লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) চীনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে আকাশ প্রতিরক্ষায় নজর দিচ্ছে ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির (ডিএসি) বৈঠকে ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ ক্রয়ের উদ্দেশে ৪,২৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে।
এর মধ্যে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও) তৈরি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হেলিনা ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এ হালকা ও সহজে বহনযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহৃত ইনফ্রারেড রশ্মি দ্রুত শত্রুর ট্যাঙ্ককে চিহ্নিত করতে পারে। এছাড়াও একে রাতেও ব্যবহার করা যায়। প্রতিকূল ভূপ্রকৃতিতে কপ্টারবাহী হেলিনা অত্যন্ত কার্যকর হবে বলে মনে করেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া ভারত-রাশিয়া যৌথ উদ্যোগে তৈরি সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিশেষ সংস্করণ রয়েছে এ তালিকায়। ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান সু-৩০ এমকেআই থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য সংস্করণও রয়েছে এ তালিকায়। প্রতিরক্ষা উৎপাদনে ভারতকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে গত বছর প্রথম ধাপে ১০১টি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি। সে আত্মনির্ভরতার নীতি মেনে এবার আকাশ প্রতিরক্ষাতেও জোর দেওয়া হচ্ছে দেশে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে।