চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ষ্টেইট শাখার কর্মকর্তা (সেকশান অফিসার)সাদেকুর রহমান এর দুর্ণীতি অনিয়মের কারণে মোহরা শিল্প প্লট নং-৫২/৫৩ এর হস্তান্তরে ভুমির মূল্য কম দেখিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার সরকারী রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করেছে সিডিএকে। জমির যে মূল্য নির্ধারণ করেছে তা প্রায় ১৪/১৫ বছর আগের মূল্য বলে সংশ্লিষ্ঠরা অভিযোগ তুলেছে। এই প্লট হস্তান্তরে প্রায় ৬ কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্যেরও লেনদেন হয়েছে বলে সুত্রে প্রকাশ।
সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট সাবেক চেয়ারম্যান দোয়া ইউনুছ এর প্রত্যক্ষ সমর্থনে কোরাম বিহীন বোর্ড মিটিং করে এই প্লট হস্থান্তর প্রক্রিয়ার অবৈধ অনুমোদন প্রধান করা হয়। যা রীতিমতো অবৈধ ও জালিয়াতির অংশ বলে প্রতিয়মান।
সুত্রে আরো জানা গেছে, সিডিএর সাবেক বোর্ড মেম্বার জসিম উদ্দীন শা্হসহ সিডিএর গুটিকয়েক কর্মকর্তা ও নেতা নথিটির অবৈধ অনুমোদন প্রক্রিয়ার দালালী করেন। সাবেক চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাস এর সময়কালে প্লটটি হস্থান্তর প্রক্রিয়ার জন্য ত্রিপক্ষিয় চুক্তির মাধ্যমে আবেদন করেছিলেন জমির ক্রেতা ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানী। প্লটটি মূলত ব্যাংকের কাছে বন্ধক ছিল। বন্ধক থাকা অবস্থায় জমির ক্রেতা ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড কিভাবে প্লট হস্থান্তরের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেন তা রহস্যজনক। সেসময় চেয়ারম্যান তা অনুমোদন দেয়নি প্লটটির হস্থান্তর প্রক্রিয়ার। চেয়ারম্যান দোয়া ইউনুছকে মোটাংকের অর্থের লোভে বশীভুত করে ৪ আগষ্টের সর্বশেষ বোর্ড মিঠিং-এ অনুমোদন করিয়ে নেই তারা।
সিডিএর শিল্প প্লট বরাদ্ধ ও ব্যবস্থপনা কমিটির সিদ্ধান্ত থেকে জানা গেছে, চউক কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকার প্লট নং-(১) ৫২+৫৩(পি)(এ), জমি-১০ একর(২)প্লটনং-৫২+৫৩ (পি)(বি),জমি-৭ একর ও প্লট নং-৫২+৫৩(পি)(সি)জমি ৩ একর একুনে ২০ একর। ত্রিপক্ষিয় হস্তান্তর দলিল নং-৬৪৩৪ তারিখ ০৪/১২/২০২৩,দলিল নং-৬৪৩৩ ও দলিল নং-৬৪৩৫। মৌজা মুল্য নির্ধারণ করা হয় ৯লক্ষ ৫৯ হাজার ৬শত ৯২টাকা। মৌজা ভ্যালুর দ্বিগুন নির্ধারণ করা হয়।
প্লট হস্তান্তর বিধি অনুযায়ী বানিজ্যিক ও শিল্প প্লট হস্থান্তরে মৌজা মূল্যের ৪ থেকে সবোর্চ্চ ৬গুণ নির্ধারণ না করে ৬ কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে সিডিএর উল্লেখ্য পরিমান রাজস্বের তছরুপ করেন ষ্টেইট শাখা। একই সাথে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড এখনো সিডিএর বিধি মোতাবেক সম্পত্তির দালিলিক মালিকানা অর্জন না করা সত্বেও প্লট সংলঘ্ন আরো ৬.৯৬ কাটা বা প্রায় ৭কাটা জমি ওই প্রতিষ্টানকে কিভাবে বরাদ্ধ দিল তা বোধগম্য নয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিডিএর একাধীক কর্মকর্তা এ প্রতিনিধিকে জানান, সিডিএর নতূন সৎ চেয়ারম্যান প্লটটির হস্থান্তর প্রক্রিয়া ও দলিল সম্পাদন না করে বরাদ্ধ বাতিলসহ সংশ্লিষ্ঠ জড়িত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভবিষতে আর কেউ এধরনের দুঃসাহস করবেনা।( চলবে)