ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

কলকাতা: ভারতের কংগ্রেস নেতা সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী। গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশের ওপর সম্প্রতি দেশটির শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

তারপরই সোমবার (৭ আগস্ট) লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর।

 

স্পিকারের সচিবালয় থেকে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) থেকে সংসদ ভবনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা। তাতে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইল না রাহুলের। রাহুল লোকসভায় প্রবেশে ‘ইন্ডিয়া’ জোট যে আরও শক্তিশালী হলো তা নিয়েও সংশয় নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের কারণে গত ২৩ মার্চ রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয় সুরাটের নিম্ন আদালতে। সেই রায়ে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাট রাজ্যের সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই অর্থাৎ ২৪ মার্চ সাংসদ সদস্য পদ খোয়াতে হয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। যদিও সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগ পাবেন রাহুল।

পরবর্তীতে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন রাহুল। গত ১৩ এপ্রিল মামলাটি ওঠে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে। ২০ এপ্রিল শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তার রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু, নগর দায়রা আদালতের বিচারক পি মোগেরা. রাহুলকে কোনোরকম স্বস্তি দেননি। রাহুলের আরজি খারিজ করে দিয়েছিল নগর দায়রা আদালতও।

সেদিনই কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হয়েছিল, আরও উচ্চতর আদালতে মামলা দায়ের করবেন রাহুল। এরপরই ২৫ এপ্রিল গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কংগ্রেস নেতা তথা রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সেই গত ৭ জুলাই গুজরাট হাইকোর্টেও খারিজ হয়ে যায়।

এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। ৪ আগস্ট রাহুলের দুই বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। অথচ শুক্রবার(৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট রাহুলকে স্বস্তি দেওয়ার পর লোকসভা সচিবালয়ের সেই ক্ষিপ্রতা দেখা যায়নি। সেই কারণে বিরোধীরা সমষ্টিগত ভাবে স্পিকারের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। এমনকি কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিচ্ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ আগস্ট) সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন যে রাহুলের লোকসভার সদস্য পদ ফেরানো হলো। এখন দেখার অপেক্ষা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের বিরোধিতা কতটা ঝাঁঝালো হয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে

সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী

আপডেট সময় ০১:৩৮:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

কলকাতা: ভারতের কংগ্রেস নেতা সংসদ সদস্য পদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী। গুজরাটের সুরাট আদালতের নির্দেশের ওপর সম্প্রতি দেশটির শীর্ষ আদালত সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।

তারপরই সোমবার (৭ আগস্ট) লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সংসদ সদস্য পদ ফিরিয়ে দিলেন রাহুল গান্ধীর।

 

স্পিকারের সচিবালয় থেকে ওই বিষয়ে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) থেকে সংসদ ভবনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও ভোটাভুটি হওয়ার কথা। তাতে অংশ নিতে আর কোনো বাধা রইল না রাহুলের। রাহুল লোকসভায় প্রবেশে ‘ইন্ডিয়া’ জোট যে আরও শক্তিশালী হলো তা নিয়েও সংশয় নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের কারণে গত ২৩ মার্চ রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয় সুরাটের নিম্ন আদালতে। সেই রায়ে রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাট রাজ্যের সুরাটের নিম্ন আদালত। সুরাট আদালতের সেই সিদ্ধান্তের জেরে একদিন পরেই অর্থাৎ ২৪ মার্চ সাংসদ সদস্য পদ খোয়াতে হয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। যদিও সাজা শোনানোর পরই রাহুলকে ৩০ দিনের জন্য শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এই ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চতর আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করারও সুযোগ পাবেন রাহুল।

পরবর্তীতে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে মামলা করেছিলেন রাহুল। গত ১৩ এপ্রিল মামলাটি ওঠে সুরাটের নগর-দায়রা আদালতে। ২০ এপ্রিল শুনানিতে রাহুলের দাবি ছিল, তার রাজনৈতিক পরিচয়ে প্রভাবিত হয়ে অতিরিক্ত শাস্তি দিয়েছে নিম্ন আদালত। কিন্তু, নগর দায়রা আদালতের বিচারক পি মোগেরা. রাহুলকে কোনোরকম স্বস্তি দেননি। রাহুলের আরজি খারিজ করে দিয়েছিল নগর দায়রা আদালতও।

সেদিনই কংগ্রেসের তরফে ইঙ্গিত দিয়ে রাখা হয়েছিল, আরও উচ্চতর আদালতে মামলা দায়ের করবেন রাহুল। এরপরই ২৫ এপ্রিল গুজরাট হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে কংগ্রেস নেতা তথা রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। সেই গত ৭ জুলাই গুজরাট হাইকোর্টেও খারিজ হয়ে যায়।

এরপরই সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি ওঠে। ৪ আগস্ট রাহুলের দুই বছরের জেলের সাজার ওপর স্থগিতাদেশ দেন আদালত। অথচ শুক্রবার(৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট রাহুলকে স্বস্তি দেওয়ার পর লোকসভা সচিবালয়ের সেই ক্ষিপ্রতা দেখা যায়নি। সেই কারণে বিরোধীরা সমষ্টিগত ভাবে স্পিকারের ওপর চাপ তৈরি করেছিলেন। এমনকি কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিচ্ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (৭ আগস্ট) সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন যে রাহুলের লোকসভার সদস্য পদ ফেরানো হলো। এখন দেখার অপেক্ষা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের বিরোধিতা কতটা ঝাঁঝালো হয়।