ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আমলে। এরপর ২০০৫ সালে সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত ১০টি বেসরকারি চ্যানেল ছিল। আজ প্রায় ৪০টি বেসরকারি চ্যানেল দেশে সম্প্রচারে আছে। আরও কয়েকটি চ্যানেল সম্প্রচারে আসবে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে গুলশানের ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেল দেশ টিভির নতুন লোগো উন্মোচন ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে দৈনিক পত্রিকা ছিল সাড়ে চারশ, এখন সাড়ে ১২শ পত্রিকা রয়েছে। আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন অনলাইন গণমাধ্যমে সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এখন কত হাজার, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে হবে। বর্তমানে পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এর বাইরেও আরও আছে। সুতরাং গণমাধ্যমের এই অগ্রযাত্রা শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা একসময়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলাম। দেশের লোকসংখ্যা যখন ১৭ কোটি, তখন  শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমাদের স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই নয়। মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে পথচলায় দেশ টিভি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। গণমাধ্যম শুধু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সমাজকে সঠিক তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখে। সেজন্য গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে সত্যিকার অর্থে সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৬:৫১:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমাধ্যমের বিকাশে গুরুত্ব দিয়েছে। বাংলাদেশের প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার আমলে। এরপর ২০০৫ সালে সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত ১০টি বেসরকারি চ্যানেল ছিল। আজ প্রায় ৪০টি বেসরকারি চ্যানেল দেশে সম্প্রচারে আছে। আরও কয়েকটি চ্যানেল সম্প্রচারে আসবে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতে গুলশানের ঢাকা ওয়েস্টিন হোটেল দেশ টিভির নতুন লোগো উন্মোচন ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেশে দৈনিক পত্রিকা ছিল সাড়ে চারশ, এখন সাড়ে ১২শ পত্রিকা রয়েছে। আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখন অনলাইন গণমাধ্যমে সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি ছিল। এখন কত হাজার, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলতে হবে। বর্তমানে পাঁচ হাজারের বেশি অনলাইন পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, এর বাইরেও আরও আছে। সুতরাং গণমাধ্যমের এই অগ্রযাত্রা শেখ হাসিনার সরকারের হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা একসময়ে খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলাম। দেশের লোকসংখ্যা যখন ১৭ কোটি, তখন  শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমাদের স্বপ্ন আরও এগিয়ে যাওয়া। শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়ন টেকসই নয়। মানুষের মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে, তা থেকে মানুষকে মুক্ত রাখতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে পথচলায় দেশ টিভি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। গণমাধ্যম শুধু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। সমাজকে সঠিক তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে, নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে গণমাধ্যম ভূমিকা রাখে। সেজন্য গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে সত্যিকার অর্থে সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আজকের পত্রিকার সম্পাদক গোলাম রহমান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।