময় শুরু করেন অটোরিকশা নিয়ন্ত্রন। শুরু হয় চাঁদাবাজির হাতে খড়ি।

এদিকে,তারই প্রতারণার জালে পড়েন,নগরের আকবরশাহ থানা এলাকার সুমন দে নামের এক ভুক্তভোগী। পাঁচটি অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেন সোহেল। কিন্তু গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা,গত ৬ মাস সোহেল কে আর দেখা যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায় যায়নি। এমনই অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন সুমন দে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সুমন দে বলেন,আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে প্রতারক সোহেল। আমার শেষ সম্বল তার হাতে বিশ্বাস করে তুলে দিয়েছি। কিন্তু সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। থানায় সাধারন ডায়েরি করেও কোন প্রতিকার পাইনি এখনো।

যোগাযোগ করা হলে বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল্লা আল নোমান বলেন,আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করেন ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।

এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মো,সোহেল বলেন,আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা এই বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিনব করে দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দোয়ারাবাজারে লামাসানিয়া প্রিমিয়ার লীগ (LPL) ১০ম আসর ২০২৫ এর উদ্ভোধন

রিক্সা চালক থেকে চাঁদাবাজ! প্রতারণার শীর্ষে সেই সোহেল

আপডেট সময় ১২:০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

পেশায় ছিলেন অটোরিকশা লাইনম্যান। তারই সূত্র ধরে সখ্যতা গড়ে উঠে পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় বিস্তার করেন প্রতারণার জাল। এই জালই সর্বশান্ত করেন পুলিশ ও সাধারন মানুষকে। অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে অর্থ নিয়ে গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা, তার ছায়াও কেউ দেখতে পায়নি। বর্তমানে পলাতক আসামীর মতো লুকিয়ে আছে নগরের মধ্যই।

বলছিলাম নগরের বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ধুপপোলের মো,সোহলের প্রতারণার ফিরিস্থি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মো সোহেল এক সময় রিক্সা চালাতেন। তারই সূত্র ধরে পরিচয় হয় পুলিশের সাথে।এক সময় শুরু করেন অটোরিকশা নিয়ন্ত্রন। শুরু হয় চাঁদাবাজির হাতে খড়ি।

এদিকে,তারই প্রতারণার জালে পড়েন,নগরের আকবরশাহ থানা এলাকার সুমন দে নামের এক ভুক্তভোগী। পাঁচটি অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেন সোহেল। কিন্তু গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা,গত ৬ মাস সোহেল কে আর দেখা যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায় যায়নি। এমনই অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন সুমন দে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সুমন দে বলেন,আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে প্রতারক সোহেল। আমার শেষ সম্বল তার হাতে বিশ্বাস করে তুলে দিয়েছি। কিন্তু সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। থানায় সাধারন ডায়েরি করেও কোন প্রতিকার পাইনি এখনো।

যোগাযোগ করা হলে বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল্লা আল নোমান বলেন,আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করেন ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।

এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মো,সোহেল বলেন,আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা এই বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিনব করে দেন।