ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুবিতে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতাদের

  • আনোয়ার, কুমিল্লা
  • আপডেট সময় ০৯:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
  • ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পাঁচ দফা দাবি গুলো হলো প্রক্টরের পদত্যাগ; ছাত্রলীগের দুই নেতার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার; হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি; অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা। দাবি পূরণ না হলে ১২ মার্চ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও ১৩ মার্চ বিক্ষোভ করবেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম ওরফে দীপ্ত বলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি নিয়ে একটি ধূম্রজাল তৈরি হয়। এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর বহিরাগত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করেন। ২ অক্টোবর হল সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। ওই দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত বিপ্লব চন্দ্র দাস, সজন বরণ বিশ্বাস, রনি মজুমদার, ইকবাল খান ও ফয়সালের নেতৃত্বে চাঙ্গিনী এলাকায় তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তখন প্রশাসন বহিরাগত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাফিউল আলম আরও বলেন, ‘হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আমরা স্মারকলিপি দিতে গেলেও গ্রহণ করেনি প্রশাসন। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে অছাত্র ও বহিরাগত ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু হলে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে যায়। তখন আমরা বলেছি, কোনো অছাত্র, বহিরাগত ব্যক্তিরা যেন হলে উঠতে না পারেন। এ ঘটনাকে নিয়ে হলে ঝামেলা হয়। এর জেরে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান চৌধুরী ও ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সাময়িক বহিষ্কারের এক দিন পর গতকাল সালমান ও এনায়েতকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন। এসব ঘটনার নেপথ্যে আছেন প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঝামেলা হয়। এসব ঘটনায় প্রক্টর দায়ী। তাই তাঁরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছেন।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, গতকালের ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে কথা না বলে প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করছে। সহকারী প্রক্টরকে হেনস্তা করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করার কিছুই নেই। বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুবিতে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ছাত্রলীগ নেতাদের

আপডেট সময় ০৯:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর পদত্যাগ দাবি করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পাঁচ দফা দাবি গুলো হলো প্রক্টরের পদত্যাগ; ছাত্রলীগের দুই নেতার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার; হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি; অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করা এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা। দাবি পূরণ না হলে ১২ মার্চ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও ১৩ মার্চ বিক্ষোভ করবেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম ওরফে দীপ্ত বলেন, ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তি নিয়ে একটি ধূম্রজাল তৈরি হয়। এরপর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১ অক্টোবর বহিরাগত ব্যক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা করেন। ২ অক্টোবর হল সিলগালা করে দেয় প্রশাসন। ওই দিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত বিপ্লব চন্দ্র দাস, সজন বরণ বিশ্বাস, রনি মজুমদার, ইকবাল খান ও ফয়সালের নেতৃত্বে চাঙ্গিনী এলাকায় তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তখন প্রশাসন বহিরাগত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাফিউল আলম আরও বলেন, ‘হামলার ঘটনার প্রতিবাদে আমরা স্মারকলিপি দিতে গেলেও গ্রহণ করেনি প্রশাসন। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে অছাত্র ও বহিরাগত ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধু হলে ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে যায়। তখন আমরা বলেছি, কোনো অছাত্র, বহিরাগত ব্যক্তিরা যেন হলে উঠতে না পারেন। এ ঘটনাকে নিয়ে হলে ঝামেলা হয়। এর জেরে সহকারী প্রক্টর অমিত দত্তকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সালমান চৌধুরী ও ভাষাসৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহকে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।’ সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, সাময়িক বহিষ্কারের এক দিন পর গতকাল সালমান ও এনায়েতকে মারধর করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন। এসব ঘটনার নেপথ্যে আছেন প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। তাঁর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের ঝামেলা হয়। এসব ঘটনায় প্রক্টর দায়ী। তাই তাঁরা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছেন।

উক্ত অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, গতকালের ঘটনা নিয়ে ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতারা সংবাদ সম্মেলনে কথা না বলে প্রক্টরের পদত্যাগ চাওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করছে। সহকারী প্রক্টরকে হেনস্তা করায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এখানে প্রক্টরের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করার কিছুই নেই। বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন।