ফের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক জুনিয়র নারী চিকিৎসক। ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজের পরিত্যক্ত হোস্টেলে এই ঘটনা ঘটেছে। ২৫ বছর বয়সি এক জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক জুনিয়র নারী চিকিৎসক। সহকর্মীর হাতেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
গোয়ালিয়র পুলিশ সুপার অশোক জাদন জানিয়েছেন, ভুক্তভোগীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তিনি গজরাজা মেডিকেল কলেজের নারী হোস্টেলে থাকতেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত নিজেও একজন ডাক্তার। তিনি নির্যাতিতা চিকিৎসকের সঙ্গে একই কলেজে পড়ালেখা করেন। অভিযুক্ত ওই নারী চিকিৎসককে ছেলেদের জন্য তৈরি একটি পরিত্যক্ত হোস্টেলে দেখা করতে ডেকে পাঠিয়েছিল, বলে ওই নারী প্রাথমিক বয়ানে জানিয়েছেন। ওই পরিত্যক্ত হোস্টেলে নারী চিকিৎসক দেখা করতেই গিয়েছিলেন অভিযুক্তের সঙ্গে। আর সেখানেই তার সঙ্গে ঘটে এই ধর্ষণের ঘটনা।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, যখন রোববার তিনি ওই জনবসতিহীন পরিত্যক্ত হোস্টেলে গিয়ে পৌঁছান, তখন দেখেন ওখানে ওই অভিযুক্ত প্রথম থেকেই উপস্থিত ছিল। তারপরই তাকে প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনার পরে নির্যাতিতা রক্তাক্ত অবস্থায় কম্পু থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করেন। পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রাসঙ্গিক আইনি বিধানের অধীনে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই এই ঘটনায় পরবর্তী তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ধর্ষণ করার পরে নির্যাতিতাকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু ওই ধর্ষণের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তরুণী চিকিৎসক কাম্পু পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন। আর তখনই প্রকাশ্যে আসে এই ধর্ষণের ঘটনা। পুলিশ অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে। আর এই ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। তা নিয়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়েছিল। চার মাসের পর আবার একইরকম ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশে। এটি বিজেপি শাসিত রাজ্য। তবে তফাৎ একটাই নির্যাতিতা আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাণে বেঁচে আছেন।
এছাড়া রোববার ঠিক কী ঘটেছিল সেখানে? অভিযুক্ত একা ছিলেন কিনা? পুরো বিষয়টি এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার সঙ্গে মেডিকেল কলেজের অন্য পড়ুয়াদেরও বয়ান রেকর্ড করছেন তদন্তকারীরা। এবার কি এই ঘটনায় বিক্ষোভ, মিছিল, অবস্থান, অনশন হবে? উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনা নিয়ে এখন জোর শোরগোল চলছে। বিষয়টি কতদূর এগোয় সেটাই এখন দেখার। তবে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।