ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ থেকে আগষ্টিন হাতিয়েছেন শত কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী টিটুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা উত্তরণ আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০২৪ অনুষ্ঠিত সময় আসবে একদিন…তখন আফসোস করবি বাংলাদেশটাকে ধ্বংস করার জন্য পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও জনস্বার্থে খাল পরিস্কার কর্মসূচী অনুষ্ঠিত ভারতে জমাজলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ যুবকের মৃত্যু কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের বোর্ডে ভাসছে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’! ঢাকাসহ ছয় বিভাগে বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা মিজান গ্রেফতার

বড়াইগ্রামে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুরে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। মসজিদের নামে রশিদ ছাপিয়ে চাঁদা উত্তোলন করা হলেও মসজিদের তহবিলে কোনো টাকা দেয়া হয় না বলে জানা গেছে।

এসব অনিয়ম বন্ধ ও সরকারি স্বার্থ রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহম্মেদপুরে সরকারিভাবে কোনো পশুর হাটের অনুমোদন নেই, কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু সংখ্যক লোক আহম্মেদপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের উন্নয়নকল্পে ছাগলের হাট নাম দিয়ে অবৈধভাবে এ হাট বসিয়েছেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ইজারাবিহীনভাবে হাট বসানো ও টোল আদায় করা অবৈধ, কিন্তু তারা প্রতি শুক্রবার ছাগলের হাট বসিয়ে মসজিদের নামে রশিদ ছাপিয়ে বছরের অন্যান্য সময়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা হাসিল আদায় করে। এছাড়া ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মের প্রতিকারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজারের পুরো রাস্তাজুড়ে বসেছে ছাগলের হাট। পুরো হাটজুড়ে শত শত ছাগল-ভেড়া কেনাবেচা হচ্ছে। হাটের তিনটি পয়েন্টে মসজিদের নামে ছাপানো রশিদ দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই হাসিল আদায় করছেন ১৫-২০ জন যুবক।

এ ব্যাপারে আহম্মেদপুর বাজার ও হাট ইজারাদার এসএম কামরুজ্জামান রউফ জানান, প্রতি হাটে শত শত ছাগল, ভেড়া-খাসি ক্রয়-বিক্রয় হয়। স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা ইসাহাক আলী ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। বছরের অন্য সময় ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় হলেও ঈদের সময় প্রতি হাটে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। কিন্তু আমি ইজারাদার হয়েও একটাকাও পাই না, সরকারও কোন রাজস্ব পায় না।

আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জরিপ আলী মৃধা বলেন, তারা মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে হাট বসিয়ে চাঁদা তুললেও মসজিদের তহবিলে কোন টাকা দেয় না। সব টাকা নিজেরাই ভাগাভাগি করে নিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে ছাগল হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জোয়াড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর ধরে মসজিদের নামেই এ হাটটি চলে। আদায় করা টাকার একটি অংশ আমরা মসজিদের জন্য জমা রেখেছি, কিন্তু আমাদের আগে যারা হাট চালাতো, তারা মসজিদের টাকার সঠিক হিসাব না দেয়ায় আমরাও জমা রাখা টাকা দিচ্ছি না।

এ বিষয়ে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন আসায় বিষয়টি জানা ছিল না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া হাট বসানোর কোনো সুযোগ নেই। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ অবৈধ হাট বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বেপরোয়া ভালুকার সাইবার সন্ত্রাসীরা

বড়াইগ্রামে অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:১৩:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুরে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়ে লাখ লাখ টাকা টোল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। মসজিদের নামে রশিদ ছাপিয়ে চাঁদা উত্তোলন করা হলেও মসজিদের তহবিলে কোনো টাকা দেয়া হয় না বলে জানা গেছে।

এসব অনিয়ম বন্ধ ও সরকারি স্বার্থ রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আহম্মেদপুরে সরকারিভাবে কোনো পশুর হাটের অনুমোদন নেই, কিন্তু স্থানীয় সরকার দলীয় কিছু সংখ্যক লোক আহম্মেদপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের উন্নয়নকল্পে ছাগলের হাট নাম দিয়ে অবৈধভাবে এ হাট বসিয়েছেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ইজারাবিহীনভাবে হাট বসানো ও টোল আদায় করা অবৈধ, কিন্তু তারা প্রতি শুক্রবার ছাগলের হাট বসিয়ে মসজিদের নামে রশিদ ছাপিয়ে বছরের অন্যান্য সময়ে ৩০-৪০ হাজার টাকা হাসিল আদায় করে। এছাড়া ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অনিয়মের প্রতিকারে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজারের পুরো রাস্তাজুড়ে বসেছে ছাগলের হাট। পুরো হাটজুড়ে শত শত ছাগল-ভেড়া কেনাবেচা হচ্ছে। হাটের তিনটি পয়েন্টে মসজিদের নামে ছাপানো রশিদ দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ থেকেই হাসিল আদায় করছেন ১৫-২০ জন যুবক।

এ ব্যাপারে আহম্মেদপুর বাজার ও হাট ইজারাদার এসএম কামরুজ্জামান রউফ জানান, প্রতি হাটে শত শত ছাগল, ভেড়া-খাসি ক্রয়-বিক্রয় হয়। স্থানীয় কৃষক লীগ নেতা ইসাহাক আলী ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে। বছরের অন্য সময় ৩০-৪০ হাজার টাকা আদায় হলেও ঈদের সময় প্রতি হাটে লক্ষাধিক টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। কিন্তু আমি ইজারাদার হয়েও একটাকাও পাই না, সরকারও কোন রাজস্ব পায় না।

আহম্মেদপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জরিপ আলী মৃধা বলেন, তারা মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে হাট বসিয়ে চাঁদা তুললেও মসজিদের তহবিলে কোন টাকা দেয় না। সব টাকা নিজেরাই ভাগাভাগি করে নিয়ে চলে যায়।

এ ব্যাপারে ছাগল হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা জোয়াড়ী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর ধরে মসজিদের নামেই এ হাটটি চলে। আদায় করা টাকার একটি অংশ আমরা মসজিদের জন্য জমা রেখেছি, কিন্তু আমাদের আগে যারা হাট চালাতো, তারা মসজিদের টাকার সঠিক হিসাব না দেয়ায় আমরাও জমা রাখা টাকা দিচ্ছি না।

এ বিষয়ে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি এ উপজেলায় নতুন আসায় বিষয়টি জানা ছিল না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া হাট বসানোর কোনো সুযোগ নেই। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ অবৈধ হাট বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।