ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের পর চাঞ্চল্য তৈরি হলেও অধরা খায়রুল ইসলাম (২য় পর্ব) গায়েবী ছাত্রীকে জায়েজে প্রধান শিক্ষক মনোজের অভিনব কূটকৌশল রাজধানী হাজারীবাগে নকশা ছাড়া সাততলা বাড়ি, জানেনা রাজউক নকশা বহির্ভূত বাড়ি নির্মাণ: রাজউকের নোটিশের জবাব দিতে গড়িমসি ভবন মালিকের নির্মম নির্যাতনের বিচার পাবেন কী ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা? ঢাবি এলাকায় লম্পট বাবার যৌন নির্যাতনে মেয়ের মৃত্যু! নেত্রকোনায় আলোর ফেরিওয়ালা সেজে দুর্নীতির গডফাদার : অধ্যক্ষ ফারুকের বিচার ও অপসারণ দাবি যবিপ্রবির সামাজিক ক্লাব কতৃক -কোয়ান্টাম সাইন্স ফেস্ট -২০২৫ আয়োজন। পবিপ্রবিতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণে জলবায়ু পরিবর্তনে অর্থায়ন বিষয়ক কর্মশালা

প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বঞ্চনা মানবাধিকারের লঙ্ঘন

শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বঞ্চিত ১০ প্রতিবন্ধী প্রার্থী মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিকার চান তারা। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষিত থাকলেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি বৈষম্যের জন্ম দেয় যা সংবিধান পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে কামাল হোসেন পিয়াস কমিশন চেয়ারম্যানকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের ফলাফল ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন কোটা রাখা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী আরেকজন সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধীদের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের সুস্থ মানুষের মত সহজ জীবনযাপন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে। এরপরও যদি তারা চাকরির সুযোগ না পায় তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবন্ধীরা যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়েন সেটাই কমিশন প্রত্যাশা করে। তাদের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষক নিয়োগে সূক্ষ্ম কারচুপির অভিযোগ গোলাম রব্বানীর বিরুদ্ধে

প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও বঞ্চনা মানবাধিকারের লঙ্ঘন

আপডেট সময় ০৪:৪৭:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বঞ্চিত ১০ প্রতিবন্ধী প্রার্থী মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মানবাধিকার কমিশনে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রতিকার চান তারা। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শত প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা সংরক্ষিত থাকলেও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি বৈষম্যের জন্ম দেয় যা সংবিধান পরিপন্থী ও মানবাধিকার লঙ্ঘন।

চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধীদের মধ্যে থেকে কামাল হোসেন পিয়াস কমিশন চেয়ারম্যানকে জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগের ফলাফল ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা থাকলেও প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন কোটা রাখা হয়নি।
চাকরিপ্রত্যাশী আরেকজন সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, বাংলাদেশের সংবিধানে প্রতিবন্ধীদের মতো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের জন্য রাষ্ট্রের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী হওয়ায় সমাজের সুস্থ মানুষের মত সহজ জীবনযাপন তাদের পক্ষে সম্ভব নয়, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে তারা উচ্চশিক্ষা অর্জন করে। এরপরও যদি তারা চাকরির সুযোগ না পায় তবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে এবং হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিবন্ধীরা যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় এবং কোনো রকম ভোগান্তিতে না পড়েন সেটাই কমিশন প্রত্যাশা করে। তাদের অভিযোগের বিষয়ে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।