ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি,ভাইভা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করা প্রার্থী রাজশাহীর গোলাম রব্বানী।অপরদিকে একই নামের মিল থাকায় সুকৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভিসি। ভুক্তভোগির অভিযোগ রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের ব্যক্তি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে যোগদান করতে দেয়নি।

অদ্য ২৫ নভেম্বর ২৪ তারিখের (আনুঃ) দুপুর একটার দিকে প্রকৃত মোঃ গোলাম রব্বানী, গ্রাম বালিয়াডাঙ্গা, পোস্ট। নাসিরগঞ্জ, থানা। বাগমারা, জেলা: রাজশাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর একটি আবেদন করেন। তিনি উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়লের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে বিগত ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত নিয়োগ বাছাই বোর্ডে অংশগ্রহণ করি এবং বাছাই বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। বাছাই বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিগত ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের একাদশ তম সভার অনুমোদনক্রমে আমাকে ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য আমার গ্রামের ঠিকানায় নিয়োগপত্র পাঠানো হয় (সংযুক্তি-২)। নিয়োগপত্রে ০২ জানুয়ারি ২০১০ ইং তারিখ হতে ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ইং তারিখের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী আমি ০২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে লালকুঠিস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তৎকালীন রেজিস্ট্রার মহেদয়ের নিকট ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক পদের যোগদানপত্র প্রদান করি (সংযুক্ত-৩)। কিন্তু রেজিস্ট্রার মহোদয় আমার যোগদানপত্র গ্রহণ না করে টালবাহানা করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়া এর সাথে আমি দেখা করি। তিনিও আমার যোগদানপত্র গ্রহণের বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি আমাকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে বলাবলি করছিলেন যে, আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করা হবে না। অত:পর দিনভর অপেক্ষা করে নীজ বাড়িতে ফিরে যাই। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি যে, আমার নামের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এমন একজন প্রার্থী (মোঃ গোলাম রব্বানী, গ্রাম। পূর্ব শুখানপুকুরী, পোঃ ডি হাট- ৫১০০, উপজেলা: ঠাকুরগাঁগ সদর, জেলা। ঠাকুরগাঁও, বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস ও প্রত্নত্তত্ব বিভাগ) কে জালিয়াতি ও সুকৌশলের মাধ্যমে

(মো: গোলাম রব্বানী) প্রভাষক পদে যোগদান করানো হয়। পরববর্তীতে আমি তৎকালীন উপাচার্য মহোদয়ের সাথে একাধিকবার দেখা করে আমার যোগদানপত্র গ্রহণের অনুরোধ করলেও তিনি রাজনৈতিক কারণে যোগদানপত্র গ্রহণ সম্ভব নয় বলে জানান। নিয়োগপত্র পেয়েও আমি যোগদান করতে না পেরে আশাহত হই এবং এ বিষয়ে অনেকেই আমাকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বললেও আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় তা থেকে বিরত থাকি।

তৎকালীন প্রশাসন যেহেতু রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারণে আমাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে নতুন বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট দুর্নীতিমুক্ত ও স্বাচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্বে শুধু নামের সাথে মিল থাকার কারণে আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, আমি আমার নিয়োগ লাভের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান চাই এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের সকল প্রাপ্য সুবিধাসহ যোগদানপত্র করার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের নিকট আবেদন করলেন প্রকৃত গোলাম রব্বানী।

প্রকৃত গোলাম রব্বানী প্রতিবেদক নিকট কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন,তিনি বলেন আমার ন্যায্য অধিকারটুকু চাই।পনের বৎসর যে মানুষ আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল সে কি করে মানুষ গড়ার কারিগর হয়? আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কাজে অংশগ্রহণ করতে আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। যারা এভাবে মাটির সাথে আমার সম্মান মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই বিচার করবেন এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিবেকবান মানুষ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীদের নিকট আমার আবেদন থাকবে এই বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশে এই সমস্ত মুখোশধারী ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

আপডেট সময় ০১:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ পেয়েও যোগদান করতে পারেননি,ভাইভা বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করা প্রার্থী রাজশাহীর গোলাম রব্বানী।অপরদিকে একই নামের মিল থাকায় সুকৌশলে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ও রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে নিয়োগ দিয়েছিলেন তৎকালীন ভিসি। ভুক্তভোগির অভিযোগ রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের ব্যক্তি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে যোগদান করতে দেয়নি।

অদ্য ২৫ নভেম্বর ২৪ তারিখের (আনুঃ) দুপুর একটার দিকে প্রকৃত মোঃ গোলাম রব্বানী, গ্রাম বালিয়াডাঙ্গা, পোস্ট। নাসিরগঞ্জ, থানা। বাগমারা, জেলা: রাজশাহী। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বরাবর একটি আবেদন করেন। তিনি উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়লের ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে বিগত ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত নিয়োগ বাছাই বোর্ডে অংশগ্রহণ করি এবং বাছাই বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী আমি প্রথম স্থান অধিকার করি। বাছাই বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী বিগত ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের একাদশ তম সভার অনুমোদনক্রমে আমাকে ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ইং তারিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর ইতিহাস বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদানের জন্য আমার গ্রামের ঠিকানায় নিয়োগপত্র পাঠানো হয় (সংযুক্তি-২)। নিয়োগপত্রে ০২ জানুয়ারি ২০১০ ইং তারিখ হতে ০৪ জানুয়ারি ২০১০ ইং তারিখের মধ্যে যোগদান করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী আমি ০২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে লালকুঠিস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তৎকালীন রেজিস্ট্রার মহেদয়ের নিকট ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক পদের যোগদানপত্র প্রদান করি (সংযুক্ত-৩)। কিন্তু রেজিস্ট্রার মহোদয় আমার যোগদানপত্র গ্রহণ না করে টালবাহানা করতে থাকেন এবং এক পর্যায়ে তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুল জলিল মিয়া এর সাথে আমি দেখা করি। তিনিও আমার যোগদানপত্র গ্রহণের বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি। সেখানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি আমাকে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে বলাবলি করছিলেন যে, আমার যোগদানপত্র গ্রহণ করা হবে না। অত:পর দিনভর অপেক্ষা করে নীজ বাড়িতে ফিরে যাই। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি যে, আমার নামের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে এমন একজন প্রার্থী (মোঃ গোলাম রব্বানী, গ্রাম। পূর্ব শুখানপুকুরী, পোঃ ডি হাট- ৫১০০, উপজেলা: ঠাকুরগাঁগ সদর, জেলা। ঠাকুরগাঁও, বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক, ইতিহাস ও প্রত্নত্তত্ব বিভাগ) কে জালিয়াতি ও সুকৌশলের মাধ্যমে

(মো: গোলাম রব্বানী) প্রভাষক পদে যোগদান করানো হয়। পরববর্তীতে আমি তৎকালীন উপাচার্য মহোদয়ের সাথে একাধিকবার দেখা করে আমার যোগদানপত্র গ্রহণের অনুরোধ করলেও তিনি রাজনৈতিক কারণে যোগদানপত্র গ্রহণ সম্ভব নয় বলে জানান। নিয়োগপত্র পেয়েও আমি যোগদান করতে না পেরে আশাহত হই এবং এ বিষয়ে অনেকেই আমাকে আদালতের শরণাপন্ন হতে বললেও আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকায় তা থেকে বিরত থাকি।

তৎকালীন প্রশাসন যেহেতু রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারণে আমাকে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে নতুন বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট দুর্নীতিমুক্ত ও স্বাচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার আবেদন, দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্বে শুধু নামের সাথে মিল থাকার কারণে আমার প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, আমি আমার নিয়োগ লাভের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু সমাধান চাই এবং সেই সঙ্গে দীর্ঘ ১৫ বছরের সকল প্রাপ্য সুবিধাসহ যোগদানপত্র করার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের নিকট আবেদন করলেন প্রকৃত গোলাম রব্বানী।

প্রকৃত গোলাম রব্বানী প্রতিবেদক নিকট কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন,তিনি বলেন আমার ন্যায্য অধিকারটুকু চাই।পনের বৎসর যে মানুষ আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল সে কি করে মানুষ গড়ার কারিগর হয়? আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কাজে অংশগ্রহণ করতে আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। যারা এভাবে মাটির সাথে আমার সম্মান মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই বিচার করবেন এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দেশের বিবেকবান মানুষ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীদের নিকট আমার আবেদন থাকবে এই বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশে এই সমস্ত মুখোশধারী ব্যক্তিদের মুখোশ উন্মোচন করবেন।