গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে নিখোঁজের একদিন পর ৩ বছরের এক শিশুকন্যার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটেছে কোনাবাড়ী মেট্রো থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকায়।
এ ঘটনায় দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে কোনাবাড়ী মেট্রো থানা পুলিশ।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকার রমিজ উদ্দিনের বাসা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ওই শিশু হলো কুড়িগ্রাম সদর থানার চরবড়ইবাড়ী এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা ইসলাম (৩)। শিশুটির বাবা-মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। বাবা- মার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকত শিশুটি।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শিশু ফারহানাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছিল না তার পরিবার। বুধবার সকালে এলাকার বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করার পর বাসার পাশের একটি সরু গলিতে মুখে স্কচটেপ পেঁচানো অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশটি দেখতে পায় এলাকাবাসী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একই বাসার ভাড়াটিয়া দুই কিশোরকে আটক করা হলে তারা ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি শিকার করে।
নিহতের নানা ওবায়দুর রহমান জানান, ওই নরপশুরা আমার নিষ্পাপ নাতনিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে বস্তায় ভরে ওই বাসার গলির ভিতর ফেলে রাখে। আমার নাতনিকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের যেন ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু কার্যকর করা হয়। তাহলেই আমার নাতনির আত্মা শান্তি ও পাবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্বাসউদ্দীন খোকন বলেন, মঙ্গলবার সকালে ওই শিশুটি নিখোঁজ হয়। বুধবার সকালে জানতে পারি শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার ভিতরে এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার ওসি কেএম আশরাফ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় দুই কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তারা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা শিকার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।