ঢাকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন আহবান জানিয়ে বলেছেন সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী দের প্রতি আমার আহবান আপনারা সাংবাদিকদের উপর অতাচার নির্যাতন, কুদৃষ্টি ও অবমূল্যায়ন থেকে বিরত থাকুন।
সাংবাদিক হলো সকল রাজনৈতিক দলের জন্য আয়না, তারা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করে।বিবেকের সর্বোচ্চ স্থান থেকে ইতিবাচক চিন্তা ধারার মাধ্যমে সামাজিক শান্তি বিস্তৃতি করার লক্ষ্যে সমাজের অভ্যন্তরীণ কালো অধ্যায় গুলো প্রতিনিয়ত তুলে ধরেন পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে। তারা শুধুই ভালো মন্দের ঘটনা গুলো জাতির সামনে তুলে ধরে। যেন শান্তি রক্ষার দায়িত্ব হলো সরকার সহ পুরো নাগরিক সমাজের। নানা অজানা তথ্য পাওয়ার একমাত্র নির্ভরশীল তথ্য বাহক ও সরবরাহকারক হলো জাতির বিবেক এই সাধারন সাংবাদিকেরা।
১)) রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজের পরিচিতির আরো বিস্তৃত করার লক্ষ্যে অনেক সময় দরিদ্র অসহায় সাংবাদিকদের ব্যবহারের সুযোগ নিতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে বর্তমান ডিজিটাল যুগের হলুদ মিডিয়া গুলো অনেকাংশে দায়ী।
২)) সরকারের ভালো মন্দ দুর্নীতি অপকর্মের চিত্র সাংবাদিকরাই জাতির সামনে তুলে ধরে।
৩)) সাধারণ মানুষ বিচার বিঘ্নিত হবে এমন চিন্তা ধারা থেকে অধিকাংশ সময় তার সুবিচার প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বিচারের আশায় জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখার মত এবং নিজের সম্পূর্ণ প্রমাণাদি উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারের এত বড় প্লাটফর্ম আর কোথাও নেই।
৪)) সামাজিক অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিক সমানতালে কাজ করে যায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এই কাজে অনেক সময় নিরীহ অনেক সাংবাদিকের প্রাণ অকালেই ঝড়ে যায় আততায়ীর গুলিতে কিংবা চুরিকাঘাতে।
৫)) প্রশাসনের কর্মকতারা তাদের সকল সফল কাজের প্রচারের জন্য সংবাদ পত্রের অফিসে এবং সাংবাদিক এর কাছে সুনির্দিষ্ট ভাবে প্রেস রিলিজ পাঠিয়ে থাকেন। এতে করে সাধারন জনগণ সরকারের অনেক উদ্যোগের বিষয়ে জানতে পারেন।
৬)) বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা কোথাও সমস্যা পড়লে প্রথমে সাংবাদিক দের সহযোগিতা নেন।
৭)) রাস্ট্রের গ্রুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে প্রবাসীদের জীবন মান উন্নয়নের সহায়ক ভূমিকা গুলোল উপর নিয়মিত টকশোর আয়োজনের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের পক্ষ হতে সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জবাব দিহিতার মুখোমুখি করেন একমাত্র সাংবাদিক সমাজ।
৮)) সমাজে জোর জুলুম, চাঁদাবাজি, মাস্তানি, মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী,দখলবাজ, ভূমিদূশ্য, নারী বেবসায়ী,অবৈধ বেবসায়ী এমন দুর্নীতি অপকর্মে যারা লিপ্ত তাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম হলো সাংবাদিক।
৯)) সাদা কালো, আলো অন্ধকার যেমন আলাদা দুটি অবস্থান তেমনি হলুদের সাথে প্রকৃত পেশাদার সাংবাদিকদের মিলিয়ে ফেলা নাগরিক সমাজের একটি ভূল চিন্তাধারা।
১০)) সর্বশেষ সাংবাদিক জাতির বিবেক,রাস্ট্রের উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরালো নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখে, সাংবাদিক একটি জাতির জন্য আয়না স্বরুপ কাজ করে। সরকারী দল,বিরোধী দল তাদের কাছে দুটোই সমান। তাই সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে বলছি। সাংবাদিক দের কে সহযোগিতা করুন,তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন, আপনাদের থেকে সুদৃষ্টি আসা করছি।
এতগুনে গুনায়ীত হওয়ার পর আজ আমাদের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত অত্যাচারিত নিপিড়ীত হচ্ছে। আমাদের সাংবাদিকরা তাদের
পেশাগত দায়িত্বপালন করতে গিয়ে ইত্তেফাক, সময় টিভি, একুশে টেলিভিশন যমুনা টিভি ও স্বাধীন সংবাদ, এনজি টিভি, নিউজ গার্ডেন, কালবেলাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সহকর্মীরা দুর্বৃত্তদের হামলায় বিভিন্ন সময়ে আহত এবং নিহত হবার মত ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে।সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ডাকা মহাসমাবেশ এর সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে পেশাদারিত্ব থেক দায়িত্ব পালনের সময় আহমেদ ফয়েজ, বাংলা ট্রিবিউনের প্রধান প্রতিবেদক সালমান তারেক শাকিল, ফটো সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও নিজস্ব প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ, দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদক রাফসান জানি, আবু সালেহ মুসা, রবিউল ইসলাম রুবেল এবং তৌহিদুল ইসলাম তারেক, ঢাকা টাইমসের প্রতিবেদক সালেকিন তারিন, ব্রেকিং নিউজের ক্রাইম রিপোর্টার কাজী ইহসান বিন দিদার, দৈনিক ইনকিলাবের ফটোসাংবাদিক এফ এ মাসুম, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়ার রিপোর্টার তানভীর আহাম্মেদ, একুশে টিভির রিপোর্টার তৌহিদুর রহমান ও ক্যামেরা পারসন আরিফুর রহমান, দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক আরিফুর রহমান রাব্বি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শেখ নাছের ও ফ্রিল্যান্সার মারুফ। DPC বাংলা TV এর বিশেষ প্রতিনিধি ইদি আমিন এ্যাপেলো, আঃ সালাম মিন্টু, মিজানুর রহমান, দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সুজন মাহমুদ সহ আরও অনেকে দুর্বৃত্তদের হাতে আহত এবং নিহত হবার মত ঘটনা ঘটেছে। এমন…