ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন রাজবাড়ী জেলার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের জেলা সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জেলায় চাকরিচ্যুত ৬৩ জন বিডিআর সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন সাহাদাৎ বরণ করেন। ঘটনা পরবর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআরকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মানববন্ধন শেষে তারা পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা, চাকরিচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাৎ বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

আপডেট সময় ০৩:০৩:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন রাজবাড়ী জেলার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের জেলা সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জেলায় চাকরিচ্যুত ৬৩ জন বিডিআর সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন সাহাদাৎ বরণ করেন। ঘটনা পরবর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআরকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মানববন্ধন শেষে তারা পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা, চাকরিচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাৎ বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।