ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ রাজবাড়ীতে জমির দখল বুঝে পেতে সংবাদ সম্মেলন তজুমদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে শিশু বলাৎকার মামলার মূল হোতা আটক হিসাব রক্ষক আলাউদ্দিনের এক যুগের দুর্নীতি ঘোচাবে কে? গণপূর্তে সন্ত্রাসীদের দ্বারা সিন্ডিকেট গড়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন কুমিল্লায় তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা শিল্পঘাতক: আইইএফ দেশীয় সিগারেট শিল্প বৈষম্যের শিকার জুলাই বিপ্লবে নিহত মাহবুবের পরিবারের পাশে তারেক রহমান ‘নিত্যপণ্যে ভ্যাট বসিয়ে ফ্যাসিস্টের রাস্তায় হাঁটছে সরকার’

ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের ছেলে

দশকের পর দশক ধরে চলছে ইরান ও ইসরায়েলের শত্রুতা। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দু’টি একে অপরের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত। এছাড়া শুরু থেকেই ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে ইসরায়েল।

আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত পুত্র। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইরানি শাহ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্র চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করবেন বলে ইসরায়েলের সরকার রোববার জানিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলে এই সফরের জন্য ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্রকে ‘সর্বাধিক সিনিয়র ইরানি ব্যক্তিত্ব’ বলেও অভিহিত করেছে ইহুদি ভূখণ্ডটির সরকার।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শাহের অধীনে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একসময় বেশ উষ্ণ ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। যদিও ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর থেকে উভয় দেশ একে অপরের শত্রু হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত ছেলে রেজা পাহলভির এই সফরের উদ্দেশ্য ‘ইসরায়েল ও ইরানের জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং তেহরানের ক্ষমতাসীন আয়াতুল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ বিরোধিতা প্রকাশ করা।’

ইসরায়েলি বিবৃতিতে পাহলভির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইরান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হলে ইসরায়েল এবং আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সাথে তেহরানের সম্পর্ক পুনর্নবীকরণ করতে চাইবে। আমার মতে, সেই দিনটি আগের চেয়ে কাছাকাছি।’

আসন্ন এই সফরের সময় পাহলভি ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক হোলোকাস্ট স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল ও ইরান কেন একে অপরের শত্রু?

১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লবের পর সেখানে ধর্মীয় নেতারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ইরানের সেই সব নেতারা ইসরায়েলকে বর্জন করার আহ্বান জানান। মূলত সেসময় ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান।

ইসরায়েল অবৈধভাবে মুসলমানদের ভূমি দখল করে রেখেছে বলে মনে করে তেহরান।

এদিকে ইসরায়েল তার অস্তিত্বের জন্য ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখে থাকে। ইসরায়েল সব সময় বলে এসেছে, ইরানের অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত হবে না। এর পাশাপাশি ইসরায়েলের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে বিস্তৃতি সেটা দেখেও উদ্বিগ্ন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ৫ লক্ষাধিক টাকার  আম গাছ কর্তন থানায় অভিযোগ

ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের ছেলে

আপডেট সময় ১১:৫৬:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

দশকের পর দশক ধরে চলছে ইরান ও ইসরায়েলের শত্রুতা। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দেশ দু’টি একে অপরের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত। এছাড়া শুরু থেকেই ইরানের বর্তমান শাসক গোষ্ঠীকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে আসছে ইসরায়েল।

আর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সফরে যাচ্ছেন ইরানের ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত পুত্র। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন ইরানি শাহ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্র চলতি সপ্তাহে ইসরায়েল সফর করবেন বলে ইসরায়েলের সরকার রোববার জানিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলে এই সফরের জন্য ক্ষমতাচ্যুত ইরানি শাহের নির্বাসিত পুত্রকে ‘সর্বাধিক সিনিয়র ইরানি ব্যক্তিত্ব’ বলেও অভিহিত করেছে ইহুদি ভূখণ্ডটির সরকার।

অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত শাহের অধীনে ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে একসময় বেশ উষ্ণ ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। যদিও ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় আসার পর থেকে উভয় দেশ একে অপরের শত্রু হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলেছে, ক্ষমতাচ্যুত শাহের নির্বাসিত ছেলে রেজা পাহলভির এই সফরের উদ্দেশ্য ‘ইসরায়েল ও ইরানের জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা এবং তেহরানের ক্ষমতাসীন আয়াতুল্লাহ সরকারের বিরুদ্ধে যৌথ বিরোধিতা প্রকাশ করা।’

ইসরায়েলি বিবৃতিতে পাহলভির উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইরান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হলে ইসরায়েল এবং আমাদের আরব প্রতিবেশীদের সাথে তেহরানের সম্পর্ক পুনর্নবীকরণ করতে চাইবে। আমার মতে, সেই দিনটি আগের চেয়ে কাছাকাছি।’

আসন্ন এই সফরের সময় পাহলভি ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক হোলোকাস্ট স্মারক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলেও জানানো হয়েছে।

ইসরায়েল ও ইরান কেন একে অপরের শত্রু?

১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লবের পর সেখানে ধর্মীয় নেতারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ইরানের সেই সব নেতারা ইসরায়েলকে বর্জন করার আহ্বান জানান। মূলত সেসময় ইসরায়েলের অস্তিত্বকেই অস্বীকার করে ইরান।

ইসরায়েল অবৈধভাবে মুসলমানদের ভূমি দখল করে রেখেছে বলে মনে করে তেহরান।

এদিকে ইসরায়েল তার অস্তিত্বের জন্য ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখে থাকে। ইসরায়েল সব সময় বলে এসেছে, ইরানের অবশ্যই পরমাণু অস্ত্র থাকা উচিত হবে না। এর পাশাপাশি ইসরায়েলের নেতারা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের যে বিস্তৃতি সেটা দেখেও উদ্বিগ্ন।