রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে নিজের ক্রয়কৃত জমির ভোগদখল না পেয়ে জমির দখল বুঝে পাওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশিক আহম্মেদ নামে এক ব্যবসায়ী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
আশিক আহম্মেদ বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ শেখের ছেলে। পেশায় তিনি ভূষিমাল ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে আশিক আহম্মেদ বলেন, আমি বিগত ২০২০ সালের ১৪ জুন ৪০২ নম্বর ও ১৯ জুলাই ১২২০ নম্বর কবলা দলিল মূলে বালিয়াকান্দি মৌজার (বালিয়াকান্দি বাজারের জমি) বিএস ৬৩২৮ নম্বর দাগের ১১ শতাংশ জমির মধ্যে ৫ শতাংশ ৭৭৬ লিংক জমি ক্রয় করি। জমির রেকর্ডীয় মালিক ডা. আব্দুস সালাম, শেখ মহিউদ্দিন মজনু ও অ্যাডভোকেট রেহেনাজ পারভীন সাফ কবলা দলিলে আমাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। জমিটি আমি বালিয়াকান্দি উপজেলা ভুমি অফিস থেকে ৪৭৭(IX-I)/২০২০-২১ নং নামজারী কেসে নিজ নামে নামপত্তন করে হাল সন পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করেছি।
কিন্তু পার্শ্ববর্তী জমির মালিক ডা. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ, আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের লিটন, মো. ফারুক হোসেন, মো. রেজাউল আলম রিপন, মো. জুয়েল শেখ, মো. রুবেল শেখ ও মো. হিমেল শেখ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের সম্পৃক্ততায় আমার ক্রয়কৃত ওই জমি জোড়পূর্বক অন্যায়ভাবে জবর দখল করে রেখেছে। তারা এই জমি নিযে বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী ৪৬/২০২০ নম্বর বাটোয়ারা মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। জমিতে তিনটি দোকানঘর রয়েছে। দোকান তিনটি ভাড়া দেওয়া আছে। দোকানের ভাড়ার টাকাও জোরপূর্বক তারাই নেন।
তিনি বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তারা আমাকে আমার জমির ওপর যেতে দেয়নি। বার বার শালিসি বৈঠকে সুরাহার কথা বলেও তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে। আমি আমার জমির ওপর গেলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা এর আগে আমার ওপর দুইবার হামলা করে এবং বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত ১৭ ডিসেম্বর আমি সার্ভেয়ার নিয়ে জমি বুঝে নিতে গেলে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে বসে বিষয়টি সমাধান করবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু এ পর্যন্ত তারা সমাধান করেনি।
আশিক আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বাজার কমিটির সদস্যদের অবহিত করেছি। আমি আমার জমির দখল বুঝে পাওয়ার জন্য বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্কতাদ (ওসি) বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। আজ সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আবারও আবেদন জানাচ্ছি, আমাকে আমার পরিশ্রমের টাকায় কেনা জমির দখল বুঝিয়ে দেয়া হোক।