ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ভারতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ যুবকের মৃত্যু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ডে ভাসছে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’! ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজান গ্রেফতার

বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা

ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ।

আগামী ২৯ আগস্ট তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ফেসবুকে থাকা তার বক্তব্য অবিলম্বে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর করা আদালত অবমাননার শুনানি নিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আইনজীবী আহসানুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে যে কটূক্তি করেছিল এবং যে বক্তব্য দিয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। যে এ বক্তব্য দিয়েছে পেশা পরিচালনা থেকে তাকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ডিবার্ড (নিষেধ) করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে হবে। আর যে বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছে সেগুলো রিমুভ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও এ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন কোর্ট মহানুভবতার সঙ্গে তাকে ক্ষমা করে দেন এবং ভবিষ্যতে এ রকম না করার জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি লিখিত দিয়েছিলেন। এখন এ প্রতিশ্রুতি ভেঙে আবার এ রকম করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বিচার বিভাগ, বিচারপতিদের নিয়ে ক্রমাগতভাবে আদালত নিয়ে অবমাননামূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তলব করেন। একইসঙ্গে আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন এ আইনজীবী। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ওই বছরের ১৫ জুলাই আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক পোস্টটি আপিল বিভাগের নজরে আনেন। এরপর আদালত তাকে তলব করে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনজীবী আশরাফের ওই ফেসবুক পোস্ট অপসারণ করার নির্দেশ দেন। পরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ সে ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা

বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য, আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৯:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

ফেসবুক লাইভে এসে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলামকে তলব করেছেন আপিল বিভাগ।

আগামী ২৯ আগস্ট তাকে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ফেসবুকে থাকা তার বক্তব্য অবিলম্বে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর করা আদালত অবমাননার শুনানি নিয়ে রোববার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করীম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে আইনজীবী আহসানুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, বিচার বিভাগ নিয়ে যে কটূক্তি করেছিল এবং যে বক্তব্য দিয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে। যে এ বক্তব্য দিয়েছে পেশা পরিচালনা থেকে তাকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ডিবার্ড (নিষেধ) করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে হবে। আর যে বক্তব্য ফেসবুকে দিয়েছে সেগুলো রিমুভ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও এ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন কোর্ট মহানুভবতার সঙ্গে তাকে ক্ষমা করে দেন এবং ভবিষ্যতে এ রকম না করার জন্য সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি লিখিত দিয়েছিলেন। এখন এ প্রতিশ্রুতি ভেঙে আবার এ রকম করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে আইনজীবী মো. আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বিচার বিভাগ, বিচারপতিদের নিয়ে ক্রমাগতভাবে আদালত নিয়ে অবমাননামূলক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কয়েকজন আইনজীবী আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তলব করেন। একইসঙ্গে আগামী ২৯ আগস্ট পর্যন্ত তাকে আইন পেশা পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

এর আগে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন এ আইনজীবী। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ওই বছরের ১৫ জুলাই আইনজীবী আশরাফুল ইসলাম আশরাফের ফেসবুক পোস্টটি আপিল বিভাগের নজরে আনেন। এরপর আদালত তাকে তলব করে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে তাকে আইন পেশা থেকে বিরত থাকতে এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) আইনজীবী আশরাফের ওই ফেসবুক পোস্ট অপসারণ করার নির্দেশ দেন। পরে তিনি আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চ সে ক্ষমার আবেদন গ্রহণ করে তাকে আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন।