চট্টগ্রামে বিদেশি দাতা সংস্থা ইউনিসেফে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন তরুন থেকে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মোজাম্মেল হক মিলন নামে এক প্রতারককে ভুক্তভোগীরা আটক করে। মাদারবাড়ী কমান্ডার গলি এলাকায় প্রতারণা করার সময় সাধারণ জনগন এর হাতে ধরা পড়ে। একই সময় ভুক্তভোগীরা তার সাথে কথা বলে ক্ষতিপূরণ চাই। প্রতারক হাতিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা ফেরত দিবে বলে আশ্বাস দেন। প্রতারক এর বাসাই ৫০ লক্ষ টাকা আছে বলে স্বীকার করেন প্রতারক। একপর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকা নগদ ফেরত দিবেন বলে প্রতারক বলেন। তাৎক্ষণিক পুলিশের গাড়ি এসে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় প্রতারককে নিয়ে যায়। প্রতারককে নিয়ে যাওয়ার পরে কোতোয়ালি থানা থেকে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করে কারণ প্রতারক এর অপিস পাহাড়তলী এলাকায়। সেখানে ভুক্তভোগীরা উপস্থিত হয়ে একটা মামলা করেন।
আটক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে থানায় ভিড় করতে শুরু করেছে ভুক্তভোগীরা।
প্রতারক মোজাম্মেল হক মিলন নিজেকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা পরিচয় দিতেন এবং তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়।
বুধবার (৫ জুন) মোজ্জামেল হককে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেপায়েত উল্লাহ।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী ঐ প্রতারককে প্রথমে কোতোয়ালী এলাকা থেকে আটক করা হয়, পরে সদরঘাট থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এরপরে পাহাড়তলী থানায় আনা হয়। প্রতারকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষরা তাদের দুঃখ প্রকাশ করছে। আটকের খরব পেয়ে থানায় আসছে বিভিন্ন ভুক্তভোগী। নানাজন তার বিরুদ্ধে মামলা করছে। পরে কোর্টে চালান দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মোজাম্মেল হক মিলন নিজেকে বিদেশী দাতা সংস্থা ইউনিসেফের বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গরীব দু:খী মানুষকে সাহায্য ও ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে মূলত মানুষকে আকৃষ্ট করে। পরে ইউনিসেফ সংস্থার বাংলাদেশে মাঠ পর্যায়ে ফিল্ড অফিসার, সুপার ভাইজারের চাকুরি দিয়েছে। তাদের মাধ্যমে বিভিন্নজনকে বাড়ি ও সিএনজি দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন নারী-পুরুষ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলো মোজাম্মেল। পরে গতকাল সন্ধ্যায় চেরাগী পাহাড়ের বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক লীগের একটি সভায় যোগ দিতে আসে মোজাম্মেল। খবর পেয়ে শতাধিক প্রতারিত নারী পুরুষ জড়ো হয়ে চেরাগী পাহাড় থেকে মোজাম্মেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।