এসে গেল নতুন বছর। শুরু হলো ২০২৩। নানা আয়োজনে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে নববর্ষ বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববাসী। বিশ্বজুড়ে কীভাবে নববর্ষের আনন্দ উদযাপন করা হয়?
স্থানভেদে ‘নিউ ইয়ার’ উদযাপনের রীতি অনেক আলাদা। আর এর মধ্যে বেশকিছু রীতি জানলে অবাকও হয়ে যেতে পারেন। কারণ, কোনো দেশে নতুন বছরে প্লেট ভাঙাটাই সেখানকার ঐতিহ্য। আবার কোথাও বাড়ির দরজায় ঝুলিয়ে রাখা হয় পেঁয়াজ!
১২টি আঙুর খাওয়া : স্পেনের মানুষ রাত ১২টা বাজলেই ১২টি আঙুর খেয়ে নতুন বছরের সূচনা করেন। রীতিটি কিন্তু নতুন নয়। উনবিংশ শতকে স্পেনের অ্যালিসান্টের আঙুর চাষিরা প্রথম এটি শুরু করেন। স্পেনীয়দের বিশ্বাস, এতে নতুন বছরে সৌভাগ্য আসে। তাছাড়া সুমিষ্ট, রসালো আঙুর খেয়ে যদি নতুন বছর শুরু করা হয়, তাহলে মন্দ কী!
সমুদ্রে সাদা ফুল নিক্ষেপ : ব্রাজিলের কিছু অংশের বাসিন্দারা নতুন বছরে সমুদ্রে সাদা ফুল ছুড়ে দেন। লোক মতে, এতে সমুদ্রের দেবী ইয়েমোজা তুষ্ট হন। সাদা পোষাকে সেজে সবাই মিলে সমুদ্রের দিকে সাদা ফুল ছুড়ে দেন।
দরজায় পেঁয়াজ ঝোলানো : গ্রিসে নতুন বছরের সময় গেলে দেখবেন, বাড়ির দরজায় পেঁয়াজ ঝোলানো। এমনটা করলে সারা বছর ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন থাকবেন বলে মনে করা হয়। পেঁয়াজের শিকড়কে তারা অবিচ্ছেদ্য বৃদ্ধির প্রতীক মনে করে।
প্লেট ভাঙা : ডেনমার্কের এই রীতি বেশ মজার। নতুন বছর আসার সঙ্গে সঙ্গে ডেনমার্কের মানুষ চিনামাটির থালা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। নিজের বাড়ি তো বটেই, বন্ধু-প্রতিবেশীদের বাড়ির দরজায় সেই প্লেট আছাড় মেরে ভাঙেন। তাদের মতে ভাঙা প্লেটের স্তূপ সৌভাগ্যের প্রতীক।
দিনে ১২ বার পেটপুজো : এস্তোনিয়ার মানুষ নববর্ষে ৭, ৯ এমনকি ১২ বার পর্যন্ত খেতে বসেন। কেন? কারণ এই ৭, ৯ এবং ১২ নম্বরকে তারা শুভ বলে মনে করেন।
বাড়ির দোরগোড়ায় লবণ ছড়ানো : রাত ১২টায় তুরস্কের বাসিন্দারা দরজায় এসে দাঁড়ান। হাতে থাকে লবণের ডিব্বা। এরপর সেখান থেকে লবণ তুলে তা দোরগোড়ায় ছড়িয়ে দেন। এতে তাদের সচ্ছলতা ও সৌভাগ্য আসবে বলে বিশ্বাস।