ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এয়ার ট্রাভেলসের মালিক রওশন আলির বিরুদ্ধে মানব পাচার অভিযোগ

  • মোস্তাফিজুর রহমান
  • আপডেট সময় ০৩:১৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৭৩৩ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর নয়া পল্টন মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আলির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৮৮জন পুরুষ যাত্রীৃকে কম্বোডিয়ান ভিসায় বিদেশ পাঠানোর প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ান ভিসায় সরাসরি শ্রমিক পাঠানোর অনুমোদন না থাকলেও সহজ সরল মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা ও আইন লঙ্ঘন করে আসছেন রওশন আলি। তাঁর অফিসিয়াল প্যাডে অংগিকার নামা দিয়ে প্রত্যেক বিদেশগামী ব্যক্তিদের নিকট থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অসৎ উপায়ে লাভবান হওয়ার ও প্রমাণ রয়েছে। রওশান আলি নিজেকে অনেক সুচতুর ভেবে জনশক্তি কর্মসংস্থানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে অর্থের প্রলোভনে বায়াস করতে সক্ষম হয়েছেন।
জানা গেছে নয়াপল্টনের ৬২ ভিআইপি রোড সিটি হার্ট বিল্ডিং মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (লাং নম্বর ১৮৮৪) ৮ম ফ্লোর ৯/৭-এ ফ্লোরে তাঁর ভিসা প্রোসেসিং কার্যক্রম চালাতেন। মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর নিজস্ব প্যাডে জনশাক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাব্যবস্থাপক বরাবরে ৮৮জন পুরুষ বিদেশগামী কর্মীর অসত্যায়িত ভিসায় একক বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানের জন্য আবেদন করেন। কর্মীর ভিসা যাচাই করে সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। আবেদনে আরও উল্লেখ করেন কর্মীদের ভিসাদলের মেয়াদ স্বল্পতার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বহির্গমন ছাড়পত্র প্রয়োজন। ভিসাগুলো ২৫ এর অধিক বা গ্রুপ ভিসা না হওয়ায় এবং কম্বোডীয় গমনের পর কর্মীদের কোনো প্রকার সমস্যা হলে কর্মীর সকল দায়দায়িত্ব রিক্রোটিং এজেন্সি বহন করবে। রওশন আলি আবেদনে আরও উল্লোখ করেন,কম্বোডিয়া গমনে ইচ্ছুক আটাশিজন পুরুষ কর্মীর অনুকূলে একক বহির্গমন ছাড়পত্রের সঙ্গে তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অংগিকার নামা ,পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকাপি পে অর্ডারসহ চালানের মূলকাপি,প্রশিক্ষণ সনদ ও পুটআপ তালিকাসহ কর্মীর ডাটাশীট।
উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিযা শ্রমিক পাঠানো সরকারি কোনো অনুমোদন নাই তাই বলা যায় অংগিকার নামারও কোনো ভিত্তি নাই। যা করেছেন শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সহজ সরল মানুষকে সান্ত্বনা দিয়ে নিজে এবং দালাল চক্রকে লাভবান করেছেন। কম্বোডিয়ার নামে অন্য দেশে পাচার করেছেন।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে এয়ার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আলি আমাদের দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন,আমি বিধি মোতাবেক তাদেরকে কম্বোডিয়া পাঠিয়েছি। কম্বোডিয়ার কোনো অনুমোদন নাই ,এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান রওশন আলি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এয়ার ট্রাভেলসের মালিক রওশন আলির বিরুদ্ধে মানব পাচার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:১৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর নয়া পল্টন মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আলির বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৮৮জন পুরুষ যাত্রীৃকে কম্বোডিয়ান ভিসায় বিদেশ পাঠানোর প্রমাণ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়ান ভিসায় সরাসরি শ্রমিক পাঠানোর অনুমোদন না থাকলেও সহজ সরল মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা ও আইন লঙ্ঘন করে আসছেন রওশন আলি। তাঁর অফিসিয়াল প্যাডে অংগিকার নামা দিয়ে প্রত্যেক বিদেশগামী ব্যক্তিদের নিকট থেকে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে অসৎ উপায়ে লাভবান হওয়ার ও প্রমাণ রয়েছে। রওশান আলি নিজেকে অনেক সুচতুর ভেবে জনশক্তি কর্মসংস্থানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে অর্থের প্রলোভনে বায়াস করতে সক্ষম হয়েছেন।
জানা গেছে নয়াপল্টনের ৬২ ভিআইপি রোড সিটি হার্ট বিল্ডিং মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (লাং নম্বর ১৮৮৪) ৮ম ফ্লোর ৯/৭-এ ফ্লোরে তাঁর ভিসা প্রোসেসিং কার্যক্রম চালাতেন। মিনা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর নিজস্ব প্যাডে জনশাক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাব্যবস্থাপক বরাবরে ৮৮জন পুরুষ বিদেশগামী কর্মীর অসত্যায়িত ভিসায় একক বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানের জন্য আবেদন করেন। কর্মীর ভিসা যাচাই করে সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়। আবেদনে আরও উল্লেখ করেন কর্মীদের ভিসাদলের মেয়াদ স্বল্পতার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বহির্গমন ছাড়পত্র প্রয়োজন। ভিসাগুলো ২৫ এর অধিক বা গ্রুপ ভিসা না হওয়ায় এবং কম্বোডীয় গমনের পর কর্মীদের কোনো প্রকার সমস্যা হলে কর্মীর সকল দায়দায়িত্ব রিক্রোটিং এজেন্সি বহন করবে। রওশন আলি আবেদনে আরও উল্লোখ করেন,কম্বোডিয়া গমনে ইচ্ছুক আটাশিজন পুরুষ কর্মীর অনুকূলে একক বহির্গমন ছাড়পত্রের সঙ্গে তিনশত টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অংগিকার নামা ,পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকাপি পে অর্ডারসহ চালানের মূলকাপি,প্রশিক্ষণ সনদ ও পুটআপ তালিকাসহ কর্মীর ডাটাশীট।
উল্লেখ্য যে বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিযা শ্রমিক পাঠানো সরকারি কোনো অনুমোদন নাই তাই বলা যায় অংগিকার নামারও কোনো ভিত্তি নাই। যা করেছেন শুধু আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য সহজ সরল মানুষকে সান্ত্বনা দিয়ে নিজে এবং দালাল চক্রকে লাভবান করেছেন। কম্বোডিয়ার নামে অন্য দেশে পাচার করেছেন।
এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাইলে এয়ার ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রওশন আলি আমাদের দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে বলেন,আমি বিধি মোতাবেক তাদেরকে কম্বোডিয়া পাঠিয়েছি। কম্বোডিয়ার কোনো অনুমোদন নাই ,এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানান রওশন আলি।