ঢাকা ০১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি যবিপ্রবির সামাজিক ক্লাব কতৃক -কোয়ান্টাম সাইন্স ফেস্ট -২০২৫ আয়োজন। পবিপ্রবিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণে জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা

ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু!

  • তৌহিদুর রহমান
  • আপডেট সময় ১১:২৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫১২ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যুতে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী আয়েশা ইসলাম নূরানী। ওই মেয়ের নাম আদ্রিতা বিনতে মোশাররফ(২১)। আর ওই ঘাতক পিতার নাম মোশাররফ হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক। এ হত্যাকাণ্ডটি ৩১ মার্চ ২০২৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১/ই দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ঘটে। এ সময় সিলিং এর রডের সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ভোর ৫ টায় এস আই এলিস মাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। শাহবাগ থানার ওই অপমৃত্যু মামলা নম্বর ৪৩/২৪। প্রাপ্ত তথ‍্যে জানা যায়, মোশাররফ এর স্ত্রী আয়েশা ইসলাম নূরানী তার শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে ২০১৩ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নূরানী তার একমাত্র মেয়ে আদ্রিতা হত্যার বিচার চেয়ে ২১ জুন ২০২৪, শাহবাগ থানায় আবেদন করেন। এছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত-পূর্বক ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে ২৬ অক্টোবর ২০২৪, বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি বরাবর লিখিতভাবে আইনি সহায়তা চেয়েছেন নূরানী ইসলাম। এরপর তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করার ক্ষমতাও ঐ সংস্থাকে দিয়েছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। গভীর তথ্যা নুসন্ধানে জানা গেছে, মোশাররফ একজন চরিত্রহীন, লম্পট,মহিলা হেনস্তাকারী ও যৌন নিপীড়ক ব্যক্তিত্বহীন শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্থা ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি,১৬ আগস্ট ২০২৪, শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি ও ডিপার্টমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন, ২১ আগস্ট ২০২৪ ছাত্রী হেনস্তা ও যৌন নিপীড়নকারী ওই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বাধা প্রদানকারী স্বৈরাচারের দোশর হিসেবে অধ্যাপক মোশারফ ও সুমন দাসের বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সামনে জুতা নিক্ষেপ লটারি গেমস কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মোশাররফ নিজেই ১৭ আগস্ট ২০২৪ রেজিস্টার বরাবর নিজেই পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুন্দরী মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় মোশাররফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরীচ‍্যুত হয়। নূরানী ওই মানবাধিকার সংস্থার আবেদনে উল্লেখ করেন, মোশাররফ পূর্বের থেকেই স্ত্রী ও কন্যার ওপর কারণে অকারণে অমানবিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ২০১৩ সালে নূরানী বিদেশে চলে যাবার পর তার মেয়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা চরমভাবে বাড়িয়ে দেয়। আদ্রিতা তার বাবা মোশারফ ও কাজের বুয়া আমেনার সাথে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করত। মোশাররফ নিজের দোষ আড়াল করতে তার মেয়ের অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে গণমাধ্যমে ফলাওভাবে প্রকাশ করে। ৩১ মার্চ ২০২৪ সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণ করে তার গ্রামের বাড়ি লাকসামের মজলিসপুরে দ্রুত দাফন করে। এই লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন নারী এসআই তুলসী সেন এবং এসআই এলিস মাহমুদ ২৪ এপ্রিল ২০২৪, মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন। নূরানী আরো উল্লেখ করেন, লম্পট মোশাররফ সকলের কাছে স্ত্রী নূরানী ইসলামকে তালাক দিয়েছেন বলে মিথ্যা প্রচার করছেন। কারণ নিয়মানুযায়ী আইনজীবী দ্বারা তালাকনামা তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নুরানীর নেদারল্যান্ডের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠাতে হবে কিন্তু সে তা না করে সবার সাথে মিথ্যাচার করছে।

 

মিথ্যাবাদী মোশাররফ নিজেই তার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে বলে একাধিক ঘনিষ্ঠজনরা আরো উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের লাশটা পর্যন্ত কাউকে শেষ দেখা দেখতে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আদ্রিতার মা হিসেবে যে মহিলার পরিচয় দেয়া হয়েছে, সে আসলে তার মা নয়। ওই মা নামের মহিলাটি মোশাররফের প্রেমিকা। তার নাম রেশমি (ইতি)। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী। তার সাথে মোশাররফের ২০১৭ সাল থেকে অবৈধ সম্পর্ক চলছে। তিনি মোশারফ এর বেড পার্টনার ও ওই ফ্ল্যাটের খণ্ডকালীন বাসিন্দা। নূরানী ও তার স্বজনদের দাবি, আদ্রিতা তার বাবা ও রেশমীর অবৈধ সম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাড়ালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায় সে মাদারীপুরের আলমগীর শিকদারের পুত্রবধূ। ২০২২ সালে তার প্রবাসী ছেলে আসিফ সামীর সাথে রেশমির বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী বর্তমানে আমেরিকার বোস্টনে থাকেন। নূরানী অভিযোগ করেন, দেশে ফিরে তিনি ঘাতক মোশারফ এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে চাইলে মোশাররফ বিষয়টি জানতে পেরে তার বন্ধু প্রদ্যুৎ কুমারকে দিয়ে নূরানীকে প্রাননাশের হুমকি দেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে মোশাররফ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রতিবেদক এর কাছে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে নথিপত্র নিয়ে স্বশরীরে যোগাযোগ করতে চাইলেও তিনি আগ্রহ দেখাননি। সবকিছু নিয়মের মধ্যে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, মোশাররফ ও তার প্রেমিকা রেশমি সহ কাজের বুয়া আমেনাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি প্রবাসী নূরানী ইসলামের পক্ষে আদালতে দ্রুত হত্যা মামলা দায়ের করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন নূরানীর স্বজনরা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে

ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু!

আপডেট সময় ১১:২৬:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যুতে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী আয়েশা ইসলাম নূরানী। ওই মেয়ের নাম আদ্রিতা বিনতে মোশাররফ(২১)। আর ওই ঘাতক পিতার নাম মোশাররফ হোসেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক। এ হত্যাকাণ্ডটি ৩১ মার্চ ২০২৪, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১/ই দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর আবাসিক ভবনের তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ঘটে। এ সময় সিলিং এর রডের সাথে গলায় ওড়না প্যাচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।

এ ঘটনায় শাহবাগ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ভোর ৫ টায় এস আই এলিস মাহমুদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। শাহবাগ থানার ওই অপমৃত্যু মামলা নম্বর ৪৩/২৪। প্রাপ্ত তথ‍্যে জানা যায়, মোশাররফ এর স্ত্রী আয়েশা ইসলাম নূরানী তার শারীরিক-মানসিক নির্যাতনে ২০১৩ সালে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে তিনি নেদারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। নূরানী তার একমাত্র মেয়ে আদ্রিতা হত্যার বিচার চেয়ে ২১ জুন ২০২৪, শাহবাগ থানায় আবেদন করেন। এছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত-পূর্বক ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে ২৬ অক্টোবর ২০২৪, বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি বরাবর লিখিতভাবে আইনি সহায়তা চেয়েছেন নূরানী ইসলাম। এরপর তিনি এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করার ক্ষমতাও ঐ সংস্থাকে দিয়েছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। গভীর তথ্যা নুসন্ধানে জানা গেছে, মোশাররফ একজন চরিত্রহীন, লম্পট,মহিলা হেনস্তাকারী ও যৌন নিপীড়ক ব্যক্তিত্বহীন শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্থা ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি,১৬ আগস্ট ২০২৪, শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি ও ডিপার্টমেন্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন, ২১ আগস্ট ২০২৪ ছাত্রী হেনস্তা ও যৌন নিপীড়নকারী ওই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে বাধা প্রদানকারী স্বৈরাচারের দোশর হিসেবে অধ্যাপক মোশারফ ও সুমন দাসের বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সামনে জুতা নিক্ষেপ লটারি গেমস কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে মোশাররফ নিজেই ১৭ আগস্ট ২০২৪ রেজিস্টার বরাবর নিজেই পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এক পর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুন্দরী মেয়েদের শিক্ষা কার্যক্রমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় মোশাররফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকুরীচ‍্যুত হয়। নূরানী ওই মানবাধিকার সংস্থার আবেদনে উল্লেখ করেন, মোশাররফ পূর্বের থেকেই স্ত্রী ও কন্যার ওপর কারণে অকারণে অমানবিক ও শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ২০১৩ সালে নূরানী বিদেশে চলে যাবার পর তার মেয়ের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা চরমভাবে বাড়িয়ে দেয়। আদ্রিতা তার বাবা মোশারফ ও কাজের বুয়া আমেনার সাথে একই ফ্ল্যাটে বসবাস করত। মোশাররফ নিজের দোষ আড়াল করতে তার মেয়ের অন্য এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে গণমাধ্যমে ফলাওভাবে প্রকাশ করে। ৩১ মার্চ ২০২৪ সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রহণ করে তার গ্রামের বাড়ি লাকসামের মজলিসপুরে দ্রুত দাফন করে। এই লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন নারী এসআই তুলসী সেন এবং এসআই এলিস মাহমুদ ২৪ এপ্রিল ২০২৪, মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেন। নূরানী আরো উল্লেখ করেন, লম্পট মোশাররফ সকলের কাছে স্ত্রী নূরানী ইসলামকে তালাক দিয়েছেন বলে মিথ্যা প্রচার করছেন। কারণ নিয়মানুযায়ী আইনজীবী দ্বারা তালাকনামা তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নুরানীর নেদারল্যান্ডের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠাতে হবে কিন্তু সে তা না করে সবার সাথে মিথ্যাচার করছে।

 

মিথ্যাবাদী মোশাররফ নিজেই তার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে বলে একাধিক ঘনিষ্ঠজনরা আরো উল্লেখ করেন, আমার মেয়ের লাশটা পর্যন্ত কাউকে শেষ দেখা দেখতে দেয়া হয়নি। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে আদ্রিতার মা হিসেবে যে মহিলার পরিচয় দেয়া হয়েছে, সে আসলে তার মা নয়। ওই মা নামের মহিলাটি মোশাররফের প্রেমিকা। তার নাম রেশমি (ইতি)। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী। তার সাথে মোশাররফের ২০১৭ সাল থেকে অবৈধ সম্পর্ক চলছে। তিনি মোশারফ এর বেড পার্টনার ও ওই ফ্ল্যাটের খণ্ডকালীন বাসিন্দা। নূরানী ও তার স্বজনদের দাবি, আদ্রিতা তার বাবা ও রেশমীর অবৈধ সম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাড়ালে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায় সে মাদারীপুরের আলমগীর শিকদারের পুত্রবধূ। ২০২২ সালে তার প্রবাসী ছেলে আসিফ সামীর সাথে রেশমির বিয়ে হয়েছে। তার স্বামী বর্তমানে আমেরিকার বোস্টনে থাকেন। নূরানী অভিযোগ করেন, দেশে ফিরে তিনি ঘাতক মোশারফ এর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে চাইলে মোশাররফ বিষয়টি জানতে পেরে তার বন্ধু প্রদ্যুৎ কুমারকে দিয়ে নূরানীকে প্রাননাশের হুমকি দেন। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে মোশাররফ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রতিবেদক এর কাছে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে নথিপত্র নিয়ে স্বশরীরে যোগাযোগ করতে চাইলেও তিনি আগ্রহ দেখাননি। সবকিছু নিয়মের মধ্যে হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মতে, মোশাররফ ও তার প্রেমিকা রেশমি সহ কাজের বুয়া আমেনাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটি প্রবাসী নূরানী ইসলামের পক্ষে আদালতে দ্রুত হত্যা মামলা দায়ের করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন নূরানীর স্বজনরা।