ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ বোরহানউদ্দিনে‘তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য হলেন বিখ্যাত আইটি বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন দক্ষিণ মুগদা থানা ৭১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কারের বৈধতা আমরা দিতে পারব না: ফখরুল জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যে পদক্ষেপের কথা জানালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেফতার কোনো দল-গোষ্ঠী-ব্যক্তিকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামিনি: সিইসি আনিসুল হক আরেক মামলায় গ্রেফতার চান্দিনায় মারুতির পেছনে বাসের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু,অন্তঃসত্ত্বা মা সহ আহত ৩

বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন তুলে নিল চীন

অভ্যন্তরীণ বা বিদেশফেরত ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। রোববার (৮ জানুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এর মাধ্যমে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় তিন বছর ধরে স্ব-আরোপিত বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাল দেশটি।

অবশ্য এশিয়ার এই দেশটিতে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। গত ডিসেম্বরে নাটকীয়ভাবে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। কঠোর ওই নীতির মাধ্যমে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং কঠোর লকডাউন কার্যকর করত দেশটি। আর এরপর থেকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে চীন। প্রত্যেক দিন অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মূলত কঠোর জিরো কোভিড পলিসির বিরুদ্ধে চীনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের কারণে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনা সংক্রান্ত সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন। সেসময় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি এখন কেউ করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে তাকে সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হবে না। এর বদলে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ি এবং পরিবারের কাছে থাকতে পারবেন এবং বাড়িতে বসেই করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। আগে কেউ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতেন সরকারি কর্মকর্তারা। এমনকি গত বছরের নভেম্বরেও একজনকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।

কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনের লোকেরা জনপ্রিয় ভ্রমণ ওয়েবসাইটগুলোতে বিদেশে ভ্রমণ বিষয়ক অনুসন্ধান শুরু করেন। কিন্তু চীনে করোনার উল্লম্ফনের ফলে এক ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। অবশ্য বিধিনিষেধ সত্ত্বেও চীনের অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও ২৮ বছর বয়সী ঝাং কাই এএফপিকে বলেছেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।

ঝাং বলেন, ‘আমি খুশি, এখন অবশেষে (আমি) যেতে পারি’। তার বন্ধুরা কোভিড পরীক্ষা করে ইতোমধ্যেই জাপানে পৌঁছেছে। আর কোভিড পরীক্ষার বিষয়টিকে তিনি ‘ছোট ব্যাপার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অবশ্য চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ জারির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে দেশটি। বেইজিং এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মৃত্যুর দুই দিন পর জহুর আলীর মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ

বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন তুলে নিল চীন

আপডেট সময় ১২:৩০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

অভ্যন্তরীণ বা বিদেশফেরত ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। রোববার (৮ জানুয়ারি) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে। এর মাধ্যমে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে প্রায় তিন বছর ধরে স্ব-আরোপিত বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটাল দেশটি।

অবশ্য এশিয়ার এই দেশটিতে সম্প্রতি করোনার প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। গত ডিসেম্বরে নাটকীয়ভাবে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। কঠোর ওই নীতির মাধ্যমে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন এবং কঠোর লকডাউন কার্যকর করত দেশটি। আর এরপর থেকে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে চীন। প্রত্যেক দিন অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় দেশটিতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে ব্যাপক শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মূলত কঠোর জিরো কোভিড পলিসির বিরুদ্ধে চীনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের কারণে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে করোনা সংক্রান্ত সব কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চীন। সেসময় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যদি এখন কেউ করোনায় আক্রান্ত হন তাহলে তাকে সরকার নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যেতে হবে না। এর বদলে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ি এবং পরিবারের কাছে থাকতে পারবেন এবং বাড়িতে বসেই করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। আগে কেউ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তাকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যেতেন সরকারি কর্মকর্তারা। এমনকি গত বছরের নভেম্বরেও একজনকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছিল।

কোয়ারেন্টাইন বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর চীনের লোকেরা জনপ্রিয় ভ্রমণ ওয়েবসাইটগুলোতে বিদেশে ভ্রমণ বিষয়ক অনুসন্ধান শুরু করেন। কিন্তু চীনে করোনার উল্লম্ফনের ফলে এক ডজনেরও বেশি দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের ওপর বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষাসহ নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। অবশ্য বিধিনিষেধ সত্ত্বেও চীনের অনেকেই দেশের বাইরে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। কোভিড পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা সত্ত্বেও ২৮ বছর বয়সী ঝাং কাই এএফপিকে বলেছেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়া বা জাপানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।

ঝাং বলেন, ‘আমি খুশি, এখন অবশেষে (আমি) যেতে পারি’। তার বন্ধুরা কোভিড পরীক্ষা করে ইতোমধ্যেই জাপানে পৌঁছেছে। আর কোভিড পরীক্ষার বিষয়টিকে তিনি ‘ছোট ব্যাপার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। অবশ্য চীন থেকে আসা ভ্রমণকারীদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ জারির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছে দেশটি। বেইজিং এগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সমালোচনা করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।