ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নতুন ব্রিজ এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার মুখে পড়েছে পথচারী জমির দলিলের প্রলোভানা দিয়ে গ্রাম পুলিশের নির্দেশে সোনিয়া আক্তার নামে এক নারীকে নির্যাতন করে আমরা আর কোনো অবিচার চাই না’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালককে বদলি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রংপুরে বিক্ষোভ রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক ২ আইজিপি বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ফের উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫২ কারখানা ট্রাইব্যুনালে প্রথমবার হাসিনার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ আগামী মাসেই বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করতে চায় নেপাল

অভিবাসীদের ঢেউ মোকাবিলায় ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি

ইতালি অভিমুখে অভিবাসীদের স্রোত ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মূলত উন্নত জীবনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টা কেবলই বাড়ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি। অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বুধবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরজুড়ে অভিবাসীদের ঢেউ ‘ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি’ পাওয়ার পর মঙ্গলবার অভিবাসন সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছে ইতালির মন্ত্রিসভা। অভিবাসীদের আগমন এবং প্রত্যাবাসন কর্মকাণ্ড আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ইতালির সমুদ্র ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘোষিত এই জরুরি অবস্থা ছয় মাস ধরে চলবে এবং জরুরি অবস্থার অধীনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ ইউরো ব্যয় করা হবে।

ইতালির নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি বলেছেন, ‘এটি আরও স্পষ্ট করা যাক, আমরা সমস্যার সমাধান করছি না, সমাধান শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে।’

রয়টার্স বলছে, জরুরি অবস্থা জারির এই পদক্ষেপটি নেওয়ার ফলে এখন থেকে ইতালিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি এমন অভিবাসীদের জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকার আরও দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে পারবে বলে ইউরোপীয় এই দেশটির একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া এই পদক্ষেপের অধীনে অভিভাসীদের শনাক্তকরণ এবং বহিষ্কারের আদেশও বাড়বে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্ষমতায় থাকা জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকার ইতালি অভিমুখে অভিবাসনের ঢেউ বন্ধ করার বা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। কিন্তু এরপরও অভিবাসীদের ঢেউ মোকাবিলায় সংগ্রাম করছে দেশটি।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজার ৩০০ জন অভিবাসী ইতালিতে এসেছেন। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ হাজার ৯০০ জন।

এর আগে সাগরে দুই নৌকায় ভাসতে থাকা এক হাজার ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ইতালির উপকূলরক্ষী বাহিনী। গত সোমবার ইতালির উপকূলের কাছ থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।

এর আগে অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়। সেই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মেলোনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার জন্য আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ক্যালাব্রিয়ার গভর্নর রবার্তো ওচিউতো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের জটিল ঘটনা মোকাবিলা ও পরিচালনা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ ক্ষমতা থাকা উচিত। কারণ (অভিবাসী সংক্রান্ত এসব ঘটনা) দক্ষিণ অঞ্চলে চাপ সৃষ্টি করছে।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভোলায় আজকের পত্রিকার পাঠক বন্ধুর উদ্যোগে মাদক বিরোধী র‌্যালি,সেমিনার ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

অভিবাসীদের ঢেউ মোকাবিলায় ইতালিতে জরুরি অবস্থা জারি

আপডেট সময় ১২:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

ইতালি অভিমুখে অভিবাসীদের স্রোত ব্যাপকভাবে বেড়েছে। মূলত উন্নত জীবনের আশায় বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের অবৈধভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর মরিয়া চেষ্টা কেবলই বাড়ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইতালি। অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের ইতালিতে যাওয়ার চেষ্টা ব্যাপক বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বুধবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরজুড়ে অভিবাসীদের ঢেউ ‘ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি’ পাওয়ার পর মঙ্গলবার অভিবাসন সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছে ইতালির মন্ত্রিসভা। অভিবাসীদের আগমন এবং প্রত্যাবাসন কর্মকাণ্ড আরও ভালোভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

ইতালির সমুদ্র ও নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘোষিত এই জরুরি অবস্থা ছয় মাস ধরে চলবে এবং জরুরি অবস্থার অধীনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ ইউরো ব্যয় করা হবে।

ইতালির নাগরিক সুরক্ষা মন্ত্রী নেলো মুসুমেসি বলেছেন, ‘এটি আরও স্পষ্ট করা যাক, আমরা সমস্যার সমাধান করছি না, সমাধান শুধুমাত্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের দায়িত্বশীল হস্তক্ষেপের ওপরই নির্ভর করছে।’

রয়টার্স বলছে, জরুরি অবস্থা জারির এই পদক্ষেপটি নেওয়ার ফলে এখন থেকে ইতালিতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি এমন অভিবাসীদের জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকার আরও দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে পারবে বলে ইউরোপীয় এই দেশটির একটি সরকারি সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া এই পদক্ষেপের অধীনে অভিভাসীদের শনাক্তকরণ এবং বহিষ্কারের আদেশও বাড়বে।

গত বছরের অক্টোবর থেকে ক্ষমতায় থাকা জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকার ইতালি অভিমুখে অভিবাসনের ঢেউ বন্ধ করার বা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে। কিন্তু এরপরও অভিবাসীদের ঢেউ মোকাবিলায় সংগ্রাম করছে দেশটি।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজার ৩০০ জন অভিবাসী ইতালিতে এসেছেন। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ হাজার ৯০০ জন।

এর আগে সাগরে দুই নৌকায় ভাসতে থাকা এক হাজার ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে ইতালির উপকূলরক্ষী বাহিনী। গত সোমবার ইতালির উপকূলের কাছ থেকে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধারের তৎপরতা শুরু হয়।

এর আগে অবৈধপথে ইতালি যাওয়ার সময় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যালাব্রিয়ার কাছে জাহাজডুবির ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন অভিবাসীর প্রাণহানি হয়। সেই ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী মেলোনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার জন্য আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ক্যালাব্রিয়ার গভর্নর রবার্তো ওচিউতো এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘এই ধরনের জটিল ঘটনা মোকাবিলা ও পরিচালনা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ ক্ষমতা থাকা উচিত। কারণ (অভিবাসী সংক্রান্ত এসব ঘটনা) দক্ষিণ অঞ্চলে চাপ সৃষ্টি করছে।’