ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কদমতলীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বাসের হেলপার নিহত প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়ের সময় একজনকে গ্রেপ্তার বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারী মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান কমলনগরে হার্ভেস্টার মেশিনের ধাক্কায় শিশু নিহত চন্দ্রগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও গাজায় চলছে হামলা, নিহত অন্তত ৩০ অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-হামাস

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও গাজায় চলছে হামলা, নিহত অন্তত ৩০

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। অবশ্য এরপরও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থেমে নেই।

 

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করার পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করছেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে।

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য গাজা উপত্যকা জুড়ে তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তির কথা ঘোষণার পর থেকে এই ভূখণ্ডে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় যে চুক্তি হয়েছে তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তিসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “জিম্মি ও তাদের পরিবারের দুঃখকষ্টের” অবসানে চুক্তি “এগিয়ে নিতে সহায়তা” করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কদমতলীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বাসের হেলপার নিহত

যুদ্ধবিরতিতে রাজি হওয়ার পরও গাজায় চলছে হামলা, নিহত অন্তত ৩০

আপডেট সময় ১১:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসানে হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। অবশ্য এরপরও গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থেমে নেই।

 

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চিত করার পর গাজার ফিলিস্তিনিরা আনন্দ উদযাপন করছেন। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে চলেছে।

 

যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরও ইসরায়েলি বাহিনী অবশ্য গাজা উপত্যকা জুড়ে তাদের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তির কথা ঘোষণার পর থেকে এই ভূখণ্ডে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল।

হামাসের কর্মকর্তা ইজ্জাত আল-রিশেক বলেছেন, কাতারের রাজধানী দোহায় যে চুক্তি হয়েছে তাতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তিসহ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সমস্ত শর্তই পূরণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে “জিম্মি ও তাদের পরিবারের দুঃখকষ্টের” অবসানে চুক্তি “এগিয়ে নিতে সহায়তা” করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গাজায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গত বছরের নভেম্বরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।