ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুর জাজিরা কামরুলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন  জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির এই যুগে মেধাস্বত্ব একটি শক্তিশালী হাতিয়ার -বেরোবি উপাচার্য কুবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত জামালপুরে ১৭ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি বগুড়া ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক নরসিংদী বাজারে মাছ কেটে সংসার চালায় শতাধিক পরিবার নার্সিং ডিপ্লোমাকে স্নাতক সমমান করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ কৃষি প্রণোদনা ও কৃষিঋণ বিতরণ সহজীকরণের দাবি বোরহানউদ্দিনে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগে খামারির মাছ নিধন লালমনিহাটের পাটগ্রামে টানা রেলপথ অবরোধের পাশাপাশি সড়কপথ অবরোধের ঘোষণা

কঙ্গোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ২৩

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি প্রদেশের কয়েকটি গ্রামে এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। ইতুরির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি হামলার কথা নিশ্চিত করে এসব ‘নৃশংসতা অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।

শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী ডেভেলপমেন্ট অব দ্য কঙ্গো (সিওডিইসিও) বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জুগু অঞ্চলে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ডিআরসির সংঘাত কবলিত পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সিওডিইসিও অন্যতম।

জুগুর নিয়ালি-কিলো সম্প্রদায়ের নেতা ভিটাল টাংগুলো রয়টার্সকে বলেন, অধিকাংশকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু যারা পালানোর চেষ্টা করেছে তাদের গুলি করেছে। এসব গ্রামের লোকজনের যার যা কিছু ছিল সব লুট করে নিয়ে গেছে, যাওয়ার সময় বাড়িগুলোও জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে।

তবে হামলা চালানোর উদ্দেশ্য জানা যায়নি। কিন্তু কঙ্গোর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা ও ওই অঞ্চলের সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের জন্য সহিংতায় লিপ্ত।

চলতি বছরের শুরু থেকেই সিওডিইসিও আরও বেশি হামলা চালাতে শুরু করেছে। এতে ইতুরির মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ জয়েন্ট হিউম্যান রাইটস অফিস (ইউএনজেএইচআরও) ।

সিওডিইসিও ও তাদের মিত্র গোষ্ঠী ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এডিএফ) ডিআরসির পূর্বাঞ্চলে বেসামরিকদের হত্যার অধিকাংশ ঘটনার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজের নেতা ড্যানিয়েল আনিকুমু জানান, যারা নিহত হয়েছে তাদের কবর দেওয়া শুরু করেছেন তারা, এদের মধ্যে গানগালা গ্রামে নিহত ১১ জনসহ সবাইকে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ হামলার বিষয়ে সিওডিইসিওর মন্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুর জাজিরা কামরুলের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন 

কঙ্গোতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় নিহত ২৩

আপডেট সময় ১১:৩২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০২৪

ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি প্রদেশের কয়েকটি গ্রামে এক সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। ইতুরির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি হামলার কথা নিশ্চিত করে এসব ‘নৃশংসতা অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন।

শনিবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সশস্ত্র গোষ্ঠী ডেভেলপমেন্ট অব দ্য কঙ্গো (সিওডিইসিও) বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার জুগু অঞ্চলে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ডিআরসির সংঘাত কবলিত পূর্বাঞ্চলে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সিওডিইসিও অন্যতম।

জুগুর নিয়ালি-কিলো সম্প্রদায়ের নেতা ভিটাল টাংগুলো রয়টার্সকে বলেন, অধিকাংশকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু যারা পালানোর চেষ্টা করেছে তাদের গুলি করেছে। এসব গ্রামের লোকজনের যার যা কিছু ছিল সব লুট করে নিয়ে গেছে, যাওয়ার সময় বাড়িগুলোও জ্বালিয়ে দিয়ে গেছে।

তবে হামলা চালানোর উদ্দেশ্য জানা যায়নি। কিন্তু কঙ্গোর সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা ও ওই অঞ্চলের সমৃদ্ধ খনিজ সম্পদের জন্য সহিংতায় লিপ্ত।

চলতি বছরের শুরু থেকেই সিওডিইসিও আরও বেশি হামলা চালাতে শুরু করেছে। এতে ইতুরির মানবাধিকার পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে বলে মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ জয়েন্ট হিউম্যান রাইটস অফিস (ইউএনজেএইচআরও) ।

সিওডিইসিও ও তাদের মিত্র গোষ্ঠী ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এডিএফ) ডিআরসির পূর্বাঞ্চলে বেসামরিকদের হত্যার অধিকাংশ ঘটনার জন্য দায়ী বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনের মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সমাজের নেতা ড্যানিয়েল আনিকুমু জানান, যারা নিহত হয়েছে তাদের কবর দেওয়া শুরু করেছেন তারা, এদের মধ্যে গানগালা গ্রামে নিহত ১১ জনসহ সবাইকে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ হামলার বিষয়ে সিওডিইসিওর মন্তব্য জানতে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।