ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২৫ সালে পানির নিচে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন উপকূল থেকে ৩০০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা এক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরি ২০২৫ সালের মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। আধা মাইল পানির নিচে থাকা এ আগ্নেয়গিরির আশপাশে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচশ’রও বেশি ছোট ভূমিকম্প রেকর্ড করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে আগ্নেয়গিরিটির চারপাশের সমুদ্রের তলদেশ প্রায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত ফুলে উঠেছে। এটি আগ্নেয়গিরির নিচে ম্যাগমা জমা হওয়ার প্রমাণ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এ চাপ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের কারণ হতে পারে

অতীতে ডুবো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াবহ উদাহরণ হিসাবে ২০২২ সালে টোঙ্গার হুঙ্গা আগ্নেয়গিরির ঘটনা উল্লেখযোগ্য। সেই অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট সুনামি বিশ্বজুড়ে ক্ষতি করেছিল, যার আর্থিক পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের এ অগ্ন্যুৎপাতও তেমনই সুনামির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, যা ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াইসহ বিশ্বের অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এক্সিয়াল সিমাউন্টের অগ্ন্যুৎপাত শুধু স্থানীয় পরিবেশের জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে সামুদ্রিক ও ভূতাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে এ অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়ে সতর্কতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

২০২৫ সালে পানির নিচে বড় ধরনের অগ্ন্যুৎপাতের শঙ্কা

আপডেট সময় ০২:১৯:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ওরিগন উপকূল থেকে ৩০০ মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা এক্সিয়াল সিমাউন্ট আগ্নেয়গিরি ২০২৫ সালের মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। আধা মাইল পানির নিচে থাকা এ আগ্নেয়গিরির আশপাশে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে প্রতিদিন পাঁচশ’রও বেশি ছোট ভূমিকম্প রেকর্ড করা হচ্ছে।

২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে আগ্নেয়গিরিটির চারপাশের সমুদ্রের তলদেশ প্রায় ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত ফুলে উঠেছে। এটি আগ্নেয়গিরির নিচে ম্যাগমা জমা হওয়ার প্রমাণ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এ চাপ ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের কারণ হতে পারে

অতীতে ডুবো আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াবহ উদাহরণ হিসাবে ২০২২ সালে টোঙ্গার হুঙ্গা আগ্নেয়গিরির ঘটনা উল্লেখযোগ্য। সেই অগ্ন্যুৎপাত থেকে সৃষ্ট সুনামি বিশ্বজুড়ে ক্ষতি করেছিল, যার আর্থিক পরিমাণ ছিল প্রায় ৯০ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলের এ অগ্ন্যুৎপাতও তেমনই সুনামির ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, যা ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াইসহ বিশ্বের অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এক্সিয়াল সিমাউন্টের অগ্ন্যুৎপাত শুধু স্থানীয় পরিবেশের জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে সামুদ্রিক ও ভূতাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে এ অগ্ন্যুৎপাতের বিষয়ে সতর্কতা ও প্রস্তুতি অত্যন্ত জরুরি।