ঢাকা ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ভারতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ যুবকের মৃত্যু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ডে ভাসছে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’! ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজান গ্রেফতার

অনিরাপদ খাবারে প্রতিদিন অসুস্থ ১৬ লাখ

অনিরাপদ খাবারের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের প্রধান ফ্রান্সেসকো ব্রাঙ্কা জানিয়েছেন, এ ধরনের অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। তিনি জানান, খাদ্যসংক্রান্ত রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু। আনাদুলু এজেন্সি।

খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি সীমানা চেনে না উল্লেখ করে ব্রাঙ্কা জোর দিয়ে বলেন, ক্রমবর্ধমান হারে আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো স্থানীয় সমস্যা থেকে দ্রুত আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থায় পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক অংশেই মানবিক সংকট খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা শিগগির তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে।

একই সঙ্গে এসব ঝুঁকিসংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ পরিকল্পনা অতি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে প্রাণী, পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে ‘মৌলিক’ লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে দেখা হয়। মার্কাস লিপ নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপদ খাদ্য আরও ভালো উৎপাদন, পুষ্টি, পরিবেশ এবং জীবনকে সক্ষম করার জন্য এফএও’র কৌশলগত পরিকল্পনা পূরণের অন্যতম শর্ত। মার্কাস লিপ বলেন, ‘যখন একটি নিরাপদ ও টেকসই কৃষি খাদ্যব্যবস্থায় খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবসা স্বাস্থ্যকর জীবনে অবদান রাখে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনকে এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত খাদ্য নিরাপত্তা জনস্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে দেয়।’

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা

অনিরাপদ খাবারে প্রতিদিন অসুস্থ ১৬ লাখ

আপডেট সময় ১১:২১:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

অনিরাপদ খাবারের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক বিভাগের প্রধান ফ্রান্সেসকো ব্রাঙ্কা জানিয়েছেন, এ ধরনের অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়। তিনি জানান, খাদ্যসংক্রান্ত রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশই পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু। আনাদুলু এজেন্সি।

খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি সীমানা চেনে না উল্লেখ করে ব্রাঙ্কা জোর দিয়ে বলেন, ক্রমবর্ধমান হারে আন্তঃসংযুক্ত বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলে অনিরাপদ খাদ্যের কারণে সৃষ্ট ঝুঁকিগুলো স্থানীয় সমস্যা থেকে দ্রুত আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থায় পরিণত হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক অংশেই মানবিক সংকট খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা শিগগির তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে।

একই সঙ্গে এসব ঝুঁকিসংক্রান্ত সার্বিক যোগাযোগ পরিকল্পনা অতি দ্রুত এগিয়ে নিয়ে প্রাণী, পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টিকে ‘মৌলিক’ লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে দেখা হয়। মার্কাস লিপ নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপদ খাদ্য আরও ভালো উৎপাদন, পুষ্টি, পরিবেশ এবং জীবনকে সক্ষম করার জন্য এফএও’র কৌশলগত পরিকল্পনা পূরণের অন্যতম শর্ত। মার্কাস লিপ বলেন, ‘যখন একটি নিরাপদ ও টেকসই কৃষি খাদ্যব্যবস্থায় খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবসা স্বাস্থ্যকর জীবনে অবদান রাখে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনকে এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত খাদ্য নিরাপত্তা জনস্বাস্থ্য রক্ষার পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে দেয়।’