ঢাকা ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ অসহায় মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র ‍বিতরণ শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি

মোবাইল ফোনে পরিচয়, ডেকে তরুণীকে গণধর্ষণ

বাগেরহাটের মোংলায় এক তরুণীকে ধরে এনে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে মোংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

এদিন সকালে নির্যাতিত ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে মোংলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মো. সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী (২৮), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), মো. লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর (২২) সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গেল সোমবার তারা ওই তরুণীর সঙ্গে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করেন। পরে ওই তরুণীকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।

পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামে এক মোটরসাইকেল চালক ওই তরুণীর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে কিছুক্ষণ পরে সে সুস্থ হয়। পরে ওই তরুণী তার বোনকে ফোন দেয় এবং মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ওই তরুণীর বোনের করা মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও নিজেকে ক্ষমতাবিমুখ এক নির্মোহ ব্যক্তিত্বে পরিনত করেছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। প্রায়াত কোকোকে নিয়ে একান্ত স্বাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মাওলানা শামীম আহমেদ

মোবাইল ফোনে পরিচয়, ডেকে তরুণীকে গণধর্ষণ

আপডেট সময় ১১:৪৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলায় এক তরুণীকে ধরে এনে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে মোংলা থানা পুলিশ। বুধবার সকালে মোংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়।

এদিন সকালে নির্যাতিত ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে মোংলা থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রুমান ফকির (২৫), ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), তায়জিদ খানের ছেলে মো. সুমন (২৯), বাশার মোছাল্লীর ছেলে মিজানুর মোছাল্লী (২৮), মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে মো. জামাল (৪৫), মো. লুৎফরের ছেলে মো. আওয়াল (৩৫) ও চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চানমিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ১০-১২ দিন আগে গণধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর (২২) সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির ও রানা শেখের পরিচয় হয়। একপর্যায়ে গেল সোমবার তারা ওই তরুণীর সঙ্গে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করেন। পরে ওই তরুণীকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে ঢুকিয়ে চোখ ও মুখ বেঁধে জোরপূর্বক তাকে একাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ওই তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে রাত ৩টায় পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।

পরে এই পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামে এক মোটরসাইকেল চালক ওই তরুণীর চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দিলে কিছুক্ষণ পরে সে সুস্থ হয়। পরে ওই তরুণী তার বোনকে ফোন দেয় এবং মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।

মোংলা থানার ওসি কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ওই তরুণীর বোনের করা মামলায় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।