এ শীতে বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি পাওয়া যায় নানা রকম শাকও। এসম বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক বিশেষ করে সরিষা শাকের দেখা মেলে।
পুষ্টিবিদ (ভারতীয়) রিধিমা বাত্রা তার ইনস্টাগ্রামে সরিষা শাকের স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং শীতের সময়ে কেন এ শাক খেতে হবে সে সম্পর্কে জানিয়েছেন।
রিধিমা তার পোস্টে লেখেন- সরিষা শাক একটি নিরামিষ খাবার যা অনেকভাবেই খাওয়া যায়। এটি অন্যান্য শাক যেমন বথুয়া, পালং, মুলা ইত্যাদি শাকের সঙ্গেও মিশিয়ে রান্না করা যায়।
সরিষা শাক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে
ভারতীয় এ পুষ্টিবিদ তার পোস্টে আরও লেখেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি পেতে চাইলে সরিষা শাক খেতে পারেন। এ শাকে ক্যালোরি কম থাকে। এদিকে ফাইবার এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে পর্যাপ্ত। সরিষা শাক ভিটামিন কে, এ এবং সি- তিনটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস। এ শাকে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই এবং ফোলেটও। এসব উপাদান একসঙ্গে শরীরের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে হার্টের সমস্যা, অ্যাজমা কিংবা মেনোপজ ইত্যাদি ক্ষেত্রে এটি বেশি উপকারী। এ শাকে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মূখ্য ভূমিকা রাখে।
দীর্ঘস্থায়ী অসুখ প্রতিরোধ করে
সরিষা শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ও অন্যান্য অসুখের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। তাই দীর্ঘস্থায়ী বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে সরিষা শাক খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো
সরিষা শাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ, যা আমাদের চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এ ভিটামিন আমাদের ত্বক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যও উপকারী।
হার্ট ভালো রাখে
বেশিরভাগ সবুজ শাকই হার্ট ভালো রাখতে কাজ করে। সরিষা শাকও এর ব্যতিক্রম নয়। এ শাক খেলে তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এনে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়।
কীভাবে খাবেন
সরিষা শাক অন্যান্য শাকের মতোই রান্না করে খেতে পারেন। এছাড়াও এটি মসুর ডালের সঙ্গে, স্যুপ হিসেবে, পাস্তা, সালাদ, স্মুদি কিংবা জুস হিসেবেও খেতে পারেন।