রাজশাহী বাগমারা উপজেলার মোহনগঞ্জ হাটে গত ০৬.০৮.২০২৪ ইং তারিখে মোঃ জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যক্তির দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী জিয়াউর জানান, আমি গত ৩০-৩৫ বছর যাবৎ মোহনগঞ্জ হাটে কসমেটিকস এর ব্যবসা করে আসছি এবং এই জমি প্রতি বছরের ন্যায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের রাজস্ব কর ২৩৪/= টাকা পরিশোধ করা হয়েছে ( মোজাঃ মোহনগঞ্জ/১১৫, খতিয়ান নং ০১,দাগ নং ৭২০, জমির পরিমাণ ০.০০৪৫ শতক । ৫ই আগষ্ট সরকার পতনের পর ৬ই আগষ্ট ভোর আনুমানিক ৫টার সময় স্থানীয় বর্তমান মেম্বার আকবর হোসেন ও তার ভাগিনা রানা, আঃ জব্বার, আঃ জলিল, সেলিম রেজা, মিঠুন, শিমুল, কামাল তাদের দল-বল সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় আমার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকার কসমেটিকস মালামাল ভ্যান যোগে নিয়ে যায় ।
আমি আনুমানিক সকাল ৮ টার দিকে মোবাইলে খবর পাওয়া মাত্রই আমার বড় ভাই অধ্যাপক মোঃ জোবায়েদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই এবং তাদেরকে বাধা প্রদান করিলে তারা ক্ষিপ্ত হইয়া আমাকে ও আমার বড় ভাইকে সেলিম ও শিমুল তাদের হাতে থাকা হাতুড়ি দ্বারা এলোপাথাড়ি ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীদের কবল থেকে বাঁচতে আমরা চিৎকার করলে পাশের দোকানদার সাবেক মেম্বার আফজাল হোসেন, জুয়েল, সাত্তার সহ অনেকেই আমাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভ্যান যোগে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান । বড় ভাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরলেও আমি ৩ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম।
স্থানীয় ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে আমি আমার ব্যবসা ও জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে গত ২০.০৮.২০২৪ ইং তারিখে আদালতে মামলা দায়ের করি যার মামলা নং সিআর ৭১৩/২০২৪ ।
আদালত থেকে উক্ত মামলার তদন্ত ভার দেওয়া হয় বাগমারা থানার এসআই আঃ মজিদ কে। এসআই আঃ মজিদ সরজমিন তদন্তে মামলার সত্যতা পান এবং জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে হাতুড়ি ও ছেঁড়া শার্ট উদ্ধার করেন কিন্তু তার চাহিদামত ঘুষ দিতে না পারায় এবং আসামীদের নিকট হতে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে সত্যকে ধাপাচাপা দিয়ে আসামীদের পক্ষে রিপোর্ট জমা দেন। বাদী এই তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান । প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এই প্রতিবেদকের কাছে ।
এই বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আঃ মজিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কর্কশ ভাষায় বলেন, তদন্ত রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে আপনার প্রয়োজন হলে আদালত থেকে তুলে নিয়েন এবং এই প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।