ঢাকা ০৬:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ফের আলোচনায় রাহুলের ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব’ ইস্যু, যা বলল হাইকোর্ট

ভারতের লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। তবে এবার ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কর্ণাটকের বাসিন্দা এস ভিগনেশ শিশির ৷

ভিগ্নেশ শিশির এলাহাবাদ হাইকোর্টে দাবি করেন, রাহুল গান্ধী যে শুধু ভারতের নাগরিক নন, তার যথেষ্ট প্রমাণ তার হাতে রয়েছে।

ওই বিজেপি নেতা আদালতে দাবি করেছেন, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য জানতে তিনি বৃটেনের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিছু তথ্য তারা দিয়েছেন। তবে সব তথ্য গোপনীয়তার খাতিরে দেয়নি। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রেরও উচিত, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।

মামলাকারীর দাবি, রাহুল গান্ধীর কাছে বৃটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে। সুতরাং, ভারতীয় নির্বাচনে তার লড়াইয়ের কোনও অধিকার নেই। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে এই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় কেন্দ্র এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন রায় ও ওমপ্রকাশ শুক্লার ডিভিশন বেঞ্চ ৷

বিচারপতিরা জানান, কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী মতামত রয়েছে তা জানাতে হবে। কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় আদালতের তরফে। সেই নির্দেশ মেনেই সমস্ত তথ্য আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্র । রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে এই একই অভিযোগে মামলার করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

স্বামীর দাবি, বৃটিশ সংস্থা ব্যাকপ্স লিমিটেডের মাধ্যমে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে রাহুলের দাখিল করা বার্ষিক রিটার্ন সংক্রান্ত নথিগুলি তাঁর বৃটেনের নাগরিকত্বের প্রমাণ। এছাড়া ইংল্যান্ডে রাহুলের নামে থাকা একটি কোম্পানির ঘোষণাপত্রে, নিজেকে ইংল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোরহানউদ্দিনে খাল পরিস্কার – পরিচ্ছন্নতার অভিযানের উদ্বোধন

ফের আলোচনায় রাহুলের ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব’ ইস্যু, যা বলল হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০৪:৫৭:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ভারতের লোকসভার প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে বিজেপি। তবে এবার ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টে এই প্রসঙ্গে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কর্ণাটকের বাসিন্দা এস ভিগনেশ শিশির ৷

ভিগ্নেশ শিশির এলাহাবাদ হাইকোর্টে দাবি করেন, রাহুল গান্ধী যে শুধু ভারতের নাগরিক নন, তার যথেষ্ট প্রমাণ তার হাতে রয়েছে।

ওই বিজেপি নেতা আদালতে দাবি করেছেন, রাহুলের নাগরিকত্ব নিয়ে তথ্য জানতে তিনি বৃটেনের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিছু তথ্য তারা দিয়েছেন। তবে সব তথ্য গোপনীয়তার খাতিরে দেয়নি। এ বিষয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রেরও উচিত, এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা।

মামলাকারীর দাবি, রাহুল গান্ধীর কাছে বৃটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে। সুতরাং, ভারতীয় নির্বাচনে তার লড়াইয়ের কোনও অধিকার নেই। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। এর আগে এই মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চেয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট ৷ ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় কেন্দ্র এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় এলাহাবাদ উচ্চ আদালতের বিচারপতি রঞ্জন রায় ও ওমপ্রকাশ শুক্লার ডিভিশন বেঞ্চ ৷

বিচারপতিরা জানান, কোনও সিদ্ধান্তে আসার আগে এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কী মতামত রয়েছে তা জানাতে হবে। কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেয়ার জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় আদালতের তরফে। সেই নির্দেশ মেনেই সমস্ত তথ্য আদালতে পেশ করেছে কেন্দ্র । রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে এই একই অভিযোগে মামলার করেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

স্বামীর দাবি, বৃটিশ সংস্থা ব্যাকপ্স লিমিটেডের মাধ্যমে ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে রাহুলের দাখিল করা বার্ষিক রিটার্ন সংক্রান্ত নথিগুলি তাঁর বৃটেনের নাগরিকত্বের প্রমাণ। এছাড়া ইংল্যান্ডে রাহুলের নামে থাকা একটি কোম্পানির ঘোষণাপত্রে, নিজেকে ইংল্যান্ডের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।