মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন মোবাইল কনস্যুলার সেবা শুরু করেছে। সরকারি ছুটির দিনে বিভিন্ন রাজ্যে এ সেবা দিচ্ছে হাইকমিশন। এ সেবায় ই-পাসপোর্টের আবেদনগ্রহণ, বায়ো-এনরোলমেন্ট সম্পন্নকরণ ও এম আর পি পাসপোর্টসহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়।
গত শনি ও রোববার মালয়েশিয়ার কোয়ানতানে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী মোবাইল কনস্যুলার সেবা দেওয়া হয়েছে। পরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম) সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, বৈধ ও সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠালে দেশ উপকৃত হবে এবং উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে। যারা অবৈধ পথে অর্থ পাঠায় তাদের মাধ্যমে জঙ্গি তৎপরতা, মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ অস্ত্র যোগানের মাধ্যমে চরম ক্ষতি ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রবাসীদের বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ করার জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই বিদেশ থেকে দেশে থাকা মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে টাকা পাঠিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে গিয়ে নিজেদের নিঃস্ব অবস্থায় দেখতে হচ্ছে প্রতারণার শিকার অনেক প্রবাসীকে। সর্বজনীন পেনশনে অংশগ্রহণ করলে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে না। ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রবাসীদের পেনশন স্কিমে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন, কাউন্সেলর কন্স্যুলার মো. মোর্শেদ আলম, এনবিএল মানি ট্রান্সফারের সিইও মো. আলী হায়দার মুর্তুজা, পাসপোর্ট, ইএসকেএলের ডিরেক্টর আরমান পারভেজ মুরাদ ও প্রবাসী ব্যবসায়ী ওলিউল ইসলাম প্রমুখ।
[প্রিয় পাঠক, যুগান্তর অনলাইনে পরবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাসে আপনার কমিউনিটির নানান খবর, ভ্রমণ, আড্ডা, গল্প, স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছবিসহ মেইল করুন