২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা ও চাকরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ৯ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন রাজবাড়ী জেলার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের জেলা সমন্বয়ক সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জেলায় চাকরিচ্যুত ৬৩ জন বিডিআর সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার সেনাবাহিনীর সম্মান ক্ষুন্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে। ওই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন সাহাদাৎ বরণ করেন। ঘটনা পরবর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআরকে চাকরিচ্যুতসহ বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করে। আজ হাজার হাজার বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে।
মানববন্ধন শেষে তারা পিলখানায় সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করা, চাকরিচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শাহাদাৎ বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস ঘোষণাসহ ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।