ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

১৫ দিনে ধ্বংসের মুখে ছবির মতো শহর!

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। যে কোনও সময় বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভারতের উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ শহরের দৃশ্য এটি।

নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, একের পর এক সড়ক ও বাসাবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তাতেই দেশটির ধর্মনগরী যোশীমঠে ক্রমশ বাড়ছে সঙ্কট। শহরের রবিগ্রাম, গান্ধিনগর ও সুনীল ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গিয়েছে।

যোশীমঠের পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হয়ে উঠছে। শহরে শঙ্করাচার্য মঠেও অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। শঙ্করাচার্য মঠের লোকজনের মতে, গত ১৫ দিনে এই ফাটল বেড়েছে।

বিশ্বপ্রিয়ানন্দ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ১৫ দিন আগে শঙ্করাচার্য মঠে কোনও ফাটল ছিল না, কিন্তু এই দিনগুলিতে ক্রমাগত ফাটল বাড়ছে।

কিন্তু কী কারণে একের পর এক ফাটল দেখা দিচ্ছে? পিছনে আসল কারণ কী?

এ বিষয়ে বিশ্বপ্রিয়ানন্দ বলেন, উন্নয়ন এখন ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং টানেল তৈরির উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের শহরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

এদিকে, ভূমিধস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় মোট ৬৬টি পরিবার এখনও পর্যন্ত যোশীমঠ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে।

রোববার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ ত্রাণ শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

ভারতের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের মতে, জোশীমঠে ক্রমাগত ভূমি ধসের কারণে প্রায় ৬০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে  রাজ্য সরকার।

প্রাচীন হিমবাহের উপর অবস্থিত যোশীমঠ। ৪,৬৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ৬০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে এই মুহূর্তে। তার মধ্যেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

১৫ দিনে ধ্বংসের মুখে ছবির মতো শহর!

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ। যে কোনও সময় বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভারতের উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ শহরের দৃশ্য এটি।

নিউজ ১৮-এর খবরে বলা হয়, একের পর এক সড়ক ও বাসাবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তাতেই দেশটির ধর্মনগরী যোশীমঠে ক্রমশ বাড়ছে সঙ্কট। শহরের রবিগ্রাম, গান্ধিনগর ও সুনীল ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা গিয়েছে।

যোশীমঠের পরিস্থিতি ক্রমশ গুরুতর হয়ে উঠছে। শহরে শঙ্করাচার্য মঠেও অনেক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। শঙ্করাচার্য মঠের লোকজনের মতে, গত ১৫ দিনে এই ফাটল বেড়েছে।

বিশ্বপ্রিয়ানন্দ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ১৫ দিন আগে শঙ্করাচার্য মঠে কোনও ফাটল ছিল না, কিন্তু এই দিনগুলিতে ক্রমাগত ফাটল বাড়ছে।

কিন্তু কী কারণে একের পর এক ফাটল দেখা দিচ্ছে? পিছনে আসল কারণ কী?

এ বিষয়ে বিশ্বপ্রিয়ানন্দ বলেন, উন্নয়ন এখন ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং টানেল তৈরির উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের শহরকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।

এদিকে, ভূমিধস দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় মোট ৬৬টি পরিবার এখনও পর্যন্ত যোশীমঠ থেকে স্থানান্তরিত হয়েছে।

রোববার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ ত্রাণ শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।

ভারতের বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগের মতে, জোশীমঠে ক্রমাগত ভূমি ধসের কারণে প্রায় ৬০০ বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকায় বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে  রাজ্য সরকার।

প্রাচীন হিমবাহের উপর অবস্থিত যোশীমঠ। ৪,৬৭৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে প্রায় ৬০০ পরিবারকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে এই মুহূর্তে। তার মধ্যেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫ হাজার মানুষ।