গণপূর্ত ই/এম বিভাগ -৫ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তানজিদ হোসেন ৫ইআগস্ট এর ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান দমনে চট্টগ্রামে থাকাকালীন অর্থ লগ্নি করেছেন। পরবর্তীতে সেখানকার ছাত্র জনতার বিক্ষোভের মুখে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ভোল পাল্টিয়ে সেপ্টেম্বরে মাসে ঢাকায় পোস্টিং নেন। এরপর অবৈধ অর্থ উপার্জনে মরিয়া হয়ে সেগুনবাগিচা ২য় ১২ তলা ভবনে নিজ দপ্তরে এক বিরাট চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারের সুবিধাভোগী চট্টগ্রাম থেকে বিতাড়িত শীর্ষ সন্ত্রাসী মনোয়ার হোসেন ভুট্টুকে নিয়ে গড়ে তোলেন লুটপাটে সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য মোহাম্মদ মিঠুন। তাকে সরকারি অফিস কক্ষে খাস কামরা করে দিয়েছেন তানজিদ। সেই কক্ষে চলে ঘুষ লেনদেনসহ নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
একজন ভুক্তভোগী ঠিকাদার জানান, মিঠুনের মাধ্যমে এস্টিমেট, বুয়া বিল ভাউচার দিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ না করেই কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন।
শুধু তাই নয় সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্ব কর্তব্যে বাধা দিয়ে অনৈতিক কাজ করাচ্ছেন মিঠুন যার প্রমাণ হিসেবে দপ্তরে কর্মরত কর্মচারীরা মিঠুনের বিরুদ্ধে একটি আবেদন সাবমিট করেছেন জার রিসিভ নাম্বার ১১১৪,তাং১৯/১২/২০২৪(কপি সংযুক্ত)। এই আবেদনে তারা মিঠুনকে অফিসে বসানোর প্রতিবাদ করে তাকে অফিস থেকে বের করে দিতে বলেন। কিন্তু মিঠুন এখনো বহাল তবিয়তে অফিস করেছেন। অন্যদিকে আবেদনকারীদের তানজিদ হোসেন তার দপ্তরের থেকে বরখাস্তসহ নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলে এক কর্মকর্তা জানান। কর্মকর্তা আরও জানান, বিগত ০৫ মাসে নির্বাহী প্রকৌশলী তামজিদ হোসেন অনৈতিকভাবে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, যা সুষ্ঠু তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তানজির হোসেনের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।