ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কেন লোকসানে হাজার কোটি টাকার কর্ণফুলী টানেল? তিতাসে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলো সেনাবাহিনীর চৌকস কর্মকর্তারা মিঠাপুকুরে গাঁজা খোরের ঘুসিতে অপর গাঁজাখোরের মৃত্যু ‘তারেক রহমানের নির্দেশে শেখ হাসিনার পতন হয়েছে’ বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

খাদ্যগুদাম থেকে ১৯৯ টন চাল-গম উধাও

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে ১৯৯ টন চাল ও গম গায়েব হয়ে গেছে। বিভাগীয় তদন্তের পর এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে খাদ্য কর্মকর্তা কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন।

গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, পলাশবাড়ী খাদ্য ওই গুদামের দায়িত্বে কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকী। স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী মহলের যোগসাজশে তিনি দিনে দিনে গুদাম থেকে চাল ও গমের বস্তা বের করে বিক্রি করতে থাকেন। কিন্তু গত ১৭ মে ঢাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি গাইবান্ধায় আসেন। তিনি গাইবান্ধার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামে নিয়মিত পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি গোডাউনে বস্তার গরমিল দেখতে পান। পরে চাল ও গমের বস্তার ঘাটতি দেখতে পান।

গত ২১ মে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীকে স্ট্যান্ড-রিলিজ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাকিব রেজোয়ানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বিষয়টি গত ৩ জুন পর্যন্ত তদন্ত করেন। তদন্তে ১৯৯ টন চাল ও গম ঘাটতি ধরা পরে। যার মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ৪ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে তিনি কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ চাল ও গম গুদাম থেকে গায়েব করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কেন লোকসানে হাজার কোটি টাকার কর্ণফুলী টানেল?

খাদ্যগুদাম থেকে ১৯৯ টন চাল-গম উধাও

আপডেট সময় ০১:১৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী খাদ্যগুদাম থেকে ১৯৯ টন চাল ও গম গায়েব হয়ে গেছে। বিভাগীয় তদন্তের পর এ ঘটনায় পলাশবাড়ী থানায় খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পর থেকে খাদ্য কর্মকর্তা কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন।

গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, পলাশবাড়ী খাদ্য ওই গুদামের দায়িত্বে কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকী। স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী মহলের যোগসাজশে তিনি দিনে দিনে গুদাম থেকে চাল ও গমের বস্তা বের করে বিক্রি করতে থাকেন। কিন্তু গত ১৭ মে ঢাকা থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি গাইবান্ধায় আসেন। তিনি গাইবান্ধার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে পলাশবাড়ী খাদ্য গুদামে নিয়মিত পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি গোডাউনে বস্তার গরমিল দেখতে পান। পরে চাল ও গমের বস্তার ঘাটতি দেখতে পান।

গত ২১ মে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মাসুম সিদ্দিকীকে স্ট্যান্ড-রিলিজ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাকিব রেজোয়ানকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বিষয়টি গত ৩ জুন পর্যন্ত তদন্ত করেন। তদন্তে ১৯৯ টন চাল ও গম ঘাটতি ধরা পরে। যার মূল্য ১ কোটি ২৯ লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ টাকা।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ৪ জুলাই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে তিনি কর্মস্থল থেকে চম্পট দিয়েছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান বলেন, বিপুল পরিমাণ চাল ও গম গুদাম থেকে গায়েব করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।