প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি হিসেবে মাহফুজ আলম ওরফে (মাহফুজ আবদুল্লাহ) এর যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত অজানা কাহিনী নিয়ে আজকের সংবাদ রয়েছে দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি তে…..
চলুন জেনে নেই, কে এই মাহফুজ আবদুল্লাহ,কিইবা তার অবদান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ?
এক কথায় বলতে গেলে উনিই হচ্ছেন মেইন মাস্টার মাইন্ড । হাসিনা সরকার তাকেই খুঁজতেছিলো,কিন্তু ট্রেস করতে পারেনি। এমনকি নামটাও জানতে পারেনি সব গোয়েন্দা সংস্থা মিলে।
“মাহফুজ আবদুল্লাহ”বলা যায়, তিনি ছাত্র আন্দোলনের মস্তিষ্ক ছিলেন। মাহফুজ তার আড্ডাবাজি এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ জ্ঞানের জন্য পরিচিত ছিল। তিনি ব্রিটিশ ভারতের বিভক্তির পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া সকল রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সেটেলমেন্ট সম্পর্কে জানেন। তিনি দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক নেতার মানসিক মনোভাব নিয়েও জ্ঞান রাখেন। রাজনৈতিক ঘটনা এবং সেগুলি কেন সফল বা ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে তার এনসাইক্লোপিডিক জ্ঞান রয়েছে।
তারপর কিভাবে মাহফুজ ভাই গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি (DSF) এর ছায়া তলে নতুন গ্রুপ “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলন” নামে তৈরি করে সুচতুর ভাবে ৫৫ জন এর কোনো পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড বিহীন সমন্বয়ক এর দল বানিয়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান।
তাছাড়া ঢাকা ট্রিবিউন ও দৈনিক ইত্তেফাক সহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে খোঁজা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছিল ।
এক কথায় মাহফুজ ছিল মাস্টারমাইন্ড।আন্দোলন যেন রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা কলুষিত না হয়, সকল ছাত্র ছাত্রীদের এক ছাতার নিচে আনার জন্য যাবতীয় স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতো মাহফুজ। বাংলা ব্লকেড, কম্প্লিট শাটডাউন এগুলা তার’ই ব্রেইনচাইল্ড।শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পর আর্মি চিফ এবং প্রেসিডেন্টের সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা ঠিক করতে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে ছাত্রদের থেকে কে কে গিয়েছিল মনে আছে? এই মাহফুজ সেখানে ছিল।
তিনি শেখ হাসিনার পতনের বিষয়ে Macro Level এ অনেক আলোচনা করেছে,কিন্তু মাঠে পরিকল্পনা সাজানোর মত অনেক বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।তাই আঙ্কেল স্যামের পাশাপাশি শেখ হাসিনার পতনের জন্য যে ব্রেইন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সে কোটা আন্দোলনে যুক্ত ছিল কিন্তু পর্দার পেছনে থেকে।
সাংবাদিকদের সামনে যাদের বক্তব্য দিতে দেখছি অনেকের ধারনা এরাই কোটা আন্দোলনের মূল নেতা।
এছাড়া বাংলাদেশের ডিবি এদের তুলে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন থামিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু পারে নি।
ডিবি নাহিদকে ধরে নিয়ে বর্বরভাবে নির্যাতন করেছে কিন্তু সেগুলো কাজে আসে নি।এর প্রধান কারন এদের বুদ্ধিতে আন্দোলন পরিচালিত হয় নি।আন্দোলন মূলত পরিচালিত হয়েছে মাহফুজ আবদুল্লাহ এর বুদ্ধিতে।
মাহফুজ আবদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের বিদ্যার্থী।
বাংলা ট্রিবিউন যে ইনটেলেকচুয়াল তরুনের বিষয়ে বলেছিল, এই সেই তরুন।
মাহফুজ আবদুল্লাহ সর্বদাই লাইম লাইটে আসেন নি।এমনকি হাসিনা সরকারের পতনের পরও সে পর্দার আড়ালেই রয়েছে।
আপনি যদি নাহিদ, হাসনাত, সার্জিছ এদের কথাবার্তা অবজার্ভ করেন তাহলে বুঝবেন এরা এতটা বুদ্ধিমান নয়।কিন্তু মাহফুজ আবদুল্লাহ জিনিয়াস।”বাংলা ব্লকেড” শব্দের প্রবর্তন তিনিই করেছেন।
তবে তিনি বাংলাদেশের জামাত ইসলামী এর স্টুডেন্ট অরগানাইজেশান ইসলামী ছাত্র শিবিরের সদস্য।
আমি তার কিছু লেখা পড়ে মোটামুটি ধারনা করতে পেরেছি চিন্তাভাবনা সম্পর্কে।মাহফুজ আবদুল্লাহ পুরোপুরি হার্ডলাইনার ইসলামিস্ট নয় কিন্তু কট্টর আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শের বিরুদ্ধে।
মাহফুজ আবদুল্লাহ নিসন্দেহে ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে গভীর জ্ঞান রাখেন।হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে ডান, বাম, ইসলামপন্থী, সংখ্যালঘু সবাইকে একত্রে আনার জন্য শব্দ চয়নে যে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আবদুল্লাহ।
বাংলা-ব্লকেডের প্রবক্তা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড মাফুজ আলম ওরফে মাহফুজ আব্দুল্লাহ। জেনারেশন-জেড এর একজন তাত্ত্বিক নেতা। এই মাফুজ আলমই ছিল সকল সমন্বয়কদের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক। আইন বিভাগের ছাত্র হলেও বিশ্ব রাজনীতি, সমাজ, রাষ্ট্রগঠন ও মনোজগৎ নিয়ে তাঁর প্রচুর পড়াশোনা।
২০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আব্দুল্লাহকে ভারতীয় ‘র’ এর এজেন্ট হাসিনার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তন্ন তন্ন করে খুঁজেছে। কিন্তু তাঁর নাম বদল ও রূপ বদলের কারনে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে খুঁজে পায়নি ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতে দুইজন সমন্বয়কও উপদেষ্টা হয় কিন্তু মাহফুজ আলম অন্তরালেই থাকতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনূসের আগ্রহ ও অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এই বিপ্লবী মাস্টার মাইন্ড মাফুজ মাহফুজ আলমের নাম।
এই বিপ্লবী মাস্টার মাইন্ড মাহফুজ আলমের দর্শন,দূরদর্শিতা,সমাজ ভাবনা ও
নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ডঃ ইউনুস তাঁর সহকারী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।
এখন দেখার পালা
“এ দেশকে এরা বাংলাদেশ হিসেবে রাখতে চায় না-কি আফগান বানাতে চায়”