পেশায় ছিলেন অটোরিকশা লাইনম্যান। তারই সূত্র ধরে সখ্যতা গড়ে উঠে পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে। তারই ধারাবাহিকতায় বিস্তার করেন প্রতারণার জাল। এই জালই সর্বশান্ত করেন পুলিশ ও সাধারন মানুষকে। অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে অর্থ নিয়ে গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা, তার ছায়াও কেউ দেখতে পায়নি। বর্তমানে পলাতক আসামীর মতো লুকিয়ে আছে নগরের মধ্যই।
বলছিলাম নগরের বন্দর থানাধীন সল্টগোলা ক্রসিং এলাকার ধুপপোলের মো,সোহলের প্রতারণার ফিরিস্থি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মো সোহেল এক সময় রিক্সা চালাতেন। তারই সূত্র ধরে পরিচয় হয় পুলিশের সাথে।এক সময় শুরু করেন অটোরিকশা নিয়ন্ত্রন। শুরু হয় চাঁদাবাজির হাতে খড়ি।
এদিকে,তারই প্রতারণার জালে পড়েন,নগরের আকবরশাহ থানা এলাকার সুমন দে নামের এক ভুক্তভোগী। পাঁচটি অটোরিকশা কিনে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেন সোহেল। কিন্তু গাড়ি কিনে দেওয়া তো দুরের কথা,গত ৬ মাস সোহেল কে আর দেখা যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগ করলেও তাকে পাওয়া যায় যায়নি। এমনই অভিযোগ এনে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন সুমন দে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী সুমন দে বলেন,আমাকে সর্বশান্ত করে দিয়েছে প্রতারক সোহেল। আমার শেষ সম্বল তার হাতে বিশ্বাস করে তুলে দিয়েছি। কিন্তু সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। থানায় সাধারন ডায়েরি করেও কোন প্রতিকার পাইনি এখনো।
যোগাযোগ করা হলে বন্দর থানার সল্টগোলা ক্রসিং ফাড়ির ইনচার্জ আবদুল্লা আল নোমান বলেন,আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করছি। তার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারীর একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত করেন ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মো,সোহেল বলেন,আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা এই বলেই মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিনব করে দেন।