ঢাকা ১০:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

চীন সীমান্ত খোলার পর হংকংয়ে ওষুধ কেনার হিড়িক, ফাঁকা ফার্মেসি

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের পর গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন। এরপর দেশটিতে বেড়ে যায় সংক্রমণ। তবে এরমধ্যেই রোববার (৮ জানুয়ারি) নিজেদের সীমান্ত খুলে দেয় এশিয়ার দেশটি।

সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর এ নিয়ে শঙ্কা ছড়িয়েছে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে। সেখানকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন চীনের নতুন ধরন তাদের এখানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূল ভূখণ্ডের চীনারা হংকংয়ে করোনার কোন ধরন ছড়িয়ে দেন এ নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মধ্যে। আর এ আতঙ্ক থেকে ওষুধ কিনে ফার্মেসিগুলো ফাঁকা করে ফেলছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা গত ৭ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওষুধ কেনার হিড়িক পড়ায় এখন হংকংয়ের ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, ঠাণ্ডা, ব্যথানাশক ও ডায়রিয়া রোগের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ কিনতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চীনে কয়েকদিন আগে ওষুধের ফার্মেসিগুলোতে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এখন হংকংয়ের অবস্থাও ঠিক একই রকম। যেসব ওষুধ করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো হবে মনে করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ সেগুলোই কিনছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি ঘোষণা দেন, চীন থেকে আসা পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক পিসিআর করোনা পরীক্ষার বিষয়টি বাতিল করে দেবেন তারা।

এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান ইতিমধ্যে চীনের ভ্রমণকারীদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ জানালেও চীন উল্টো করোনার সব ধরনের তথ্য প্রকাশ স্থগিত করে দিয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

চীন সীমান্ত খোলার পর হংকংয়ে ওষুধ কেনার হিড়িক, ফাঁকা ফার্মেসি

আপডেট সময় ০২:২৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের পর গত বছরের ডিসেম্বরে করোনার সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন। এরপর দেশটিতে বেড়ে যায় সংক্রমণ। তবে এরমধ্যেই রোববার (৮ জানুয়ারি) নিজেদের সীমান্ত খুলে দেয় এশিয়ার দেশটি।

সীমান্ত খুলে দেওয়ার পর এ নিয়ে শঙ্কা ছড়িয়েছে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ে। সেখানকার বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন চীনের নতুন ধরন তাদের এখানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। মূল ভূখণ্ডের চীনারা হংকংয়ে করোনার কোন ধরন ছড়িয়ে দেন এ নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে তাদের মধ্যে। আর এ আতঙ্ক থেকে ওষুধ কিনে ফার্মেসিগুলো ফাঁকা করে ফেলছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা গত ৭ জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওষুধ কেনার হিড়িক পড়ায় এখন হংকংয়ের ফার্মেসিগুলোতে জ্বর, ঠাণ্ডা, ব্যথানাশক ও ডায়রিয়া রোগের ওষুধ কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিমাণ ওষুধ কিনতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, চীনে কয়েকদিন আগে ওষুধের ফার্মেসিগুলোতে যে ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এখন হংকংয়ের অবস্থাও ঠিক একই রকম। যেসব ওষুধ করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভালো হবে মনে করা হচ্ছে সাধারণ মানুষ সেগুলোই কিনছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি ঘোষণা দেন, চীন থেকে আসা পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক পিসিআর করোনা পরীক্ষার বিষয়টি বাতিল করে দেবেন তারা।

এদিকে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান ইতিমধ্যে চীনের ভ্রমণকারীদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন দেশ উদ্বেগ জানালেও চীন উল্টো করোনার সব ধরনের তথ্য প্রকাশ স্থগিত করে দিয়েছে।